ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২

আমির শায়খুল হাদীস আল্লামা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী

আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের জনগণ ইসলামী দলগুলোর বিজয় দেখতে চায়

মোঃ মাইনুল ইসলাম, চাঁদপুর

প্রকাশিত: ১৭:২০, ৬ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৭:২১, ৬ জুলাই ২০২৫

আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের জনগণ ইসলামী দলগুলোর বিজয় দেখতে চায়

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির আমির শায়খুল হাদীস আল্লামা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেছেন, এ দেশের ১৮ কোটি মানুষ নির্বাচন চায়। বিগত কয়েকটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এ দেশের জনগণ তাদেরকে মেনে নিতে পারে নি। বিগত সরকারের আমলের ভয়ংকর চিত্রের কথা সবার জানা রয়েছে। আগামী দিনে যারা ক্ষমতায় আসার চিন্তা করছে, তাদের কর্মকাণ্ড হয়তো আরো ভয়ংকর হবে। সাধারণ মানুষ এখন বিষয়গুলো চিন্তা করছে এবং সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যে আগামী জাতীয় নির্বাচনে তারা ইসলামী দলগুলোর বিজয় দেখতে চায়।

রোববার (৬ জুলাই) সকালে চাঁদপুর সদরের বাগাদী নানুপুর চৌরাস্তা চাঁদপুরজমিন কমিউনিটি সেন্টারে সংবর্ধনা ও চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অনেকগুলো সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি নারী অধিকার সংস্কার। সংস্কারের নামে যে প্রস্তাবনা এসেছে, তা জাতি জানতে পেরেছে এবং ওলামা কেরামগণ এর প্রতিবাদ করছে। এটা যদি বাস্তবায়ন হয়, তাহলে এ দেশের মুসলমান বলতে কিছু থাকবে না।

এই নেতা বলেন, সংস্কার কাদের নিয়ে হবে? আমরা মনে করি সংস্কার কমিশনের আগে সংস্কার জরুরি। সংস্কারের পর ধাপে ধাপে সংস্কার করতে গেলে দেশের অবস্থা খারাপ হবে। সংস্কার ও দরকার, নির্বাচনও দরকার। আমরা মনে করি ঐক্যবদ্ধভাবে সকল রাজনৈতিক দল একত্রে বসলে আমরা কী ধরনের নির্বাচন আশা করি, তা জানলে হয়তো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায়। ধাপে ধাপে বসে প্রস্তাব নিলে সঠিক সংস্কার হবে না।

পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, সম্প্রতি অনেক কথা উঠছে, আমি মনে করি এটিকে সমর্থন করার মতো। কারণ বাংলাদেশের মানুষ সকল ভোটারের ভোটের ফল এখানে নিশ্চিত হবে। নির্বাচন হলে দেখা যায় ৩০০ আসনে চার হাজার প্রার্থী থাকে, কিন্তু নির্বাচিত হয় ৩০০ জন। অপরদিকে বাকি প্রার্থীকে যারা ভোট দিয়েছে, সেটি কোন কাজে লাগে না; এটি হতে পারে না। তাই পিআর পদ্ধতি সকল ভোটারের ভোট কাজে লাগবে। যেহেতু আমাদের দলে নীতি নির্ধারণ অনেক নেতৃবৃন্দ আছে, তাই তারা বসে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব। ব্যক্তিগতভাবে আমার মত হচ্ছে, পদ্ধতিটি থাকলে ভালো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব শায়খুল হাদীস মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিবও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার আমির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান রোকন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সফিকুল ইসলাম।

এছাড়াও জামিয়া ইয়াহ ইয়া উলুমুল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওঃ তৈয়বুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার নায়েব আমির মনিরুজ্জামান, নায়েবে আমির মনোওয়ার হোসেন, বাংলাদেশ দারুল আরকাম শিক্ষক কল্যাণ সমিতির জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ভোলা জেলার প্রচার সম্পাদক শাহিন আলমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 
 

মারিয়া

×