ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রিটেনে ৪ জুলাই থেকে রেস্তরাঁ সেলুন খুলে দেয়া হবে

প্রকাশিত: ২৩:০৪, ২৫ জুন ২০২০

ব্রিটেনে ৪ জুলাই থেকে রেস্তরাঁ সেলুন খুলে দেয়া হবে

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ করোনায় বিধ্বস্ত ইউরোপের কিছু দেশ যেমন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে গেছে তেমনি আবার অনেক দেশে নতুন করে লকডাউন দেয়া হয়েছে। তেমনই একটি দেশ হচ্ছে জার্মানি। সেখানকার নর্থরাইন ভেস্টফেলিয়া রাজ্যে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আবার লকডাউন করা হলো। আর ব্রিটেনে প্রাদুর্ভাব কমার প্রেক্ষিতে রেস্তরাঁ ও সেলুন খোলার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ৪ জুলাই থেকে সেগুলো খুলে দেয়া হবে। এছাড়া মাস্ক না পরায় বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে জরিমানা গুনতে হলো। মার্চের পর নেদারল্যান্ডস প্রথম মৃত্যুহীন দিন পার করল। তুরস্কে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৫০০১ জনে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে করোনার নতুন মৃত্যুপুরী দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। করোনার হটস্পট ব্রাজিলে একদিনে ৪০ হাজারের বেশি সংক্রমিত হয়েছে। খরব বিবিসি, গার্ডিয়ান, সিএনএন, রয়টার্স, আলজাজিরা, জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি ও ওয়ার্ল্ডোমিটার ডট ইনফোর। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার ডট ইনফোর মতে, দুনিয়াজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৪ লাখ ছাড়িয়েছে। বুধবার পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক মহামারীতে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ২১৫ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বজুড়ে মোট সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে ৯৪ লাখ ৪১ হাজার ৯১২। এর মধ্যে চার লাখ ৮২ হাজার ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫১ লাখ ৫ হাজার ৪৯৪ জন। এখনও চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ৩৮ লাখ ৩২ হাজার ৪৭৩ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ৫৮ হাজার ২৪ জন। ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ ২৪ হাজার ৪৯৩। মারা গেছে এক লাখ ২৩ হাজার ৪৭৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ২০ হাজার ৪১২ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১২ লাখ ৮০ হাজার ৬০৫ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ১৬ হাজার ৫১০ জন। আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। রাশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ছয় হাজার ৮৮১ জন। এর মধ্যে আট হাজার ৫১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ৬৮ হাজার ৮২২ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুই লাখ ২৯ হাজার ৫৪৬ জন। আশঙ্কাজন অবস্থায় রয়েছেন দুই হাজার তিন শ’ জন। জার্মানিতে ফের লকডাউন ॥ জার্মানির নর্থরাইন ভেস্টফেলিয়া রাজ্যের একটি মাংস প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্টে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর কর্তৃপক্ষ আবার স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। গ্যুটার্সলো শহরের ওই প্ল্যান্টটির এক হাজার পাঁচ শ’র বেশি কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ এসেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আর্মিন লাশেট বলেছেন, করোনা ঠেকাতে তিন লাখ ৬০ হাজার বাসিন্দার গ্যুটার্সলোয় ৩০ জুন পর্যন্ত বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। এ পদক্ষেপকে ‘প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা’ বলে বর্ণনা করেছেন লাশেট। জার্মানি মে মাসে দেশব্যাপী লকডাউন তুলে নিতে শুরু করার পর নর্থরাইন ভেস্টফেলিয়া রাজ্যেই আবার প্রথম বিধিনিষেধ দেয়া হলো। বিশ্বজুড়ে করোনা সঙ্কটের মধ্যে ভাইরাস সামাল দেয়ায় জার্মানির সাফল্য প্রশংসা কুড়িয়েছিল। কিন্তু দেশটিতে আবার সংক্রমণ বাড়তে থাকা নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউটের হিসাবমতে, জার্মানিতে করোনার রিপ্রোডাকশন রেট ‘আর’ (একজন রোগীর অন্যদের ভাইরাস সংক্রমিত করার হার) এখন আনুমানিক দুই দশমিক ৭৬। তার মানে এক শ’ করোনা রোগী গড়ে ২৭৬ জনকে সংক্রমিত করছেন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৯২ হাজার ৮২৭ জন। মারা গেছেন আট হাজার ৯৮৬ জন। সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৭৫ হাজার সাত শ’ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন আট হাজার ১৪১ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ৩৩৭ জন। রেস্তরাঁ-সেলুন খুলবে ৪ জুলাই ॥ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ৪ জুলাই থেকে রেস্তরাঁ, সেলুন, মদের দোকান খোলার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে জিমগুলো আগের মতো বন্ধ থাকবে। নতুন পরিস্থিতিতে কি ধরনের বিধিনিষেধ থাকবে সে ব্যাপারেও বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। জনসন জানান, করোনা প্রতিরোধে এতদিন দুই মিটার শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার বিধি থাকলেও আগামীতে পরস্পরের মধ্যে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখলেই চলবে। লোকজন একসঙ্গে পানাহারও করতে পারবে ৪ জুলাই থেকে। পরিবারগুলো রাতের বেলা পরস্পরের বাড়িতে নিমন্ত্রণেও যেতে পারবে। এছাড়া তারা চাইলে কোন রেস্তরাঁ বা হোটেলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও মিলিত হতে পারবে। জনসন বলেন, প্রতিদিন নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ২ শতাংশ করে হ্রাস পাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি না যে, সতর্কতা অবলম্বন করলে সংক্রমণ বাড়বে। তাই ৪ জুলাই থেকে আমরা ২ মিটার দূরত্ব মানার নিয়ম পরিবর্তন করতে পারি। স্কটিশ ও ওয়েলস সরকার এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের নির্বাহীরা তাদের নিজস্ব অবস্থার ওপর ভিত্তি করে লকডাউন শিথিলের ব্যবস্থা নেবেন। আমি মনে করি, সব অঞ্চল একইভাবে অগ্রসর হচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলো খোলার ইঙ্গিতও দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। যদি ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায় তাহলে পুনরায় আগের সিদ্ধান্তে ফিরে যাওয়া হবে। ব্রিটেনে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। সরকারী হিসেবে মারা গেছে ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষ। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ছয় হাজার ২১০ জন। মারা গেছেন ৪২ হাজার ৯২৭ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ৩৩০ জন। মাস্ক না পরায় প্রধানমন্ত্রীকে জরিমানা ॥ চার্চ পরিদর্শনের সময় সুরক্ষামূলক মাস্ক পরার আদেশ অমান্য করে জরিমানা গুনতে বাধ্য হচ্ছেন বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বয়োকো বোরিসোভ। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আদেশ অমান্য করায় ১৭৪ মার্কিন ডলার জরিমানা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই আয়োজনে যারাই মাস্ক ছাড়া উপস্থিত ছিলেন তাদের প্রত্যেককেই জরিমানা করা হবে। বলকান অঞ্চলের দেশ বুলগেরিয়ায় গত সপ্তাহে করোনায় রেকর্ড সংক্রমণ হয়। এর জেরে গত সোমবার দেশটির সব ঘরোয়া আয়োজনে আবারও মাস্ক বাধ্যতামূলক করে আদেশ জারি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিরিল আনানিয়েভ। মঙ্গলবার হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী পুরোনো একটি গির্জা পরিদর্শনে যান বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী। ওই সময়ে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও সাংবাদিক, ফটোগ্রাফার ও ক্যামেরাপার্সন এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গীদের অনেকেই সুরক্ষামূলক মাস্ক ব্যবহার করেননি। তাদের প্রত্যেককেই জরিমানা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী যে চার্চটি পরিদর্শনে যান সেটি রাজধানী সোফিয়ার দক্ষিণে রিলা পার্বত্য এলাকায় অবস্থিত। হাজার বছরের পুরনো চার্চটির বর্ণিল দেয়ালচিত্র বিখ্যাত। বুলগেরিয়ার অন্যতম পর্যটন স্পটও এটি। কঠোর লকডাউন এবং মাস্ক পরার বাধ্যতামূলক করার কারণে বুলগেরিয়ার করোনা পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে এখনও অনেক ভাল রয়েছে। দেশটিতে মাত্র চার হাজার ১১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২০৮ জন। সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ২১৭ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন এক হাজার ৬৮৯ জন। যাদের মধ্যে ১৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত সপ্তাহে দেশটিতে নতুন করে অন্তত ৬০৬ জন করোনায় সংক্রমিত হলে উদ্বেগ তৈরি হয়। নেদারল্যান্ডসে প্রথম মৃত্যুহীন দিন ॥ চীনের পর ইউরোপ হয়ে উঠেছিল করোনা সংক্রমণের কেন্দ্র হিসেবে। আর অঞ্চলটির যে কয়েকটি দেশ মহামারী ভাইরাসের প্রকোপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল নেদারল্যান্ডস। