ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শাকিল রহমান

হাল-ফ্যাশনে রোদচশমা

প্রকাশিত: ১১:৫২, ১০ মে ২০১৯

হাল-ফ্যাশনে রোদচশমা

গ্রীষ্মকালের প্রচন্ড দাবদাহে প্রকৃতির সবত্রই বিরাজ করে গুমোট আবহাওয়া ও অস্বস্তিকর পরিবেশ। চারদিকের অনিয়ন্ত্রিত বাতাস এমনিতেই থাকে উত্তপ্ত আর হালকা, যা প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনধারায় দারুণ প্রভাব ফেলে। এ সময় বাতাসে উড়ে বেড়ায় প্রচুর ধুলো-ময়লা, জিবাণু আর অস্বাস্থ্যকর উপাদান। এই উপাদান বা ধুলোবালি মানবদেহের ক্ষতি তো করেই, সেইসঙ্গে মূল্যবান চোখের বিভিন্ন ক্ষতিরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এসব ক্ষতিকর ধুলোবালি উড়ে এসে আপনার চোখে পড়ে চোখের ক্ষতি করতে পারে সহজেই। চোখ ও ত্বকের সুরক্ষায় প্রচ তাপ ও সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির ছটায় ত্বকের উজ্জলতা নষ্ট হয়ে ত্বক পুড়ে যায়। তাই এসব থেকে চোখকে রক্ষা করতে ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন স্টাইল ও রঙিন ফ্যাশনেবল রোদচশমা। আপনার মুখের সঙ্গে মানানসই যেকোন স্টাইলের রোদচশমা এই গরমে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ধুলো-ময়লা থেকে যেমন রক্ষা পাবেন, তেমনি চোখের ওপর রোদের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনাও আর থাকে না। আর মূল্যবান মুখের ত্বকের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহার করুন রোদচশমা। ফ্যাশন সচেতনতায় বর্তমানের ফ্যাশন সচেতন তরুণ-তরুণীরা রোদচশমা পছন্দ করছে এর উপকারিতা ও ভিন্নতার নিরিখে। আধুনিক রুচিসম্পন্ন তারুণ্যের অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাশন হয়েছে যেন এই রোদচশমা, যা ছাড়া বর্তমানে ফ্যাশনে পরিপূর্ণতা আসে না। তারুণ্যের ব্র্যান্ডেড রোদচশমা আজকাল মাকেটে ভিন্ন স্টাইল ও ফ্যাশনেবল রোদচশমা পাওয়া যায়। তবে ব্র্যান্ডেড জিনিসের প্রতি সবার একটা আলাদা আকর্ষণ থাকে। রোদচশমা বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন আলোকময় ব্র্যান্ডেড দোকান দেখা যাবে শহরের বিভিন্ন স্থানে। তাছাড়া বড় বড় শপিংমলগুলোতে খুঁজে পাওয়া যায় রোদচশমার দোকান। ব্র্যান্ডেড রোদচশমা কিনতে হলে অবশ্যই আপনাকে ভাল দোকানে যেতে হবে। ব্র্যান্ডেড রোদচশমায় দুই ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়- গুণগত মান ও ফ্যাশনেবল। বিভিন্ন নামের রোদচশমার ক্ষেত্রে আছে রে-ব্যান, গুচি, সিকে, ওকলে ব্র্যান্ডেড রোদচশমা কিনতে হলে অবশ্যই আপনাকে ভাল দোকানে যেতে হবে। ব্র্যান্ডেড রোদচশমায় দুই ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়- গুণগত