ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মোঃ মামুন রশীদ

টেস্টে উন্নতির জন্য প্রয়োজন আরও বেশি সিরিজ খেলা

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ২৭ নভেম্বর ২০১৯

টেস্টে উন্নতির জন্য প্রয়োজন আরও বেশি সিরিজ খেলা

শুরুটা হয়েছিল অভাবিত স্বপ্নের মতো, ভারত সফরের প্রথমেই ৩ ম্যাচের টি২০ সিরিজ। প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিকদের হারিয়ে দিয়ে বিস্ময়ের জন্ম দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কারণ, এর আগে কয়েকবার জিততে জিততেও হেরে গেছে যে দলটি এবং সবমিলিয়ে ৮ বারের চেষ্টায় পারেনি- তাদেরই নিজভূমে পরাস্ত করে অবিশ্বাস সৃষ্টি করে বাংলাদেশ দল। এতটা অবিশ্বাসের কারণ আছে আরও। দলে নেই বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও ফর্মের তুঙ্গে থাকা পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তাই বার বার নিজের গায়েই চিমটি কেটে সত্যিটা ঠাহর করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন ক্রিকেট ভক্ত-সমর্থকরা। অবশ্য সেটাই শেষ, এরপর পুরো সফরে আর মাথা তুলেই দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ দল। ২-১ ব্যবধানে টি২০ সিরিজে হেরে দুই টেস্টের সিরিজে মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা হয়েছে সফরকারীদের। দুর্বিষহ একটা সিরিজ শেষ করেছে দল। ১৯ বছর ধরে টেস্ট মর্যাদা নিয়ে চলা দলটি প্রথমবার ভারতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলেছে এবার, কিন্তু বিশ্বসেরা টেস্ট দলটির কাছে পেয়ে গেছে চরম শিক্ষা। সিরিজ শেষে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিও সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন, শুনিয়ে দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতির দিকনির্দেশনা। পুরো সিরিজে সবার নজর ছিল ইডেন গার্ডেন্সকে ঘিরে। কারণ উপমহাদেশের প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট হবে সেখানে। কলকাতার নন্দন কানন খ্যাত এই ঐতিহাসিক মাঠে ভারত-বাংলাদেশও খেলবে প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট। গোলাপী বলে খেলেনি কোন দলই। বেশ কয়েকজন ভারতীয় ক্রিকেটারদের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীতে চারদিনের ম্যাচ গোলাপি বলে ফ্লাড লাইটের আলোয় খেলার অভিজ্ঞতা আছে ঠিকই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য একেবারেই অচেনা এক চ্যালেঞ্জ সেটি। ভারতের ক্রিকেটাররা অবশ্য কুকাবুরার গোলাপি বলে খেলেছেন দিবারাত্রির প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ। বিশ্বব্যাপী এই কুকাবুরা গোলাপি বলই ব্যবহার হয় দিবারাত্রির চারদিনের ম্যাচে। তাছাড়া আগের যে ১১টি দিবারাত্রির টেস্ট হয়েছে সেখানেও কুকাবুরাতেই খেলা হয়েছে। এবার সেখানেও ছিল ভিন্নতা। এসজি কোম্পানির গোলাপি বলে খেলা। তবে আয়োজনটাকে বর্ণাঢ্য করা হয়েছিল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কলকাতার মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়সহ অনেক সাবেক তারকা ছিলেন উপস্থিত। হাসিনা-মমতা ঘণ্টা বাজিয়ে ইডেন টেস্টের উদ্বোধন করেন, স্বর্ণের মুদ্রায় টস করেন দুই অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও মুমিনুল হক। