ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ হলো ডাকসুর মেয়াদ

প্রকাশিত: ২৩:১৪, ২৩ জুন ২০২০

শেষ হলো ডাকসুর মেয়াদ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ ২৮ বছর পর গঠিত হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল সোমবার। ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেনসহ অধিকাংশ সম্পাদক ও সদস্য অব্যাহতির কথা ভাবলেও পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত পদে বহাল থাকতে ইচ্ছুক ভিপি নুরুল হক নুর ও এজিএস গোলাম রাব্বানী। এদিকে পরবর্তী নির্বাচন কবে হবে তা নিয়েও কোন ধরনের সিদ্ধান্ত জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ১১ মার্চ ডাকসু নির্র্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির ২৫ টি পদের মধ্যে জিএস, এজিএসসহ মোট ২৩ টি পদে জয়লাভ করে ছাত্রলীগ। ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে জয়লাভ করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। ২৩ মার্চ ডাকসুর দায়িত্ব নেন নির্বাচিতরা। চলতি বছরের ২২ মার্চ এক বছর পূর্ণ করে এই কমিটি। ডাকসুর গঠনতন্ত্রের ৬(গ) ধারায় বলা আছে, নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পদাধিকারীরা ৩৬৫ দিনের জন্য কার্যালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন না হলে তারা অতিরিক্ত ৯০ দিন দায়িত্বে থাকবেন। ওই ৯০ দিনের আগে যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন কার্যনির্বাহী পদাধিকারীরা। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাকসুর আগের কমিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভেঙ্গে যাবে। ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলেও সংসদ ভেঙ্গে যাবে। ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে গত তিনমাস বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। সবকিছু স্থবির হয়ে আছে। ফলে ডাকসুর গঠনতান্ত্রিক মেয়াদ পুরোপুরি পালন করতে পারিনি। তাই সংসদের মেয়াদ শেষ না হলেও পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে থাকতে চাই। ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা রয়েছে বলেও জানান তিনি। ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী বলেন, করোনা দুর্যোগের জন্য যে সাড়ে তিন মাস আমরা কাজ করতে পারিনি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে সময়টুকু আমাদের প্রাপ্য। আর সেই সময়ের মধ্যে প্রশাসন পরবর্তী নির্বাচনের আয়োজন করতে পারবে। যেহেতু মেয়াদ শেষ হয়েছে, দায়িত্ব ছেড়ে দেয়াই উচিত বলে মনে করছেন ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন। গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে পদ ধরে রাখা অনৈতিক ও অগণতান্ত্রিক। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরেই পরবর্তী ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানান এই ছাত্রনেতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ আখতারুজ্জামান বলছেন, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের কোন সুযোগ নেই। ডাকসুর গঠনতন্ত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন অনুসরণ করেই সবকিছু করা হবে। উপাচার্যের একক সিদ্ধান্তে ডাকসু নির্বাচন হয় না। এটি একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। এতে অনেক স্টেকহোল্ডার জড়িত।
×