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোন কোভিড-১৯ রোগী মারা যায়নি। মার্চের পর এমন ঘটনা ঘটেনি দেশটিতে। ডাচ কর্তৃপক্ষ জানায়, একদিনে নতুন করে কেউ মারা না গেলেও দেশটিতে আরও ৬৯ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে শানাক্ত হয়েছেন। সরকারের দেয়া হিসাব অনুযায়ী, প্রাদুর্ভাব শুরুর পর আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা ৪৯ হাজার ৭২২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৬ হাজার ৯৫ জন মারা গেছেন। মৃত্যুহারে অন্যান্য দেশের তুলনায় যা অনেক বেশি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ৪৮ জন। দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পাবলিক হেলথ (আরআইভিএম) তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, গত একদিনে নতুন করে কোন মৃত্যু হয়নি। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নেদারল্যান্ডসে করোনার সংক্রমণ কমেছে। লকডাউন বিধিনিষেধ শিথিল হয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সচল হয়েছে ব্যবসা কেন্দ্র। তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০০১ ॥ তুরস্কে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে পাঁচ হাজার একজনে পৌঁছেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এছাড়াও ২৭ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরিত্তিন কোকা জানিয়েছেন, গত একদিনে ৪২ হাজার ৯৮২ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে সর্বমোট লাখের বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মোট আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৯০ হাজার ১৬৫ জন। সুস্থ হয়েছেন এক লাখ নয় হাজার ৮৪৮ জন। ২২ হাজার ৩১৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ৮৯৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃত্যু লাখ ছাড়িয়েছে দক্ষিণ আমেরিকায় ॥ করোনায় আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে। অতিদরিদ্রের মাত্রা ও ভিড়ে ঠাসা শহরগুলোতে প্রাদুর্ভাবের মাত্রা কমার লক্ষণ খুব কম দেখা গেছে। ইতোমধ্যে দক্ষিণ আমেরিকায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। যদিও ইউরোপ ও এশিয়ায় করোনা সংক্রমণের ধারা কমতে শুরু করেছে। অঞ্চলটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২২ লাখ। এক মাসেরও কম সময়ে সংক্রমণ সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে জনবহুল ও বড় দেশ ব্রাজিল। যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে সেখানে মৃতের সংখ্যা অর্ধ লাখ ছুঁয়েছে। মেক্সিকোয় আক্রান্তের সংখ্যায় নতুন করে রেকর্ড করেছে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে করোনায় ক্ষতির আসল মাত্রা আরও বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব দেশ জোরালোভাবে পরীক্ষা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে পারিনি। মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে বলে তাদের ধারণা। মেক্সিকোর উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো লোপেজ-গাটেল আভাস দিয়েছেন, তার দেশ করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের ভেতরে আছে। আমাদের সার্স-কভ-২ ভাইরাসের সঙ্গে বাঁচতে জানতে হবে। নতুন বাস্তবতার সঙ্গে আমাদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হবে। ব্রাজিলে একদিনে ৪০ হাজারের বেশি ॥ গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হয় প্রাণঘাতী করোনা। এতে বিপর্যস্ত হয়ে যায় চীন। পরে ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সসহ ইউরোপের দেশগুলোতে বিপর্যয় চালায় করোনা। এখন করোনা তাণ্ডব চালাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রাজিলে নতুন করে আরও ৪০ হাজার ১৩১ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। মহামারী শুরুর পর একদিনে এটাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্তের ঘটনা। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৫১ হাজার ৪৭৯। এর মধ্যে ৫২ হাজার ৭৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ৩৪৫ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন চার লাখ ৮৫ হাজা ৩৬৩ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আট হাজার ৩১৮ জন। আক্রান্ত ও মৃতের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে ব্রাজিল। আর লাতিন আমেরিকায় তারা সবার ওপরে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে আগামী কয়েকদিনে করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. এ্যান্টনি ফাউসি। তিনি বলেন, বর্তমানে কিছু অঙ্গরাজ্যে করোনা বিরক্তিকর উত্থান দেখছে জাতি। সামনের দিনগুলোতে এ সংক্রমণ আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।
×