ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে দুই ম্যানচেস্টারের জয়

প্রকাশিত: ২১:১৯, ১৯ অক্টোবর ২০২০

ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে দুই ম্যানচেস্টারের জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে জয়ে ফিরেছে ম্যানচেস্টার সিটি। শনিবার পেপ গার্ডিওলার দল ১-০ গোলে পরাজিত করেছে শক্তিশালী আর্সেনালকে। সেইসঙ্গে সবধরনের প্রতিযোগিতামূলক (বার্সিলোনার ‘বি’ দলসহ) টুর্নামেন্টে ৫০০ ম্যাচে জয়ের রেকর্ড গড়েছেন স্প্যানিশ কোচ পেপ গার্ডিওলা। সিটিজেনদের কষ্টের দিনে বড় জয় পেয়েছে তাদেরই নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ওলে গানার সোলসজায়েরের শিষ্যরা এদিন ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে। তবে ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাবের জয়ের দিনে ড্র করেছে চেলসি। নিজেদের মাঠে ব্লুজরা এদিন ৩-৩ ব্যবধানে ড্র করে সাউদাম্পটনের সঙ্গে। চলতি মৌসুমে বড় পরাজয়ের লজ্জা নিয়েই নিজেদের মিশন শুরু করে ম্যানচেস্টার সিটি। এর পরের দুই ম্যাচে সমান একটি করে জয় আর ড্র। শনিবার তাই আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচটিতে আলাদাভাবেই চোখ রেখেছিল ভক্ত-অনুরাগীরা। হাইভোল্টেজ ম্যাচের শুরু থেকেই তেড়েফুঁড়ে খেলতে থাকে ম্যানচেস্টার সিটি। কেভিন ডি ব্রুইন না থাকায় মধ্যমাঠের দখল নিয়ে জম্পেশ লড়াই হতে পারত। অবশ্য রদ্রি-ফোডেনরা শুরু থেকেই নিজেদের কাছেই রাখছিলেন বল। শুরুতে রিয়াদ মাহরেজের শট অল্পের জন্য চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। তবে এরপরও আর্সেনালের অর্ধেই বেশি ঘোরাঘুরি করছিল বল। সেটারই পুরস্কার পেয়ে যায় সিটি দারুণ এক আক্রমণ থেকে। মাহরেজের কাছ থেকে ঘুরে বলটা সার্জিও এ্যাগুয়েরোর হয়ে চলে যায় বক্সের ভেতরে থাকা ফোডেনের কাছে। তার শট লেনো ঠেকিয়ে দিলেও ফিরতি বল চলে যায় রাহিম স্টার্লিংয়ের কাছে। সুযোগটা নষ্ট করেননি ম্যানসিটির এই ইংলিশ তারকা। দারুণ এক গোলে দলকে এগিয়ে দেন স্টার্লিং। প্রিমিয়ার লীগে আর্সেনালের বিপক্ষে গত পাঁচ ম্যাচে ছয়টি গোলে অবদান রাখলেন স্টার্লিং। এই গোল হজম করেই যেন জেগে ওঠে আর্সেনাল। বুকায়ো সাকো বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন দারুণভাবে। তার শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন এডারসন। খানিক পর পেপের হেড চলে যায় পোস্টের পাশ দিয়ে। এরপর সিটি আবার লাগাম নিয়ে নেয়। ফোডেনের শট লেনো সেভ না করলে দুই গোলে এগিয়ে যেতে পারত তারা। তবে আর্সেনাল ফিরে প্রায় এসেছিলই প্রথমার্ধ শেষের আগে। এবার শাকার সঙ্গে ওয়ান টুর পর সুযোগ পেয়েছিলেন সাকা। কিন্তু দুর্দান্ত সেভে গোল করতে দেননি। খানিক পর আবার অবামেয়াংয়ের শটও ঠেকিয়ে দিয়েছেন ওয়ান টু ওয়ানে। সেটা অফসাইড কল হলেও রিপ্লেতে দেখা যায় তা ছিল না। এই ম্যাচের আগে থেকেই বেশ সতর্ক ছিলেন গার্ডিওলা আর আর্তেতা। গোল ফেরত দিতে হবে বলে আর্সেনালের সক্রিয়তা বেশি ছিল। তবে মূলত মধ্যমাঠেই বেশি ঘোরাফেরা করেছে বল। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ৩০ মিনিটে সেভাবে গোলের সুযোগ পায়নি কেউ। ৭৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটা পেয়ে যেতে পারত সিটি। জোয়াও ক্যানসেলো দুর্দান্ত খেলে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে গিয়েছিলেন। সেটা ক্লিয়ার করতে গিয়ে ডেভিড লুইজ অনায়াসেই বল জালে জড়িয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু ভাগ্যক্রমে সেটা হয়নি। খানিক পর সুযোগ পায় আর্সেনাল। কিন্তু নিকোলাস পেপের ফ্রি-কিক চলে যায় পোস্ট ঘেঁষে। এরপর দুই কোচই কিছু বদলি করেছিলেন। কিন্তু তারা কেউ বলার মতো সুযোগ এনে দিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন গার্ডিওলা। আর্সেনালের বিপক্ষে লীগে এই নিয়ে টানা সাত ম্যাচে জয় পেল সিটি। লীগে কোন নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আর্সেনাল সর্বশেষ টানা সাত ম্যাচ হেরেছিল সেই ১৯৭৪-৭৭ সালের মধ্যে, ইপ্সউইচের বিপক্ষে। প্রিমিয়ার লীগে আর্সেনালের বিপক্ষে এই জয়ের ফলে চার ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নবম স্থানে উঠে এসেছে ম্যানসিটি। ৫ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনাল আছে পঞ্চম স্থানে। সিটিজেনদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ১৪ নম্বরে উঠে এসেছে। অন্যদিকে লীগের আরেক ম্যাচে সাউদাম্পটনের সঙ্গে ৬ গোলের নাটকীয় ম্যাচে ড্র করা চেলসি উঠে এসেছে ষষ্ঠ স্থানে।
×