ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এবার ত্রিপুরায় গণধর্ষণের পর কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যা!

প্রকাশিত: ০০:১২, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯

এবার ত্রিপুরায় গণধর্ষণের পর কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যা!

অনলাইন ডেস্ক ॥ ভারতের হায়দারাবাদ শহরে এক তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা নিয়ে দেশটিতে বিক্ষোভ চলার মধ্যেই ত্রিপুরা রাজ্যে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা অগ্নিদগ্ধ কিশোরীকে হাসপাতালে নিলে সেখানেই মৃত্যু হয় তার। ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গণধর্ষণের শিকার হয়ে মৃ্ত্যুবরণ করা ওই তরুণীর বয়স ১৭ বছর। দুমাস ধরে প্রেমিক ও তার বন্ধুরা মিলে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে। তারপর গতকাল মারাত্মক অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও তাকে বাাঁচানো সম্ভব হয়নি। গত শুক্রবার দক্ষিণ ত্রিপুরার শান্তিবাজার নামক এলাকায় প্রেমিক ও প্রেমিকের মা মিলে ওই তরুণীর গায়ে আগুন লাগিয়ে দিলে তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। পুলিশ বলছে, প্রতিবেশীরা গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় জিবি পন্থ হাসপাতালে ভর্তি করায়। পুলিশ আরও জানায়, দুই মাস আগে তার প্রেমিক তাকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে। গণধর্ষণের শিকার তরুণীর পরিবার বলছে, অজয় রুদ্রপাল নামের ওই যুবক তাদের কাছে মেয়ের মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার রুপি চায়। কিন্তু গত শুক্রবার পর্যন্ত তারা ১৭ হাজার রুপি যোগাড় করতে সমর্থ হলে ক্ষুব্ধ অজয় কিশোরীর গায়ে আগুন দেন। কিশোরীকে ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই, বিক্ষুব্ধ জনতা ওই হাসপাতালে জমায়েত হন। তারা অভিযুক্ত কিশোর তার মায়ের ওপর আক্রমণ চালায়। পুলিশ বলছে, মূল অভিযুক্ত অজয়কে হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাউথ ত্রিপুার পুলিশ সুপার জল সিং মীনা বলেন, ‘গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরীর শরীরে আগুন দেয়া হয়। আমরা তদন্ত করছি।’ ঘটনার শিকার কিশোরীর সঙ্গে অভিযুক্ত কিশোরের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়। তারপর দেখা করার নামে কিশোর তরুণীকে আটকে রাখে এবং তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। কিন্তু মুক্তিপণের টাকা না পাওয়ায় সে এবং তার বন্ধুরা মিলে বিগত অনেকদিন ধরেই কিশোরীরকে ধর্ষণ করে। ঘটনার শিকার তরুণীর মা জানিয়েছেন, মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা পুলিশের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ দাখিল করে। যখন অভিযুক্ত তাদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে তখন তারা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।
×