ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরুর আগে দিল্লীতে সর্বদলীয় বৈঠক

পশ্চিমবঙ্গকে নিশানা করবেন না ॥ বিজেপিকে তৃণমূল

প্রকাশিত: ০৯:১৮, ১৮ জুন ২০১৯

 পশ্চিমবঙ্গকে নিশানা করবেন না ॥ বিজেপিকে তৃণমূল

নরেন্দ্র মোদির সরকার যেন পশ্চিমবঙ্গকে নিশানা না করে। রবিবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বরাবর এই দাবি জানায় পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার দিল্লীতে ভারতীয় পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হয়। তার আগে রবিবার দিল্লীতে সর্বদলীয় বৈঠক বসে। সেই বৈঠকেই সংসদের দুই কক্ষের তৃণমূলের দুই নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ ব্রায়েন দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে মর্যাদা দিয়ে রাজ্যের ওপরে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। বিশেষ কোন রাজ্যকে যেন ‘নিশানা’ করা না হয়। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ ব্রায়েন রবিবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর সঙ্গে আলাপকালে এ আহ্বান জানান। এ সময় অবশ্য প্রধানমন্ত্রী মোদি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। পর মোদি এসে বৈঠকে যোগ দেন। যে কারণে বৈঠক শেষ হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িতে ওঠা পর্যন্ত তার সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় মোদির কাছে এ দাবি জানান। এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন, ১৯ জুন, বুধবার সব দলের নেতাদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে এই প্রসঙ্গে কথা হতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারী সূত্রের খবর, ১৯ জুন তিনটায় প্রধানমন্ত্রী সব দলের সভাপতিকে নিয়ে বৈঠক করবেন। বিজেপি চাইছে, তৃণমূলের চেয়ারপার্সন মমতা ব্যানার্জী ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকুন। সংসদীয় মন্ত্রী জোশী এ দিনই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে চিঠিও পাঠিয়েছেন। তবে মমতা সেই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লী যাবেন কি না তা আপাতত স্পষ্ট নয়। তৃণমূলের এক প্রথম সারির নেতার কথায়, ‘সর্বদল বৈঠকে দায়িত্ব ছিল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর। তিনি যা বলার, বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী যাবেন কি না, তিনিই ঠিক করবেন। এই সপ্তাহে তার কিছু কর্মসূচী পূর্বনির্ধারিত আছে।’ ইতোমধ্যে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলার প্রশাসনকে তিনটি ‘এ্যাডভাইসরি’ পাঠায়। এক সপ্তাহের মধ্যে এভাবে পরপর তিনটি ‘এ্যাডভাইসরি’ সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি। এই ঘটনা প্রবাহের জেরেই এ দিন ডাকা সর্বদল বৈঠকে তৃণমূলের নেতারা দাবি করেন, রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে কাজ করতে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তখন না থাকায় পরে তার সঙ্গে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আলাদা করে কথা বলতে যান। কলকাতা উত্তরের সাংসদকে দেখে প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রথমে জিজ্ঞাসা করেন, তার শরীর ঠিক আছে কি না। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে বলেন, শরীর ঠিক আছে। তবে বৈঠকে তারা একটি বিষয় তুলেছেন। তারা মনে করছেন, বাংলাকে ‘নিশানা’ করা হচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এমন করা যায় না। বাংলার প্রতি যেন অবিচার না হয়। সুদীপের কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী বুধবারের বৈঠকের কথা তোলেন। রাজনাথও সে সময় পাশে ছিলেন তবে তিনি মন্তব্য করেননি।
×