ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শরণখোলার বেড়িবাঁধে ফের ভাঙ্গন ॥ মেরামত শুরু

প্রকাশিত: ১৯:৩৫, ১১ মে ২০২০

শরণখোলার বেড়িবাঁধে ফের ভাঙ্গন ॥ মেরামত শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫-১ পোল্ডারের বাগেরহাটের শরণখোলা অংশে শনিবার রাতে আবার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। তিন দিনের মধ্যে দ্বিতীয় দফা ভাঙ্গনে বলেশ্বর নদীর পাড়ের গাবতলা-বগী গ্রাম সংলগ্ন বাঁধের ১০০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। শনিবার রাতে আকস্মিক ভাঙ্গনের খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। লোকালয়ে পানি না ঢুকতে পারে সেজন্য ভোর রাত থেকেই রিং বেড়িবাঁধের (গ্রাম রক্ষা বাঁধ) কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে নদীশাসন না করে স্বল্প পরিসরের এ কাজে খুশি নয় এলাকাবাসী। নদীশাসন টেকসই ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তা না হলে বগী ও গাবতলা গ্রামের বেশিরভাগ অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। স্থানীয়রা বলেন, শুক্রবার ও শনিবার রাতে ভাঙ্গনে প্রায় একশ’ মিটার বেড়িবাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সঙ্গে কয়েক একর জমিও চলে গেছে নদীতে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সিআইপি প্রকল্পের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে রিং বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এটা কোন স্থায়ী সমাধান নয়। নদীশাসন করে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তারা। বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদুজ্জামান খান বলেন, ভাঙ্গনের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। যাতে লোকালয়ে পানি ঢুকতে না পারে সেজন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যেই রিং বেড়িবাঁধের কাজ শেষ হবে। জমি অধিগ্রহণ ও নদীশাসন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করে ওই স্থানে দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ২০০৭ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার মানুষের জানমালের ক্ষতি সব থেকে বেশি হয়। তারপরে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঁচতে এই দুই উপজেলাবাসীর একটাই দাবি ছিল টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি বেড়িবাঁধ ও স্লুইসগেট নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ৬২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের প্রায় ৬০ কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু নদীশাসন করে কাজ না করার কারণে শরণখোলা উপজেলার বগী ও গাবতলা গ্রাম সংলগ্ন দুই কিলোমিটার অংশে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।
×