জাকিয়া বারী মম। নিজের অভিনয় দক্ষতায় ইতোমধ্যে দর্শকদের মন জায়গা পেয়েছেন । ছোট পর্দার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রেও তিনি অভিনয় করেছেন। সেখানেও পেয়েছেন প্রশংসা। বর্তমান সময়ে নাটকে অভিনয় নিয়েই ব্যস্ত আছেন মম। সম্প্রতি শেষ করেছেন সরদার রোকেনের ‘হাসতে নেই মানা’ ‘ও মেয়ে তোমাকে ভালবাসি’, রিফাত আদনান পাপনের ‘ফেলটুস’ শিরোনামের নাটকের কাজ। এছাড়াও মম ঈদ-উল- আযহার জন্য নির্মিত একাধিক খ- ও সাত পর্বের ধারাবাহিক নাটকের শূটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। পাশাপাশি প্রচারিত ধারাবাহিক নাটকের শুটিং ব্যস্ততাও রয়েছে তার।
‘হাসতে নেই মানা’ নাটকের গল্পে দেখা যাবে, আমিরুল হকের দুই মেয়ে লিসা ও জেনি। বড় মেয়ে লিসা একটু রাগী, ছোট মেয়ে পুরোটাই বড় বোনের বিপরীত। অফিসের কাজে আমিরুল হক দেশের বাইরে গেছেন। দেশে অফিসের দায়িত্ব বড় মেয়ের কাছে হস্তান্তর করে গেছেন। বড় মেয়ে লিসা খুব কঠিন ভাবে অফিস চালাতে লাগলেন। আমিরুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী বদরুল। আমিরুল হকের অবর্তমানে লিসাই এখন বদরুলের বস। লিসা ম্যাডাম কঠোর নিয়মনীতিতে সে ক্লান্ত। তারপরও ম্যাডামকে খুশি করার জন্য বদরুল নানা কিছু করে। তারপরও ম্যাডামকে খুশি করতে পারছে না। বদরুল জানেন ম্যাডাম বাইরে থেকে যতটুকু কঠিন ভেতরে ততটাই নরম। কিন্তু ম্যাডাম কিছুতেই প্রকাশ করেন না। এমনই গল্প নিয়ে এগিয়ে গেছে ‘হাসতে নেই মানা’ নাটকের গল্প।
নাটকটি নিয়ে মম বলেন, ‘একেবারে ভিন্ন ধাঁচের গল্পে কাজ করলাম। নাটকটি গতানুগতিক ধারার বাইরে। দর্শকরা দেখে খুব উপভোগ করবেন। এমন গল্পে কাজ করতে সত্যিই আনন্দ লাগে। দর্শকরা দেখেও আনন্দ পান। সব মিলিয়ে ভাল একটি কাজ হয়েছে। এছাড়াও ঈদের জন্য বেছে বেছে কাজ করছি। সবগুলো নাটকে নতুনত্ব পাবে দর্শক। চরিত্রেও পাবে ভিন্নতা।’
সম্প্রতি অভিনয় শিল্পী সংঘের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হলেন জাকিয়া বারী মম। অনেক পরিশ্রমের পর অবশেষে বিজয়ী। কেমন লাগছে? ‘সম্মানিত অভিনয় শিল্পী আমার সহকর্মী যারা আমাকে ভালবাসেন তারা ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’ সাংগঠনিক কাজের কারণে আপনার অভিনয় জীবনে কোন প্রভাব পড়বে? ‘না কোন প্রভাব পড়বে না। গত দুই বছরও আমি সংগঠনে ছিলাম। তখন টানা শূটিংও করেছি আবার সাংগঠনিক কাজও করেছি। আমার কাজের সঙ্গে সংগঠনের ক্ল্যাশ নেই। কারণ, আমি জানি কিভাবে ম্যানেজ করতে হয়। কিভাবে কমিটমেন্ট রক্ষা করতে হয়। হঠাৎ করে এখানে এসে নায়িকা হইনি। আবার জয়েন করে কাজও করিনি। আমি আমার কাজটি যেনে বুঝে করি। আমার সংগঠন কিংবা পরিচালক কেউ আমার দ্বারা কখনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। সামনেও হবে না।’ -বললেন মম।