ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিমান বাহিনীকে আধুনিক করে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে

প্রকাশিত: ০৭:৫২, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বিমান বাহিনীকে আধুনিক করে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনায় ইতোমধ্যে বিমান বাহিনীকে শক্তিশালী, দক্ষ এবং আধুনিক করে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান, হেলিকপ্টার, পরিবহন বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এয়ার ডিফেন্স র‌্যাডার ক্রয়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে যা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবস্থানকে করবে আরও সুদৃঢ়। মঙ্গলবার তিনি যশোরের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান বাহিনী ঘঁাঁটিতে বাহিনীর চারটি ইউনিটকে পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এর আগে বিমান বাহিনী পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে এসে পৌঁছালে বিমানবাহিনী প্রধানকে স্বাগত জানান উক্ত বেজের অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল নজরুল ইসলাম(বিএসপি, এনএস ডাব্লিই পিএসসি)। পতাকা প্রদানকালে বিমান বাহিনী প্রধান বিমান ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন। কুচকাওয়াজ নেতৃত্ব দেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মাহফুজ উদ্দিন। বিমান বাহিনী পতাকা হস্তান্তরের পর বিমান বাহিনী প্রধান মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। এরপর তিনি বিমান বাহিনীর সকল স্তরের সদস্যদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিমান বাহিনী সদস্যদের সাহসিকতাপূর্ণ অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। ভাষণে তিনি বিমানবাহিনীর সকল সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা, উৎকর্ষতা অর্জনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দেশের আকাশসীমার নিরাপদ ও সুরক্ষা ছাড়াও ভবিষ্যতে মহাকাশে অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এছাড়াও দেশের এভিয়েশন শিল্প বিকাশে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ভূমিকা পালন করবে। বিমান বাহিনীর পতাকা অর্জনকারী বিভিন্ন ইউনিট সমূহের প্রতিটি সদস্যকে তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং বিমানবাহিনীর সম্মানের প্রতীক হিসেবে প্রদানকৃত কালারের মর্যাদা ও সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে সকলকে সচেষ্ট থাকতে বলেন। পরবর্তীতে বিমানবাহিনীর প্রধান পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ও বিমানবাহিনীর অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে চলেছে এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান সর্বক্ষেত্রেই এইসব কার্যক্রমে নিয়মিত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। নিত্যনৈমত্তিক স্বাভাবিক কার্যক্রমের পাশাপাশি এই ঘাঁটি দেশের সমগ্র উত্তর অঞ্চল, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সমুদ্রসীমাসহ আকাশ-প্রতিরক্ষা নিশ্চিতকরণ এ অঞ্চলে অবস্থিত সেনা, নৌ ও অন্যান্য বাহিনীকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান, দুর্যোগ মোকাবেলা এবং অসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। এছাড়া বিভিন্ন কর্মকান্ডের স্বীকৃতি স্বরূপ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানকে ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ন্যাশনাল প্রদান করা হয়েছিল এর ধারাবাহিকতায় ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এসব বিমান বাহিনী পতাকা প্রদান করা হয়।
×