ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদযাত্রা পরিহারের আহ্বান নৌপ্রতিমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ২১:৪৩, ২৫ জুলাই ২০২০

ঈদযাত্রা পরিহারের আহ্বান নৌপ্রতিমন্ত্রীর

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ঈদে যাত্রীবাহী নৌযান চললেও করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়ে অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন ছাড়া আমরা যেন এই যাত্রাটাকে পরিহার করি। কারণ বেঁচে থাকলে আমরা অনেক ঈদ উদ্যাপনের সুযোগ পাব। তাড়াহুড়ো করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই যাত্রায় না যাওয়াটাই আমাদের জন্য মঙ্গলজনক।’ শুক্রবার ঢাকার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে ‘সাগর-রুনী মিলনায়তনে’ আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এমন অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, সামনে ঈদ-উল-আজহা। গণপরিবহন নিয়ে আমরা একটা সঙ্কটের মধ্যে আছি। একদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ, অপরদিকে বন্যা। এ রকম একটা পরিস্থিতিতে সড়ক, রেল, আকাশ ও নৌ পথে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যতটুকু সম্ভব সঠিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে নৌ পথে ঈদ যাত্রাটাকে আমরা সুন্দর করতে চাই। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে গিয়ে অনেক সাংবাদিকই দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে দাবি করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যম কর্মী তারা বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়ে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে। দেশের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছে। তিনি বলেন, আমাদের কষ্ট লাগে যখন দেশের কথা বলতে গিয়ে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে অনেক সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করেছেন। এই অনুভূতিকেও যদি অনুধাবন করত, যে আমার একজন সহকর্মী আমার একজন সহযোদ্ধা বাংলাদেশে এই পরিস্থিতির মধ্যে আছে তাহলে অন্তত পক্ষে দেশবিরোধী এই কথাবার্তাগুলো বলত না। করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে চলছে দাবি করে সরকারের এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেকেরই এই অগ্রগতি সহ্য হচ্ছে না। তাই তারা সরকারের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছে। আজকে অনেকেই বলছেন বাংলাদেশের অর্থনীতি নাকি ধ্বংস হয়ে গেছে। তাহলে কিভাবে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের জন্য এত কোটি টাকা অনুদান দিলেন? সরকারের সমালোচকদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা বাংলাদেশের সম্ভাবনা দেখে না, উন্নয়ন দেখে কষ্ট পান- তারাই এই সমস্ত কথা বানিয়ে বলছেন। কারণ, তাদের লক্ষ্যই হচ্ছে বাংলাদেশকে বিকলাঙ্গ করা, বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। তারা যতই চেষ্টা করুক বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট হবে না। কারণ, এখানে আছে পৃথিবীর অন্যতম ডায়নামিক নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। এটা আমার কথা নয়, সমগ্র পৃথিবীর কথা। অনুষ্ঠান শেষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রয়াত সদস্যদের পরিবারের মধ্যে আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাদাত হোসেন সোহাগ, সংগঠনের সহ-সভাপতি নজরুল কবীর, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলিমুল আলম বিপ্লব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানি, কবির আহমেদ খান প্রমুখ।
×