ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জনসনকে ট্রাম্পের সমর্থন

প্রকাশিত: ০৮:৩৯, ২৬ আগস্ট ২০১৯

 জনসনকে ট্রাম্পের সমর্থন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেক্সিট বিষয়ে রবিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে সমর্থনকে করেছেন। তিনি জনসনকে এর জন্য ‘উপযুক্ত ব্যক্তি’ বলে অভিহিত করেন। জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে এই দুই নেতা প্রথমবারের মতো বৈঠকে মিলিত হলেন। ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় রিসোর্ট বিয়ারিৎসে রবিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী জনসন একসঙ্গে সকালের নাস্তা করেন। এ সময় দুজন খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ কথাবার্তা বলেন। এএফপি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জনসন দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘অসাধারণ প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তিনি।’ ব্রেক্সিট বিষয়ে তার পরামর্শ কীÑ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তার কোন পরামর্শের প্রয়োজন নেই। এ কাজের জন্য তিনি উপযুক্ত ব্যক্তি। আমি এটা অনেক দিন ধরেই বলে আসছি। এটা তার পূর্বসূরিকে খুশি করতে পারেনি।’ জনসনের পূর্বসূরি টেরেসা মেকে প্রায়ই অকূটনৈতিক ভাষায় আক্রমণ করেছেন। ট্রাম্পের সমর্থনের বিষয়ে জনসন বলেন, ‘এতে একটা বার্তা রয়েছে।’ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার পর ব্রিটেন-মার্কিন নতুন বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি ছিল তাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। এবং এ বিষয়ে দুই নেতাকে খুবই ইতিবাচক মনে হয়েছে। এর একদিন আগে জনসন ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির বিরুদ্ধে যে উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতা ছিল, সেটা তুলে নেয়ার জন্য ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। জনসন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন যে, আমাদের পথের প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে ফেলতে পারলে আমরা একটি অসাধারণ চুক্তিতে পৌঁছাতে পারি। জবাবে ট্রাম্প বলেন, খুবই বড় বাণিজ্য চুক্তি, আগে যে চুক্তি ছিল, তার চেয়েও বড় চুক্তি খুবই দ্রুত করা সম্ভব। এর আগে বরিস জনসন বলেছিলেন, মার্কিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও গুগলের ওপর রাজস্বের ওপর যৌক্তিভাবে শুল্কারোপ করা প্রয়োজন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। উন্নত দেশগুলোর জোটের তিনদিনের জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন শনিবার শুরু হয়েছে। এতে জোটভুক্ত নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এতে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে শুল্কারোপের হুমকি দেয়ায় সমালোচনা করা হয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট অস্বীকার করেন যে, এখানে তার খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে। পরে শনিবার দুপুরে হোটেলে বারান্দায় তিনি ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে সবচেয়ে সেরা সাক্ষাত এটি। রবিবার সকালে ট্রাম্প টুইট করেন, ‘আমি ফ্রান্সে পৌঁছানোর আগে ভুয়া ও বিরক্তিকর সংবাদে বলা হয়, জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের অন্য ছয় নেতার সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক চলছে এবং দুদিনের বৈঠক দুর্যোগে পরিণত হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খুব ভাল বৈঠক করেছি, নেতারাও খুব ভাল। আর আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবে খুবই ভাল করছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব।’ কিন্তু চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ নিয়ে নিজের অস্বস্তির কথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ইউরোপীয় নেতারা সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন যে, এটা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ব্যাহত করবে এবং মন্দার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। জনসন বলেন, ‘আমরা সামগ্রিকভাবে বাণিজ্যে শান্তির পক্ষে।’ চীনের সঙ্গে বাণিজ্য উত্তেজনার পর আরও কোন পদক্ষেপ নেবেন কী না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ইঙ্গিত দেন যে, তিনি তার বর্তমান পদক্ষেপের বিষয়ে পুনরায় চিন্তা-ভাবনা করছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বিষয়েই আমি দ্বিতীয়বার চিন্তাভাবনা করি।’
×