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ-ভারত অভিষেক টেস্টে খেলা ক্রিকেটাররা। প্রথম দিনশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়, সেখানে গান গেয়েছেন বাংলাদেশের রুনা লায়লা ও ভারতের জিৎ গাঙ্গুলী। কলকাতা সেজেছিল বর্ণিল সাজে। সবখানেই ছিল গোলাপি রঙের ছোঁয়া। বিপুল পরিমাণ দর্শক উপস্থিত হয়েছেন মাঠে। এমনকি টেস্ট ম্যাচ হলেও টিকেটের হাহাকার তৈরি হয়েছিল। এমন একটি অবিস্মরণীয় ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে যায় ২ দিন ও ৪৭ মিনিট খেলে। পরবর্তীতে দর্শকদের কথা চিন্তা করে পশ্চিমবঙ্গ ক্রিকেট এ্যাসোসিয়েশন দর্শকদের বাকি ২ দিনের টিকেট মূল্য ফেরতও দিয়ে দেয়। বেদনার রং নীল, কষ্টের রং বেগুনী আর শোকের ‘কালো’! কিন্তু ইডেন টেস্টে বাংলাদেশ দলের কষ্ট, বেদনা এবং শোকের রং এক হয়ে গেছে। আর সেই রং গোলাপি! ভারতীয় পেসারদের ভয়ঙ্কর তোপে ইডেনের রঙিন আয়োজন বিবর্ণ হয়ে যায় বাংলাদেশের জন্য। বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশের। গোলাপি বল নিয়ে যত অস্বস্তি, অজানা ভয় ছিল, সেটি যে একেবারে অমূলক নয় তা বোঝা গেছে ভারতের শক্ত ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে বাংলাদেশী পেসারদেরও দারুণ বোলিংয়ে। তারা ঠিকই বর্ণিল উৎসবে আরও রং ছড়াতে পেরেছে। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে ভারত টানা ৪ টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়ে। এমন দুবির্ষহ সমাপ্তির আগে প্রথম টি২০ জিতে দারুণ শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। সাকিবের নিষেধাজ্ঞা, তামিমের ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়ানো, সাইফউদ্দিনের ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়া এবং মাত্রই ক্রিকেটারদের আন্দোলনে টালমাটাল একটি দল নিয়ে প্রথমবার ভারতের বিপক্ষে টি২০ ম্যাচে জয়টা ছিল দারুণ স্বস্তির। কিন্তু এরপর দুই টি২০ ম্যাচে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। ভারতের উদীয়মান পেসার দীপক চাহার তৃতীয় ও শেষ টি২০ ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নেন। মাত্র ৭ রানে ৬ উইকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক টি২০ ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। তার মতো বোলিং আর কেউ করেননি। তবু ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেও ইতিবাচক অনেক কিছুই পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। অন্তত দলটি লড়াই করেছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বে। তাছাড়া তরুন ওপেনার মোহাম্মদ নাইম শেখের মতো ভাল পারফর্মারকে খুঁজে পেয়েছে দল। ৪৮ বলে ৮১ রানের একটি বিধ্বংসী ইনিংসও খেলেন তিনি শেষ ম্যাচে। কিন্তু ইন্দোরে প্রথম টেস্টে তৃতীয় দিন এক ঘণ্টা আগেই ইনিংস ও ১৩০ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ ব্যাটিং ব্যর্থতার চরম নিদর্শন দেখিয়ে। শুধু অভিজ্ঞতম টেস্ট খেলোয়াড় মুশফিকুর রহীম ৪৩ ও ৬৪ রানের দুটি ইনিংস উপহার দিতে পেরেছিলেন। দ্বিতীয় টেস্টেও তিনি ০ ও ৭৪ রানের ইনিংস খেলে ভারতের বিপক্ষে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে টেস্টে ৫০০ রানের মালিক হয়ে যান। ব্যাটিং সাফল্য বলতে এটুকুই। আর