ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁর শিব নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক লাখ হেক্টর জমির ফসল

প্রকাশিত: ১৮:১৭, ২ জুলাই ২০২০

নওগাঁর শিব নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক লাখ হেক্টর জমির ফসল

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ॥ গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলের পানি বৃদ্ধির কারণে নওগাঁর মান্দা উপজেলার আত্রাই ও শিব নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মান্দার শিব নদীর টেংরা নামক স্থানে গত দু’বছর আগে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে কয়েক লাখ হেক্টর জমির ফসল। আর ভেসে গেছে শতাধিক পুকুরের মাছ। এতে করে কয়েক হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দ্রুত যদি এই ভেঙ্গে যাওয়া অংশ মেরামত না করা হয়, তাহলে বন্যার পানিতে আরোও অধিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের শিব নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করে তেতুলিয়া ও কালিকাপুর ইউনিয়নের কয়েক লাখ হেক্টর জমির ধান ও অন্যান্য রবি শস্য পানিতে তলিয়ে গেছে। এই ভেঙ্গে যাওয়া অংশটুকুর পাশে রয়েছে রাজশাহী জেলার মোহনপুর ও তানোড় অংশ। নদীর দক্ষিণ দিকে শিব নদীতে কোন বাঁধ না থাকায় পানিতে প্লাবিত হয় তীরবর্তি ওই গ্রামগুলো। তখন নিজেদের রক্ষা করার জন্য ওই গ্রামের মানুষরা নদীর বেরিবাঁধের টেংরা নামক স্থানে কেটে দেয়। পরে ভেঙ্গে যাওয়া অংশটুকুর মেরামত কাজ ভালো না হওয়ার কারণে পরবর্তিতে তা আবারও ভেঙ্গে যায়। এভাবেই বেরিবাঁধের এই অংশটুকু নিয়ে চলে লুকোচুরির খেলা। কিন্তু গত দু’বছর আগে ভেঙ্গে যাওয়া অংশটুকু মেরামত না করায় সম্প্রতি শিব নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়াই সেই পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে তেতুলিয়া ও কালিকাপুর ইউনিয়নের কয়েক লাখ হেক্টর জমির ধান ও অন্যান্য ফসল। পানিতে ভেসে গেছে শতাধিক পুকুরের মাছ। এছাড়াও পানি প্রবেশ করে গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। প্রতিদিনই যে ভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে করে কয়েকশ’ গ্রামবাসী আতঙ্কে রয়েছে। অপরদিকে শিব নদীর বেরিবাঁধ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা। নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুজ্জামান খান বলেন, স্থানীয়দের কেটে দেয়ার জন্যই বাঁধের ওই অংশটুকু বার বার ভেঙ্গে যায়। কিন্তু বাঁধটি পাহারা দিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাই স্থানীয়দের সচেতন হতে হবে আগে। এছাড়াও এই অংশটুকু দ্রুত মেরামত করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানাবো।
×