ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আইপিএলে এক ম্যাচ জিতে মনে হয়েছিল বিশ্বকাপ পেয়েছি ॥ শোয়েব

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

আইপিএলে এক ম্যাচ জিতে মনে হয়েছিল বিশ্বকাপ পেয়েছি ॥ শোয়েব

অনলাইন ডেস্ক ॥ বিশ্বের অন্যতম সেরা ও জমজমাট ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট আইপিএলে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ নেই প্রায় ১২ বছর ধরে। ২০০৮ সালে টুর্নামেন্টের প্রথম আসরেই শুধু খেলতে পেরেছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। এরপর থেকেই এ টুর্নামেন্টে নিষিদ্ধ তারা। তবে সেই একবারই আইপিএল খেলে দারুণ কিছু পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছিলেন পাকিস্তানিরা। এর মধ্যে ছিলো সোহেল তানভিরের ১৪ রানে ৬ উইকেট কিংবা নিজের প্রথম ম্যাচেই শোয়েব আখতারের ১১ রানে ৪ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব। প্রায় এক যুগ পর এসে কেনো সেই স্মৃতিচারণ? কারণ, রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেসখ্যাত শোয়েব নিজেই ফিরে গিয়েছেন স্মৃতির পাতায়। সেবার আইপিএলে মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছিলেন শোয়েব। কিন্তু প্রথম ম্যাচে মাত্র ১১ রানে পাওয়া ৪ উইকেটের স্মৃতি এখনও জ্বলজ্বলে তার মনে। সেই ম্যাচ জেতার পর শোয়েবের মনে হয়েছিল, তিনি যেনো বিশ্বকাপটাই জিতে ফেলেছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে টুর্নামেন্টের মাঝপথেই খেলতে নেমেছিলেন শোয়েব। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিপক্ষে সে ম্যাচে ১৩৩ রানের বেশি করতে পারেনি কলকাতা। সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেছিলেন শোয়েবেরই স্বদেশি সালমান বাট। এত অল্প রানের ম্যাচ সহজেই জেতার কথা ছিলো দিল্লির। কিন্তু নিজের প্রথম স্পেলেই দিল্লির সব সম্ভাবনা গুঁড়িয়ে দেন শোয়েব। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ১৪৯ কিমি প্রতি ঘণ্টার এক গোলায় সাজঘরে পাঠান ভিরেন্দর শেবাগকে। পরের ওভারে গৌতম গম্ভীরকে আউট করেন ১৪৫ কিমির ডেলিভারিতে। নিজের তৃতীয় ওভারে প্রথমে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে ১৪৬ কিমির ডেলিভারিতে ক্যাচ ও পরে ১৫০ কিমির ডেলিভারিতে মনোজ তিওয়ারিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন। শোয়েবের প্রথম তিন ওভারেই ৪ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে দিল্লি। পরে শেষতক তারা অলআউট হয় মাত্র ১১০ রানে। লক্ষীরতন শুকলা মাত্র চার বলের ব্যবধানে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। তবে ম্যাচসেরার পুরস্কার স্বাভাবিকভাবেই উঠেছিল শোয়েব আখতারের হাতে। সে ম্যাচের স্মৃতিচারণ করে শোয়েব বলেন, ‘আমি যখন ৪ উইকেট নিলাম, সবাই যেন পাগল হয়ে গেলো। এমনকি শাহরুখ খান (কলকাতার মালিক) পর্যন্ত সারা মাঠ জুড়ে দৌড়াচ্ছিল। সে আনন্দের আতিশয্যে বয়ে যাচ্ছিল। আমার মনে হচ্ছিল যেনো বিশ্বকাপই জিতে গিয়েছি, চারদিকে এতোই উৎসবের আবহ ছিলো। শাহরুখ বলেছিল, তুমি আমাদের জন্য অনেক বড় একটা ম্যাচ জিতেছ।’ কলকাতার অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি সেই ম্যাচে শোয়েবের পারফরম্যান্সের ব্যাপারে লিখেছিলেন, ‘আমি জানতাম শোয়েবের গতি ছোট ফরম্যাটে পার্থক্য গড়ে দেবে। সেটাই ঘটেছিল। ভিরেন্দর শেবাগের লড়াকু দিল্লিকে একাই শেষ করে দিয়েছিল শোয়েব। আনন্দে গর্জন করে উঠেছিল ইডেন। এটা আমাদের অন্যতম স্মরণীয় জয় ছিল।’
×