ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জামা ইস্ত্রি করার ক্ষমতা ছিল না আমাদের ॥ আতিক

প্রকাশিত: ১১:১৪, ৯ জানুয়ারি ২০২০

জামা ইস্ত্রি করার ক্ষমতা ছিল না আমাদের ॥ আতিক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নয় মাসের অনুশীলনকে কাজে লাগাতে চাই। নয় মাস সততার সঙ্গে কাজ করেছি। যদি জনগণ আমাকে নির্বাচিত করেন তাহলে সেই অনুশীলন, অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগামী ৫ বছর নগরবাসীর সেবা করতে চাই। বুধবার রাজধানীর বনানীর নির্বাচনী পরিচালনা কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ মৎস্যজীবী লীগ এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। বাংলাদেশ মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সায়ীদুর রহমান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মৎস্যজীবী লীগের কার্যকরী সভাপতি সাইফুল আলম মানিক, সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্করসহ মৎস্যজীবী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আতিকুল বলেন, এখন আমি ব্যক্তি আতিক নই, এখন আমি আওয়ামী লীগসহ সব সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের প্রার্থী। এই নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। তাই সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ডেঙ্গু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাঁদ রাতে ডেঙ্গু নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। ডেঙ্গু নিয়ে কথা বলতে হবে বছরের ৩৬৫ দিনই। যে নয় মাস আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্বে ছিলাম সেটা আমার জন্য অনুশীলন। তার মধ্যেও আমাকে কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। দায়িত্ব নেয়ার পরই এফআর টাওয়ারে আগুন লাগল, নিরাপদ সড়কে ছাত্র আন্দোলন এবং সবচেয়ে বেশি কঠিন ছিল ডেঙ্গুর ভয়াবহ পরিস্থিতি। ডেঙ্গু পরিস্থিতির সব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামীতে কাজ করতে চাই। অনুষ্ঠানে এক পর্যায়ে আতিকুল ইসলাম তার মায়ের কষ্ট করে সন্তান পালনের স্মৃতিচারণ করে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, আমার বাবা-মা আমাদের ১১ ভাই-বোনকে মানুষ করেছেন খুব কষ্ট করে। আমাদের জামা ইস্ত্রি করার সুযোগ বা ক্ষমতা ছিল না। পরিবারের আর্থিক দুঃসময়ে পরিবার সামলাতে হিমশিম খেতেন বাবা-মা। আমার মা আমার জামা ইস্ত্রি করার জন্য জামা সেলাই করে বালিশের নিচে রেখে দিতেন। আমি দেখেছি আমার মা কীভাবে কষ্ট করেছেন ১১ জন ছেলে মেয়েকে মানুষ করার জন্য। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আতিকুল ইসলাম বলেন, আমার মা আমার জামা সেলাই করে বালিশের নিচে রাখতেন। সেই বাবা-মায়ের দোয়ায় আজ আমার এত বড় গার্মেন্টস আছে। সেই আতিক আল্লাহর রহমতে বড় হয়েছে। আমার মা আমাদের জন্য কষ্ট করেছেন, আমার মা আমাদের শিখিয়েছেন মিতব্যয়ী হওয়ার জন্য।
×