অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের সেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও পদে নিয়োগের জন্য যোগ্যপ্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যদের এ কমিটি গঠন করেছে সরকার।
এ কমিটির অন্য সদসরা হচ্ছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকসমূহের একজন চেয়ারম্যান যা সরকার মনোনীত করবে। রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকসমূহের পরিচালনা পর্ষদের ডিজিটাল ব্যাংকিং বিষয়ে জ্ঞানসম্পন্ন একজন পরিচালক যা সরকার মনোনীত করবে। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব বা যুগ্মসচিক এ কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবে।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়, সার্চ কমিটি প্রতি ব্যাংকের জন্য তিনজন উপযুক্ত প্রার্থী বাছাইপূর্বক একটি তালিকা প্রস্তুত করে সরকারের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করবে। সরকার কর্তৃক অনুমোদিত প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণক্রমে ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও পদে নিয়োগ প্রদান করবে।
এদিকে সম্মানজনক বেতন প্রস্তাব না করায় বেসিক ব্যাংকের সদ্য নিয়োগ পাওয়া ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম যোগদান করেননি। গত ৭ জুলাই তিনি ব্যাংকের কার্যালয়ে গিয়ে ােন না করে ফিরে যান। একই সঙ্গে পুনর্বিবেচনার জন্য ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছেন।
বেসিক ব্যাংকে প্রায় আট মাস ধরে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ খালি ছিল। সর্বশেষ দায়িত্বে থাকা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেন। এরপর এমডি পদে আগ্রহী লোক পাওয়া যাচ্ছিল না। এমডি নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও আবেদন করেননি কেউ। সবশেষে এমডি নিয়োগে একটি সার্চ কমিটি গঠন করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। কমিটি এমডি হিসেবে মাসরুর হুদা সিরাজী, মোহাম্মদ রফিকুল আলম ও জাকির হোসেনের নাম সুপারিশ করে। এর মধ্যে থেকে রফিকুল আলমকে মনোনীত করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের এমডি নিয়োগে সব ধরনের বির্তক এড়াতে গত ২০১৬ সালে সাবেকদের পুনঃনিয়োগ না দেয়ার অলিখিত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এক্ষেত্রে পদোন্নতির মাধ্যমে এবং সার্চ কমিটির সুপারিশকৃতদের মধ্য থেকে যোগ্যদের দিয়ে এমডি পদ পূরণ করার কথা বলা হয়েছে। সরকারী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হলে এক পর্যায়ে এসে প্রতিষ্ঠানে পদোন্নতি আটকে যায়। এতে এক ধরনের অসন্তোষ তৈরি হয়। ব্যাংকিং কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টা। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে সরকারী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক পদে রাজনৈতিক নিয়োগ না দেয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চায় অর্থ মন্ত্রণালয়।
