ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে দ্বিগুণ খাদ্য উৎপাদন সম্ভব

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে দ্বিগুণ খাদ্য উৎপাদন সম্ভব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিয়ম অনুসরণ করে সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করতে পারলে স্বল্প জমিতেই দেশে ধানের উৎপাদন দ্বিগুণ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ সায়েদুল ইসলাম। কৃষি তথ্য সার্ভিসের উদ্যোগে খামারবাড়িতে নিজস্ব সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের আয়োজিত ‘আধুনিক কৃষি তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার’ শীর্ষক তিনদিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে বিএডিসি চেয়ারম্যান বলেন, বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটাতে ২০৩০ সাল নাগাদ আমাদের খাদ্য শস্যের উৎপাদন দ্বিগুণ করতে হবে। আর খাদ্য শস্যের উৎপাদন দ্বিগুণ করতে হলে উন্নত কৃষি দরকার। দরকার উন্নত মানের বীজ। সেই সঙ্গে প্রয়োজন টেকসই কৃষি। তিনি বলেন, কৃষির আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে খাদ্যের যোগান টেকসই করা। পরিবর্তিত আবহাওয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকা। এজন্য প্রয়োজন কৃষির যান্ত্রিকীকরণ। আমরা খাদ্যশস্যে উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। কিন্তু ডাল, তেল, মসনা উৎপাদনে পিছিয়ে আছি। এগুলোর উৎপাদন বাড়াতে হবে। এজন্য প্রয়োজন উন্নত জাত ও উন্নত ব্যবস্থাপনা। কৃষিকে লাভজনক করতে হলে উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। উৎপাদন খরচ কমাতে হলে যান্ত্রিকীকরণ করতে হবে। তিনি বলেন, যান্ত্রিকীকরণ এখন সময়ের দাবি। এজন্য কৃষকদের ভর্তুকি মূল্যে যন্ত্র সরবরাহ করতে হবে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, বিএডিসির একটি হাইব্রিড ধানের জাত আছে। কৃষক পর্যায়ে এই ধানের উৎপাদন হয় ৫ টন। কিন্তু বিএডিসির খামারে এই ধানের উৎপাদন হয় ১০-১২ টন। মাঠপর্যায়ে এই ধানের চাষ পদ্ধতিতে সমস্যা আছে। এখানে আমাদের কাজ করতে হবে। কৃষক যদি সঠিক নিয়ম মেনে ধান চাষ করে তাহলে আমরা সহজেই খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ করতে পারব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. মোঃ নুরুল ইসলাম। আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল মুঈদ, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কামাল প্রমুখ। সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল মুঈদ বলেন, আমরা কৃষি উন্নয়নের পাশাপাশি কৃষকের সফলতার গল্পও তুলে আনার উদ্যোগ নিয়েছি। সারাদেশে হাজার হাজার সফলতার গল্প রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়েছি।
×