ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাত্র দ্বিতীয় আসরেই ইউরোপের সেরা চারে লাইপজিগ

প্রকাশিত: ১১:১১, ১৪ আগস্ট ২০২০

মাত্র দ্বিতীয় আসরেই ইউরোপের সেরা চারে লাইপজিগ

অনলাইন ডেস্ক ॥ ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। ইউরোপের ফুটবল ক্লাবগুলোর সেরার মানদণ্ডও এই টুর্নামেন্ট। নিজেদের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ভালো করলেও, ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের আসরে খাবি খায় অনেক বড় বড় দল। চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি আসরটাই যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল, স্প্যানিশ লা লিগা চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ ও ইতালিয়ান সিরি 'আ' চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস বাদ পড়ে গেছে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে। পাক্কা ২৫ মৌসুম পর সেমিফাইনালের টিকিট পেয়েছে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। কোয়ার্টার ফাইনালে মাঠে নামার অপেক্ষায় জার্মান বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। এতেই বোঝা যায় ঠিক কতটা কঠিন হয় চ্যাম্পিয়নস লিগের লড়াই। কিন্তু এক্ষেত্রে বেশ ব্যতিক্রম জার্মানির উদীয়মান ক্লাব রাসেন বলস্পোর্ট লাইপজিগ বা আরবি লাইপজিগ। ইউরোপ সেরার আসরে মাত্র দ্বিতীয়বার খেলতে নেমেই তারা পৌঁছে গেছে সেরা চারে, খেলবে সেমিফাইনালে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতের ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ পিএসজি। বৃহস্পতিবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি আসরের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমির টিকিট নিশ্চিত করেছে লাইপজিগ। ম্যাচের ৫০ মিনিটে দানি অলমোর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তারা, ৭১ মিনিটে সমতা ফেরায় অ্যাটলেটিকো। একদম শেষদিকে গোল করে দলকে সেমিতে তোলেন টাইলার অ্যাডামস। অথচ ২০১৬ সালের আগে সে অর্থে নামই ছিল না লাইপজিগের। থাকবেই বা কী করে? ততদিন পর্যন্ত তারা যে ছিল জার্মানির দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলে। আরেকটু বিস্তারিত বললে, ২০০৯ সালের আগে তো অস্তিত্বই ছিলো না জার্মানির স্যাক্সোনির এ ক্লাবটির। ২০০৬ থেকে আলোচনা শুরু করে ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে আরবি লাইপজিগ। এরপর থেকে চলছে তাদের স্বপ্নযাত্রা। ২০০৯ সালে ক্লাবের জন্মের পর ২০১০ সালে তারা উন্নীত হয় চতুর্থ বিভাগে, তিন বছর পর ২০১৩ সালে আসে তৃতীয় বিভাগে। পরের বছর তারা উঠে আসে দ্বিতীয় বিভাগে। সেখানে দুই আসর খেলে ২০১৫-১৬ মৌসুমে অবশেষে তাদের সুযোগ আসে জার্মানির শীর্ষ লিগ বুন্দেসলিগায়। এখানেও চমক দেখায় লাইপজিগ। বুন্দেসলিগায় নিজেদের প্রথম আসরেই রানারআপ হয় ক্লাবটি। যার সুবাদে সুযোগ পেয়ে যায় ২০১৭-১৮ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে। তবে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগের যাত্রা অত সুখকর ছিল না। তারা বাদ পড়ে যায় গ্রুপ পর্ব থেকে। পরে ২০১৭-১৮ মৌসুমের বুন্দেসলিগায় ষষ্ঠ হওয়ায় সুযোগ মেলেনি ২০১৮-১৯ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে। পরের মৌসুম অর্থাৎ ২০১৮-১৯ সালে সঠিক পথে ফেরে লাইপজিগ। এবার তারা বুন্দেসলিগায় হয় তৃতীয়, যার সুবাদে মেলে ২০১৯-২০ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগের টিকিট। যা কি না তাদের মাত্র দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগের আসর। আর এবারই তারা উঠে গেছে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে। এবারের আসরের গ্রুপপর্বের ৬ ম্যাচে তিন জয় ও দুই ড্রতে ১১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা হয়েই শেষ ষোলোতে উঠেছে তারা। যেখানে টটেনহ্যাম হটস্পারসকে দুই লেগ মিলে ৪-০ গোলে হারিয়ে মেলে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট। আর সবশেষ অ্যাটলেটিকোকে ২-১ গোলে হারিয়ে তারা চলমান রেখেছে নিজেদের স্বপ্নযাত্রা।
×