ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে ভাটারায় যৌথ অভিযান

প্রকাশিত: ০৯:৪৪, ৩১ মার্চ ২০২০

করোনা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে ভাটারায় যৌথ অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাস নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি), পুলিশ এবং সেনাবাহিনী)। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশ থেকে আসা বাংলাদেশী নাগরিকরা হোম কোয়ারেন্টাইন নির্দেশনা মানছেন কি-না সে বিষয়েও তদারকি করে যৌথবাহিনী। সোমবার ডিএনসিসির বর্ধিত এলাকা অঞ্চল-৯ আওতাধীন ভাটারা থানাধীন নতুন বাজার, খিলবাড়ির টেক, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অঞ্চল-৯ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন। সেনাবাহিনীর দলে নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন মাহমুদুল হাসান এবং পুলিশের দলের নেতৃত্ব দেন ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান। এসময় এসব এলাকার বিভিন্ন অলিগলি, আবাসিক এলাকা এবং বাজারে অবস্থান করছেন এমন মানুষের মাঝে সচেতনতামূলক বার্তা সংবলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়। হ্যান্ড মাইকিংয়ের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে যথাসম্ভব ঘরে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়। খুব প্রয়োজনে বাইরে বের হলেও মাস্ক, গ্লাভস পরে নিজেদের মধ্যে অন্তত দুই মিটার সামাজিক দূরত্ব মেনে অবস্থান করারও নির্দেশনা দেয়া হয়। একই সঙ্গে এসব এলাকায় সম্প্রতি যারা বিদেশ থেকে এসেছেন এবং যাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা আছে। তারা সেটি মানছেন কিনা। সে বিষয়েও তদারকি করে যৌথবাহিনী। অভিযানের সার্বিক বিষয়ে অঞ্চল-৯ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন জানান, এটা আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম। এই সময়ে আমরা চাই নাগরিকরা যেন যথাসম্ভব ঘরে থাকেন। এরপরেও কিছু মানুষ বের হচ্ছেন। প্রধান সড়ক বা রাজপথ সংলগ্ন জায়গাগুলোতে লোকজন বেশি ঘরে থাকার বিষয়টি মেনে চলছেন। কিন্তু এলাকার একটু ভেতর দিকে গেলে বোঝা যায় যে, অনেকেই ঘরে থাকছেন না। যেমন আপনারা এই এলাকায় (খিলবাড়ির টেক) দেখছেন কত মানুষ ঘরের বাইরে। আমরা তাদের বোঝাচ্ছি। সচেতন করার চেষ্টা করছি। এই সময় একটু ধৈর্য, সচেতনতা ও ঘরে থাকার থেকে ভাল কোন ওষুধ নেই। হেমায়েত হোসেন জানান, নাগরিকরা ঘরে থাকবেন। যারা অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল নন। আমরা তাদের খাদ্যসামগ্রী দেবো। ইতোমধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের ৫০০টি করে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলরদের ১০০টি করে অসচ্ছল, অসহায় পরিবারের তালিকা করতে বলা হয়েছে। আমরা তাদের খাদ্যসামগ্রী দেবো। এদিকে হোম কোয়ারেন্টাইন তদারকির বিষয়ে ভাটারা থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান জানান, আমাদের কাছে একটি তালিকা আছে যে কারা সম্প্রতি বিদেশ থেকে এই এলাকায় এসেছেন, এখানকার বাসিন্দা। কাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা আছে। সেই তালিকা ধরে ধরে আমি প্রতিদিনই সর্বোচ্চ সংখ্যক বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তদারকি করছি। আপনারা দেখেছেন আমরা আজ একটি বাড়িতে গেলাম যেখানে কাতার থেকে উর্মিলা শহিদ নামে এক নারী ফিরে এসেছেন। আমরা তার বাবা শাহাবুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি (উর্মিলা) হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন কিনা, তাকে একটি ঘরে রাখা হয়েছে কিনা এবং তার সঙ্গে কেউ মেলামেশা করছে কিনা সে বিষয়টি দেখছি। আবার শুধু তাদের কথা না, আশপাশের দোকানদার বা এলাকাবাসীর থেকেও তথ্য নিচ্ছি যে, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা আছে এমন ব্যক্তি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কিনা।
×