ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গুপ্তচর জলজ প্রাণী

প্রকাশিত: ০৯:৫১, ১০ জুন ২০১৯

 গুপ্তচর জলজ প্রাণী

গুপ্তচর, অস্ত্র পরিবহন বা সতর্কতা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রাণী ব্যবহারের ইতিহাস পুরনো। তবে সাগরের প্রাণীদের সচল সেন্সর হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা অদ্ভুত মনে হতে পারে। সম্প্রতি যখন একটি বেলুগা তিমিকে মুখে ফিতা পরানো অবস্থায় পাওয়া যায় তখন ধারণা করা হয় যে, সেটিকে রাশিয়ান সেনাবাহিনী গুপ্তচর হিসেবে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এমনটি অবশ্য যতটা নতুন মনে হচ্ছে আসলে তা নয়। ১৯৬০-এর দশকেই মার্কিন নৌবাহিনী ডলফিনকে প্রশিক্ষণ দিত সমুদ্রে মাইন শনাক্ত করা এবং ডুবে যাওয়া নৌ সদস্যদের উদ্ধারে। রাশিয়াও একই ধরনের কাজ করত। এছাড়া, হাঙ্গর, ইঁদুর এবং কবুতরও বহু বছর ধরে এ ধরনের কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক ইউএস ডিফেন্স এডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি বা ডারপা সমুদ্রের বড় মাছ থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র প্রাণী; সবকিছুকে পানির নিচের সতর্কতা বৃদ্ধির কাজে লাগানোর ওপর গবেষণা করছে। পার্সিসটেন্ট এ্যাকুয়াটিক লিভিং সেন্সর প্রজেক্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. লরি এ্যাডোর্নাটো বলেন, সমুদ্র তলদেশে কোন বাহন চলাচল করলে এসব সামুদ্রিক জীবের প্রতিক্রিয়া কী হয়, আমরা সেটাই বোঝার চেষ্টা করছি। ডারপার গবেষণায় দেখা গেছে, এমনও কিছু সামুদ্রিক প্রাণী রয়েছে যাদের শরীর থেকে এক ধরনের আলোর বিচ্ছুরণ হয় কোন কিছুর আগমন ঘটলে। তবে তারা সামুদ্রিক জীবের বিভিন্ন পরিবর্তন আরও ভালভাবে বোঝার জন্য সাবমেরিন এবং সমুদ্রের নিচে চলার উপযোগী ড্রোন ব্যবহার করেছে। এমনই একটি প্রোজেক্টের সহসভাপতি ভার্ন বয়েল বলেন, আমরা এসব জীবের বিভিন্ন আচরণের পরিবর্তন বুঝতে চাই প্রাকৃতিক কারণ ও মানবসৃষ্ট কারণের মাঝে। আর এজন্য খুবই উন্নত যন্ত্র ও প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে।-বিবিসি
×