ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীর খিলক্ষেতে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১৮:১৩, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

রাজধানীর খিলক্ষেতে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় শায়লা পারভীন জুঁই (২৭) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী তরিকুল ইসলাম জনিকে গ্রেফতার করেছে। নিহত গৃহবধূ শায়লা পারভীন ইডেন কলেজ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে চাকরির চেষ্টায় ছিলেন। তার স্বামী তরিকুল ইসলাম উত্তরার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সহকারী হিসাবরক্ষকের কাজ করেন। শায়লা-তরিকুল দম্পতির আড়াই বছরের ছেলে রয়েছে। নিহত জুঁইয়ের বাবার নাম মৃত লাল মিয়া খান। গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর শহরের আলীপুরের খাঁ পাড়া এলাকায়। জুঁই স্বামী তরিকুল ইসলাম জনির সঙ্গে নিকুঞ্জ-২এর ৮ নম্বর রোডের ৪২ নম্বর বাসার নিচ তলায় ভাড়া থাকতেন। নিহত জুঁইয়ের মেঝ ভগ্নিপতি মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, জুঁই ইডেন মহিলা কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্টে বিবিএ ও এমবিএ শেষ করেছেন। বিবিএ পড়ার সময়ে জুঁইয়ের সঙ্গে গত পাঁচ বছর আগে জনির বিয়ে হয়। তাদের তিন বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তিনি জানান, নিকুঞ্জ-২ এর ওই বাসায় তারা থাকেন। তাদের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকেন তার বড়বোন কেয়া ও কেয়ার স্বামী আলম মিয়া। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে জুঁই তার মেঝ বোনকে ফোন দিয়ে তাদের সংসারের বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তা বলেন। এরপর সকালে খবর পেয়ে বাসায় গিয়ে ফ্লোরে জুঁইয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। মুখ উপড় হয়ে পড়ে ছিল জুঁই। তার নাক-মুখ রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর ওপরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না ঝুলানো ছিল। তবে জুঁইয়ের স্বামী তরিকুল ইসলাম দাবী করেন, বৃহস্পতিবার রাতে তার স্ত্রী জুঁইয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়েছিল। এরপর রাত ১২টার দিকে জুঁই বাসার ভেতরের একটি রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। সারা রাতেও আর দরজা খুলেননি। পরেরদিন শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দরজা না খুললে তালাচাবির মিস্ত্রিকে ডেকে আনা হয়। পরে তালাচাবির মিস্ত্রিকে দিয়ে দরজা খুলে ফ্লোরে জুঁইকে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরই তিনি পুলিশে খবর দেন। এদিকে নিহত জুঁইয়ের স্বজনদের অভিযোগ, এটা নিশ্চিত হত্যাকাণ্ড। তা না হলে জুঁইয়ের শরীরে এত আঘাতের চিহ্ন এলো কীভাবে। খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বোরহান উদ্দিন জানান, শুক্রবার বিকেলে জুঁইয়ের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্বামীর মারধরের কারণেই তার মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর নিহত জুঁইয়ের স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আসল ঘটনা জানা যাবে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, জুঁইকে শ্বাসরোধে হত্যার আলমত পাওয়া গেছে।
×