বাংলাদেশী পেসাররা পুরো সিরিজেই দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। প্রথম টেস্টে আবু জায়েদ রাহী ৪ উইকেট নেন। দ্বিতীয় টেস্টে ৫ বছর পর ফেরা আলআমিন হোসেন ৩টি, ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করে এবাদত হোসেন চৌধুরী রোহিত শর্মা, চেতেশ্বর পুজারা ও বিরাট কোহলিদের উইকেট তুলে নেন। কিন্তু বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুতেই বিশ্বের এক নম্বর দলের বিপক্ষে পরাজয়টা এত নির্মম হয়েছে সাকিব, তামিমের মতো অভিজ্ঞদের অনুপস্থিতিতে। ভারতীয় অধিনায়ক কোহলিও সেটাই বলেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রথমত, তাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই খেলোয়াড় ছিল না। সাকিব ছিল না, তামিমও নেই। আর তারপর শুধু মুশফিক একা। মাহমুদুল্লাহও ছিল, কিন্তু আপনি শুধু দুজন খেলোয়াড় দিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে পারবেন না। বাকিরা তরুণ, তাই তাদের শুধু অভিজ্ঞতা অর্জনই হবে।’ টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতির আরও কারণ আছে। যার মধ্যে অন্যতম নিয়মিত টেস্ট না খেলা। আরেকটি বড় কারণ টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতির জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের অবকাঠামোগত সমস্যা। এটি নিয়ে ক্রিকেটাররা আন্দোলনের সময়ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে সমাধান চেয়েছিলেন। এ বিষয়ে কোহলি বলেন, ‘তারা যদি অনেক টেস্ট ক্রিকেট খেলে তাহলে অনেক অভিজ্ঞও হবে। যদি দুটা টেস্ট ম্যাচ খেলার দেড় বছর পর আবার খেলতে নামেন তাহলে আপনি কোনভাবেই বুঝতে পারবেন না পরিস্থিতিগুলো কিভাবে সামলে উঠতে হবে এবং চাপের মুখে কিভাবে খেলতে হবে। তবে দক্ষতা, মেধা অবশ্যই দলটিতে আছে। মানুষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে, কারণ তারা খেলার জন্য যথেষ্ট যোগ্য। কিন্তু এটা খুবই জরুরী ম্যাচের এমন পরিস্থিতিসমূহ নিয়মিত মোকাবেলা করা। শুধু তখনই তারা বুঝবে যে কিভাবে এ অবস্থায় ভাল করা যায়। আমি যে বিষয়টার দিকে ইঙ্গিত করেছি যে বোর্ড এবং খেলোয়াড়দের অবশ্যই বুঝতে হবে এটা কতখানি বড় ব্যাপার তাদের জন্য। আর এটাই একমাত্র উপায় টেস্ট ক্রিকেটে এগিয়ে যাওয়ার।’ উত্তরণের পথও দেখিয়েছেন কোহলি। নিজেদের উন্নতির পেছনের কারণগুলো ব্যাখ্যা করেছেন এ সময়। তিনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতির জন্য কি কোন পন্থাই নেই? বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কি করতে পারে এ ব্যাপারে? বিশেষভাবে কোহলি আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরী এমন দাবিই করলেন। এ বিষয়ে কোহলি যে দিক নির্দেশনা দিলেন, তা হলো, ‘ক্রিকেটারদের কাজটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত। নির্ভর করে যে কোন ক্রিকেট বোর্ড এটাকে কিভাবে চালিয়ে নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে যদি তাকান, তাদের অনেক ধরনের ইস্যু আছে কিছু বছর যাবত। আমি নিশ্চিত করে জানি না যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে কিভাবে পর্যালোচনা করে, কতটা উৎকর্ষের জন্য কাজ করছে এবং কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে। আমার মনে হয় টেস্ট ক্রিকেটের