ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে উদ্ভাবনী সেন্টার হিসেবে গড়তে হবে

প্রকাশিত: ১০:৫৪, ৬ মে ২০১৯

 বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে  উদ্ভাবনী সেন্টার  হিসেবে গড়তে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে উদ্ভাবনী সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। রবিবার রাজধানীর ব্যানবেস মিলনায়তনে শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচীর অধীন গবেষকদের হাতে চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। ব্যানবেসের মহাপরিচালক মোঃ ফসিউল্লাহ্র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন। মন্ত্রী বলেন, গবেষকদের সুবিধা বৃদ্ধি করতে এবং গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে সরকার আন্তরিক রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ রেখেছে। প্রয়োজনে অর্থ বরাদ্দ আরও বৃদ্ধি করা হবে। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে গবেষণার কোন বিকল্প নেই। উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী দেশপ্রেমের চেতনা নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চালানোর জন্য গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান। সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, গবেষণা খাতে আমাদের পর্যাপ্ত রবাদ্দ রয়েছে। প্রয়োজন মানসম্মত গবেষণা। তিনি বলেন, এক সময় বাংলাদেশের জনসংখ্যা কম ছিল কিন্তু তখনও না খেয়ে মানুষ মারা যেত কিন্তু এখন জনসংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায় না। এটা সম্ভব হয়েছে গবেষণার ফলে। শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচীর আওতায় ২০০৯-২০১০ অর্থবছর থেকে শুরু হয়ে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর পর্যন্ত অর্থবছর ভিত্তিক গৃহীত ও সমাপ্ত গবেষণা প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয় অনুষ্ঠানে। জানা গেছে, এ পর্যন্ত ৪৮৫ গবেষণা প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে ২২৯ গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে যার অনুকূলে ৪৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে গৃহীত ৭৬’র মধ্যে ৫২ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গৃহীত ৮৭’র মধ্যে ৮৫ গবেষণা প্রকল্প চলমান রয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৯৯ গবেষণা প্রকল্প গৃহীত হয় এবং ২০১৮ সালের ১ নবেম্বর গবেষণা প্রকল্পের অর্থের চেক প্রদান করা হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অর্থের সংকুলান থাকায় পরবর্তীতে আরও ২০ গবেষণা প্রকল্প অর্থায়নের জন্য গৃহীত হয় যার বস্তবায়ন এ বছরই শুরু হবে। অবসর সুবিধার টাকা পেলেন ