ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

দশ বছরে ৪১ মামলায় ৯৫ রাজাকারের বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড

প্রকাশিত: ১১:৩৫, ২৫ মার্চ ২০২০

দশ বছরে ৪১ মামলায় ৯৫ রাজাকারের বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড

বিকাশ দত্ত ॥ আজ ২৫ মার্চ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করার পর বিচার এখনও অব্যাহত রয়েছে। দশ বছরে ৪১টি মামলায় মোট ১০৫ জন আসামির মধ্যে ৯৫ জন রাজাকারকে বিভিন্ন মেয়াদে দ- প্রদান করা হয়েছে। ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে ৬ যুদ্ধাপরাধীর। বর্তমানে আপীল বিভাগে ৩০টি মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩৬টি মামলায় ২৩৭ জনের বিভিন্ন পর্যায়ে বিচার কাজ চলছে। অন্যদিকে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ৭৭টি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিন চতুর্থাংশের বেশি আসনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসে। এই অবিস্মরণীয় বিজয়ের অন্যতম কারণ হচ্ছে যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রতি মহাজোটের অঙ্গীকার, যা তরুণ প্রজন্মের নির্বাচকম-লীকে আকৃষ্ট করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ২৯ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার বিষয়ে সর্বসম্মত প্রস্তাব পাস হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা এবং আইন সংশোধনের মাধ্যমেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হয়েছে। মামলার সংখ্যা বাড়া এবং দ্রুত নিষ্পক্তি করতে ২০১২ সালের ২২ মার্চ গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। পরবর্তীতে তারকাখচিত আসামিদের মামলার সংখ্যা কমে আসায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১০ সালের ২৫ মার্চ পুরাতন হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল গঠনে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহম্মেদ, আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও আলবদর কমান্ডার নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদ-ের আদেশ বাহাল রেখে আপীল বিভাগের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। সেই রায়ের কপি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল আজহারের মৃত্যু পরোয়না জারি করেছে। কারাগারে আজহারকে রায় পড়ে শুনানো হয়েছে। আজহার আপীলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করবেন।
×