শক্তিটা আসে আর্থিক কাঠামোর মাধ্যমে। যদি টেস্ট ক্রিকেটে ভাল আর্থিক সুযোগ-সুবিধার পর্যায়টা বজায় না রাখা হয়, কিছুদিন পর তাদের অনুপ্রেরণা নি¤œমুখী হবে। কারণ, যেসব খেলোয়াড় ২০ ওভারের ম্যাচ খেলে মাত্র ৪ ওভার বোলিং করে তারা প্রায় ১০ গুণ উপার্জন করে। দিনশেষে এটা রুটি-রুজির ব্যাপার। তাই ৫-৬ বছর ধরে লেগে থাকার যুক্তিটায় আর কেউ ভ্রƒক্ষেপ করবে না। তখন যে কেউ পেশাটাই বদলে জানিয়ে দেবে যে শুধু টি২০ খেলব। আমার মনে হয় এই বিষয়টা শুধু সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যেতে পারে কেন্দ্রীয় চুক্তির মাধ্যমে। আপনি দেখেন কিভাবে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড অনেক বছর ধরে শক্তিশালি- তাদের চুক্তির কাঠামোটা শুরু হয় টেস্ট দিয়ে এবং এরপর পর্যায়ক্রমে বাকিগুলো। তাই আমার দৃষ্টিতে, আমরা সেই পরিবর্তনগুলো এখানে করেছি যেন টেস্ট খেলোয়াড়দের মনোভাব এমন হয় যে দীর্ঘ সময় এটার সঙ্গে লেগে থাকলেও ভবিষ্যৎটা নিরাপদই হবে। অনুপ্রেরণা, ইচ্ছাশক্তি তো থাকাই উচিত, তবে সেই সঙ্গে যৌক্তিক কিছুও থাকতে হবে। যদি আপনি বলে তীব্র মনোবাসনা নিয়ে খেলে যাও, কিন্তু আর্থিক বিষয়টা ভুলে যাও, সেক্ষেত্রে পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এটা নিয়ে আপনি বেঁচে থাকতে পারবেন না এবং অবশ্য অন্য কোথাও কাজ খুঁজবেন। তাই আমি মনে করি এই ব্যাপারটাই আমাদের খুঁজে বের করতে হবে এবং তারপর দেখা যাবে কি হয়।’ সবমিলিয়ে ভারত সফরটি ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটি উচিত শিক্ষা ছিল তা কোহলির কথা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেছে। সেই শিক্ষাটা কাজে লাগাতে পারবে বাংলাদেশ দল? কোহলিরা নিজ দেশ থেকেই শিখেছেন বলেই এসব জানাতে পেরেছেন। এখন যারা জাতীয় দলে সুযোগও পান না নিয়মিত, তাদের একটি নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো দিয়ে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং নিয়মিত তারা যেন সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়ে অনুশীলন চালিয়ে যেতে পারে তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তাই কোহলির দাবি, এখন ভারতীয় দলের রিজার্ভ বেঞ্চ অনেক শক্তিশালি হয়ে উঠেছে। তার প্রমাণ পরপর দুই সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ দলকে নাস্তানাবুদ করার মাধ্যমেই দিয়েছে ভারতীয় দল। বিশেষ করে পেসারদের যতœ নেয়ার ক্ষেত্রে তারা যে কতটা এগিয়ে তাই জানা গেছে কোহলির কথা থেকে। এই শিক্ষাগুলো বিসিবি যদি কাজে লাগাতে পারে হয়তো ফল আসতে পারে। ভারত সফরের আগেই ঘরোয়া ক্রিকেটে বেতন-ভাতাসহ ফিটনেস ট্রেনিং, অনুশীলন এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ঘাটতি নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন ক্রিকেটাররা। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ক্রিকেটারদের সংখ্যা বাড়ানোরও দাবি করা হয়। কোহলির কথার পর আরও বেশি যৌক্তিক মনে হচ্ছে এখন ক্রিকেটারদের সেই আন্দোলনকে। ভারত সফর শেষে এখন বিসিবি কতটা গুরুত্ব দেয় বিষয়গুলোকে তা সময়ই বলে দেবে। যদি প্রথম শ্রেণীর অবকাঠামোগত পরিবর্তন না আসে হয়তো ১৯ বছর ধরে যেমন ধুঁকতে ধুঁকতে টেস্ট ক্রিকেটে যাত্রা করছে বাংলাদেশ দল, তেমন করেই চলতে থাকবে।
×