ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত, কাল থেকে রাজধানীতে বিশেষ অভিযান

ফের অগ্নিসন্ত্রাসের ছক বিএনপি জামায়াতের

প্রকাশিত: ১১:০৪, ২৯ জানুয়ারি ২০২০

ফের অগ্নিসন্ত্রাসের ছক বিএনপি জামায়াতের

গাফফার খান চৌধুরী ॥ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার অভিযোগ তুলে পরিকল্পনা হচ্ছে সরকার পতনের আন্দোলন গড়ে তোলার। তারই অংশ হিসেবে সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী ও জঙ্গীদের ঢাকায় আনা হচ্ছে। অনেক সন্ত্রাসী ও জঙ্গী জামিন নিয়ে ঢাকায় আত্মগোপন করেছে। আন্দোলনের পাশাপাশি বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার জন্ম দিতেই বিএনপি-জামায়াত এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। নির্বাচনের সময় ও অতীতের মতো নির্বাচনপরবর্তী অগ্নিসন্ত্রাস চালানোর প্রস্তুতিও চলছে বলে একাধিক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে। এমন পরিকল্পনা মোকাবেলায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীতে শুরু হবে বিশেষ অভিযান। এতে অস্ত্রধারী অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেফতারের পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। ভোট সুষ্ঠু করতে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, ভোট সুষ্ঠু করতে যা যা করণীয় তার সবই করা হবে। ইতোমধ্যেই সে ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে বহিরাগত লোকজন যাতে ঢাকায় অবস্থান করে নির্বাচনে কোন ধরনের সহিংসতা বা সন্ত্রাসী কর্মকা- চালাতে না পারে, এজন্য কড়া ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে বাড়তি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেকপোস্টগুলোতে ঢাকায় প্রবেশ করা ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া বহিরাগতদের ঢাকায় প্রবেশ এবং অবস্থান না করার জন্য নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ঢাকার ভেতরে আত্মগোপনে থাকা জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে ইতোমধ্যেই সাঁড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে অভিযানের তীব্রতা আরও বাড়ানো হচ্ছে। অতীতের মতো কোন প্রকার অগ্নিসন্ত্রাস চালাতে দেয়া হবে না। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন জনকণ্ঠকে জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে, নির্বাচন চলাকালে বা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে অতীতের মতো যাতে অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনা না ঘটে, এজন্য পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি। সেই অবরোধে বিএনপি-জামায়াত-শিবির শত যানবাহন ভাংচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। দেশব্যাপী চালানো সেই অগ্নিসন্ত্রাসে বহু মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে বিএনপি-জামায়াত-শিবির। ডিএমপির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, আগামী ৩০ জানুয়ারি রাত থেকেই ঢাকা ও তার আশপাশের সব হোটেল, গেস্টহাউস, মেস ও সন্দেহভাজন বাসা বাড়ি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ের যানবাহনে কঠোর তল্লাশি চালানো হবে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া বহিরাগতদের ঢাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ঢাকায় থাকা বহিরাগতদের রাজধানী ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেয়া নির্বাচন পূর্ববর্তী, নির্বাচন চলাকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। নির্বাচন পূর্ববর্তী নিরাপত্তা হিসেবে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এদিকে নির্বাচন কমিশনের সিস্টেম ম্যানেজার মোঃ আশরাফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় যেসব ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা রয়েছে, সেগুলো মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ভোটের আগের দিন ও ভোটের দিন ছাড়াও মক ভোটের দিনসহ মোট তিন দিন সিসি টিভি ক্যামেরায় প্রত্যেক কেন্দ্রের চিত্র ধারণ করা হবে। জরুরীভিত্তিতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ঢাকা উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম ও দক্ষিণ সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য ভোটকেন্দ্র হিসেবে যে সকল প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারণ করা হয়েছে, তারমধ্যে সে সকল প্রতিষ্ঠানে সিসি টিভি ক্যামেরা রয়েছে সেইসব কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা দেখভাল করতে সিসি ক্যামেরাগুলো মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে ভোটের আগের দিন, মক ভোটিংয়ের সময় ও নির্বাচনের দিন সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করা হবে। ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রের কোন গোপন কক্ষের কোন দৃশ্য সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় আসবে না। এ বিষয়ে সার্বিক সমন্বয় ও সহায়তার জন্য ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, ভোটের দিন কেন্দ্রের নিজস্ব সিসি ক্যামেরাগুলো সচল রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ও ভোটকেন্দ্র হিসেবে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র এক হাজার ৩১৮টি। ভোটকক্ষের সংখ্যা সাত হাজার ৮৪৬টি। এ সিটিতে ভোটারের সংখ্যা ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র এক হাজার ১৫০টি। ভোটকক্ষ ছয় ৫৮৮টি। এ সিটিতে ভোটারের সংখ্যা ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই ভোটকেন্দ্রগুলো ও তার আশপাশের এলাকার ওপর নজরদারি শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। কেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অনেক কেন্দ্রের আশপাশে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বসানো হয়েছে কন্ট্রোলরুম। ঢাকার পিলখানা বিজিবি সদর দফতরেও কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া প্রস্তুত থাকছে র‌্যাবের হেলিকপ্টার, সোয়াট, বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, র‌্যাবের ডগস্কোয়াড ও ক্রাইসিস রেসপন্স টিম। পাশাপাশি বাড়তি পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসারও প্রস্তুত থাকছে। গুরুত্ব বিবেচনা করে অনেক কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন, ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পর্যাপ্ত পরিমাণ সিসি ক্যামেরা থাকছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারকি করতে বসানো হয়েছে মনিটরিং সেল। নির্বাচন পূর্ববর্তী, নির্বাচন চলাকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী তিনটি ধাপে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। বিজিবি সদর দফতর জানিয়েছে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তাদের ৬৫ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন থাকবে। এরমধ্যে ঢাকার উত্তরে ২৭ প্লাটুন আর দক্ষিণে ৩৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। প্রতি দুটি সাধারণ ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে বিজিবি মোতায়েন থাকবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি মোবাইল ফোর্স থাকবে। এছাড়া প্রতি ৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং প্রতি থানায় একটি করে রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। আর প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি র‌্যাবের টিম থাকবে। সূত্র জানায়, ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটগ্রহণের দিন এবং এর আগে ২ দিন ও পরে ১ দিন মোট ৪ দিনের জন্য নিয়োজিত থাকবে। ভোটের আগের দিন রাতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সঙ্গে ভোটকেন্দ্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর সকল সদস্য ভোটকেন্দ্রেই অবস্থান করবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নির্বাচনে ১২৯ জন কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা ভোটের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করবেন। সূত্র বলছে, এছাড়াও অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে ঢাকার আশপাশের মহাসড়কগুলোর নিরাপত্তায় বাড়তি বিজিবি প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে আগামী ৩০ জানুয়ারি দিবাগত রাত বারোটা থেকে নির্বাচনী এজেন্ট, দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং সেবামূলক কাজে নিয়োজিত জরুরী সেবাদানকারী যানবাহন চলাচল নির্বিঘœ করতে বাড়তি নিরাপত্তা আরোপ করা হচ্ছে। সাংবাদিক ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা একত্রে ৫ জনের বেশি কোন ভোট কেন্দ্রে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে পারবেন না। যেখানে ভোটের সিল দেয়া হয়, সেই গোপন কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না। গত ২৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোর থেকে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি রাত বারোটা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ছাড়া ব্যক্তিগত বা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একই দিন রাত বারোটা থেকে সব ধরনের জনসভা, অনুষ্ঠান, মিছিল, শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের ৪শ’ গজের মধ্যে কোন প্রার্থীর ক্যাম্প স্থাপন বা প্রচার চালানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকা থেকে বহিরাগতদের শহর ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি রাত বারোটা থেকে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর বাড়তি নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে। ঢাকার ভোট কেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি দেখভাল করতে সচিবালয়ের পাশে আব্দুল গনি রোডে স্থাপন করা হয়েছে প্রধান কন্ট্রোল রুম। ব্যালটসামগ্রী নিরাপদে পৌঁছে দিতে ইতোমধ্যেই সকল নিরাপত্তা প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ভোটকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আশপাশের উঁচু ভবনগুলোতে ওয়াচ টাওয়ার বসানো হচ্ছে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে শক্তিশালী বাইনোকোলার দিয়ে ভোটকেন্দ্রসহ আশপাশের এলাকার ওপর নজর রাখা হবে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে থাকছে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান, ভবন, ঐতিহাসিক স্থান, উপাসনালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে যুদ্ধাপরাধ মামলার সঙ্গে জড়িতদের। কূটনৈতিকপাড়াসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশ ও র‌্যাবের বাড়তি সদস্য টহল দিচ্ছে। নির্বাচনকালীন সময়ে কেউ যাতে আতশবাজি দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে না পারে, এজন্য আতশবাজির দোকান ও দোকানমালিকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আতশবাজি বেচাকেনার ওপর বাড়তি বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আতশবাজির দোকানগুলোর ওপর বাড়তি গোয়েন্দা নজরদারি চলছে।
×