ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপির বেশিরভাগ নেতাই দলছুট ॥ তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ১৭ নভেম্বর ২০১৯

বিএনপির বেশিরভাগ নেতাই দলছুট ॥ তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির বড় বড় নেতা বেশিরভাগই হচ্ছেন দলছুট। রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ভাসানী ঐক্যজোট আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও অন্য দল করতেন। রিজভী আহমেদও ছাত্রজীবনে অন্য দল করতেন। মওদুদ আহমদ সব দল করেছেন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, তারা সবাই দলছুট নেতা। বিএনপির বড় বড় নেতা বেশিরভাগই হচ্ছেন দলছুট।’ মওলানা ভাসানীর অনুসারীরা বেশিরভাগই আদর্শ ত্যাগ করে অন্য দলে চলে গেছেন—এমন দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির বড় বড় নেতা অনেকেই মওলানা ভাসানীর অনুসারী ছিলেন। যেখানে মওলানা ভাসানীর ক্ষমতার জন্য কোনও লোভ ছিল না, তার কিছু অনুসারীর এরকম অধঃপতন সত্যি আমাদের পীড়া দেয়। বিএনপির অনেক বড় বড় নেতা যারা মন্ত্রী ছিলেন, যারা আজকে স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং ভাইস চেয়ারম্যান, অনেকেই আছেন যারা মওলানা ভাসানীর দল করতেন, তার অনুসারী ছিলেন। অর্থাৎ ক্ষমতার জন্য জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দিলেন, তখন সেই ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গ্রহণের জন্য, তারা দল ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আবার অনেকে জাতীয় পার্টিতেও যোগ দিয়েছিলেন। অর্থাৎ তারা ক্ষমতার জন্য দল ত্যাগ করেছেন।’ ক্ষমতার জন্য যারা রাজনীতি করে দেশের উন্নয়ন দেখলে তাদের গাত্রদাহ হয়, এমন দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেন, তারা যখন দীর্ঘদিন ক্ষমতা থেকে দূরে থাকেন, তখন তাদের প্রচণ্ড কষ্ট হয়। কারণ, তারা ক্ষমতার জন্যই তো রাজনীতি করেন। তারা যখন দেখেন ক্ষমতাসীনরা দেশের উন্নয়ন করছে, মানুষের মধ্যে স্বস্তি এবং শান্তি আছে, প্রতিটি মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে, তখন তাদের গাত্রদাহ হয়। কারণ, এটি (উন্নয়ন) হলে তাদের নির্বাচনের মাধ্যমে জয়লাভ করা হয় না। সে কারণে আজকে দেশে যে উন্নয়ন হচ্ছে, তাতে তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে।’ বিএনপি পেঁয়াজের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘দলছুট নেতারা কয়েকদিন ধরে নানা কথা বলছেন। মির্জা ফখরুল বলেছেন, পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে তারা সোমবার সারাদেশে বিক্ষোভ করবেন। আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই, শেষ পর্যন্ত তাদের রাজনীতি খালেদা জিয়ার কোমর আর হাঁটু ব্যথা থেকে বের করে এনে পেঁয়াজের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘‘পেঁয়াজের এই উচ্চমূল্য থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন, ‘বিদেশ থেকে বিমানে করে পেঁয়াজ আসছে।’ দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজও বাজারে এসেছে। সুতরাং খুব সহসাই পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। তারা পেঁয়াজের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। এরপর কোথায় যায় সেটি হচ্ছে দেখার বিষয়। কারা এই পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত, তা বের করতে গোয়েন্দারা মাঠে নেমেছে। যারা এই পেঁয়াজের মূল্য বাড়িয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। মানুষকে জিম্মি করে এভাবে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ানো কোনোভাবেই ব্যবসার নীতি হতে পারে না। বিএনপি যে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে অপরাজনীতি থেকে পেঁয়াজে আশ্রয় নিয়েছে, এটি ভালো। আমি আপনাদের অনুরোধ জানাবো, আপনারা অবশ্যই সরকারের সমালোচনা করুন। সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরুন। কিন্তু সরকার যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল, যেটি আন্তর্জাতিক মহল থেকে প্রশংসিত, সেটিও আপনারা করবেন।’ আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, ভাসানী ঐক্যজোটের সভাপতি এম এ ভাসানী প্রমুখ।
×