মান ও ফ্যাশনেবল। বিভিন্ন নামের রোদচশমার ক্ষেত্রে আছে রে -ব্যান, গুচি, সিকে, ওকলে, পোলিস ইত্যাদি। এসব রোদচশমা ছেলে-মেয়েদের আলাদা ডিজাইন এবং ভিন্ন দামে পাওয়া যায়। হাতের নাগালে নন-ব্র্যান্ডেড রোদচশমা ফুটপাত থেকে শুরু করে সব ছোটখাটো চশমা বিক্রয়ের দোকানেই সাধারনত নন- ব্র্যান্ডেড রোদচশমা পাওয়া যাবে। এগুলোতে ডিজাইনে রয়েছে ভিন্নতা ও দাম থাকবে হাতের নাগালে। রোদচশমা সাধারণত ছেলে-মেয়েদের জন্য আলাদা ডিজাইনের হয়ে থাকে। তবে কিছু রোদচশমা উভয়ই ব্যবহার করতে পারে। ফ্যাশনের প্রয়োজনে যারা রোদচশমা খুব বেশি পরিবর্তনে আগ্রহী তাদের জন্য নন-ব্র্যান্ডেড চশমা খুব ভাল হয়। রোদচশমা নির্বাচনে সতর্কতা চশমা কেনার ক্ষেত্রে হাল ফ্যাশনের কথা চিন্তা তো করবেনই, সঙ্গে সঙ্গে চোখের সুরক্ষা ও মুখের ধরন অনুযায়ী চশমা পছন্দ করবেন। যেমন মাপেরই চশমা বাজারে আসুক না কেন, সেটা কেনার আগে যাচাই-বাছাই করে নেবেন- সেটা আপনাকে মানাচ্ছে কিনা। গোলগাল চেহারা হলে রোদচশমার গ্লাসটা একটু লম্বা হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। আবার একটু লম্বাটে মুখ হলে ডাম্বেল আকৃতির বা মুগুর আকৃতির চশমা ভাল মানাবে। খেয়াল রাখবেন চোখের কোল ঢেকে যায় এমন চশমা ব্যবহার করবেন। রোদচশমা ব্যবহারে খুঁটিনাটি চশমা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখা জরুরী। সেক্ষেত্রে গায়ের রঙ ও মুখের গঠনের সঙ্গে মানানসই রোদচশমা ব্যবহার করুন। প্রতিটি রোদচশমার জন্য আলাদা বক্স ব্যবহার করুন। রোদচশমা পরার আগে অবশ্যই রোদচশমাটি ভাল মতো পরিষ্কার করে নিন। প্রতিবার ব্যবহারের পর রোদচশমা নির্দিষ্ট বক্সে রাখুন। বাইরে বের হবার সময় অবশ্যই রোদচশমা সঙ্গে নিয়ে বের হন। রোদচশমায় কোন বালি বা ময়লা ঢুকলে সঙ্গে সঙ্গে খুলে ফেলুন। রোদচশমার প্রাপ্তিস্থান ও দরদাম ঢাকা শহরের এলিফ্যান্ট রোড, উত্তরা, ধানমি , নিউমার্কেট, কাকরাইল, বিজয়নগরসহ সবখানেই চশমার দোকান রয়েছে। গুলশান, বনানীসহ বড় বড় শপিংমলগুলো রয়েছে রোদচশমার বিপণি। এছাড়া নন্দন, মীনাবাজার, স্টপ এ্যান্ড শপ, ওয়ান স্টপ সুপার শপগুলোতে রয়েছে রোদচশমার বিশাল সংগ্রহ। রাইফেল স্কয়ার, রাপা প্লাজা, জেনেটিক প্লাজা, মেট্রোশপিংমল, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সিটিসহ বড় বড় শপিংমলগুলোতে রোদচশমা পাওয়া যাবে। ব্র্যান্ডেড চশমাগুলো পাবেন ২০০০ থেকে ৭০০০ টাকার মধ্যে। আর নন-ব্র্যান্ডেড চশমা পাবেন ১২০ টাকা থেকে শুরু“করে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। তবে এক্ষেত্রে দরদাম করে নেয়া ভাল। ছবি : শাহীন মডেল : সজীব ও সোহা স্টাইলিং : জাহাঙ্গীর আলম
×