ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

* মামলা তুলে নিতে নিহতের পরিবারকে হুমকির অভিযোগ

বাঁশখালীতে যুবলীগ কর্মী হত্যার আসামিরা বেপরোয়া

প্রকাশিত: ১৭:৫৪, ২৫ জুলাই ২০২০

বাঁশখালীতে যুবলীগ কর্মী হত্যার আসামিরা বেপরোয়া

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী ॥ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার দক্ষিন সাধনপুর আ’লীগ কর্মী জহির আহমদ(৪২)কে গত ১২ মে মঙ্গলবার খুনের ঘটনার পর পরিবারে চলছে দিন রাত কান্না আর কান্না। পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের আহাজারি থামছে না। এদিকে এই ঘটনায় জড়িত আসামি ও অর্থ যোগানদাতারা এলাকায় পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে আত্মগোপন থেকে নিহতের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাছাড়া এ ঘটনায় সম্পৃত্ত ও এজাহারভুক্ত চার আসামি বর্তমানে জেল হাজতে থাকলেও অন্যান্য আসামিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে প্রকাশ্য এলাকায় পুনঃরায় এই সিন্ডিকেটের কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। শনিবার (২৫ জুলাই) নিহতের স্ত্রী মামলার বাদী নুর আয়েশা বলেন, মামলা দায়ের করা পর হতে আসামি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মামলাকে ভিন্ন খাতে নেয়ার পায়তারা শুরু করেছে। মামলা তুলে নিতে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে আসামিরা প্রকাশ্য হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তার হুমকিতে ভুগতেছি। এদিকে গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) রাতে মামলার আসামীরা স্থানীয় জনৈক নুরুল হকের রাইচ মিলে তালা ভেঙে ক্ষতিসাধন করে মামলার বাদী পক্ষের লোকজনকে ওই ঘটনার সাথে জড়িত করতে চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নিহত জহিরুল হকের ভ্রাতুষ্পুত্র রবিউল আওয়াল হিরণ। তিনি বলেন, ‘আমার চাচার হত্যাকারী সন্ত্রাসী ইলিয়াছ গংরা ইতিমধ্যে আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য বিভিন্ন কল্পকাহিনী সাজিয়ে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। তারা আমার চাচাকে খুন করে ক্ষান্ত হয়নি; আমাদেরেকেও প্রাণ নাশের হুমকি ধমকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হত্যা মামলাটি উঠাইয়া নেওয়ার জন্য।’ নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, গত ১৪ই মে সামাজিক ও জায়গাজমির বিরোধ নিয়ে এক প্রতিবেশীর সাথে ও নিহত আ’লীগ কর্মী জহিরের এক আত্মীয়ের সাথে মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় নেজাম উদ্দীন,মো. সেলিম, আনিস, আবদুল হক, রাশেদুল আলম, ইলিয়াছ বিষয়টি সমাধানের কথা বলে পুলিশের বিচার কাজ বাধাগ্রস্থ করেন। সোমবার রাতে পুনরায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে আ’লীগ কর্মী জহির আহমদ (৪২) ভোর সকালে বাড়ীতে ও ২য় দফায় ভাসাইন্যা দোকান এলাকায় এম্বুল্যান্স বহনকারী রোগিকে পুনরায় হামলা করে মৃত্যু নিশ্চিৎ করা হয়। তাছাড়া খুনের ঘটনার পর থেকে আসামিদের মদদদাতা ও অর্থ যোগানদাতা হিসেবে এসব ব্যক্তিদের চিহ্নিত করেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে এসব প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ইন্ধনে হত্যা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ও গোপনে নিহতের পরিবারের সদস্যদের উপর পুন:রায় হামলা ও গুমের আশংকা করছেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী নুর আয়েশা। এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘জহিরুল হক হত্যা মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি দেয়ার বিষয়টি তদন্ত করা হবে।’
×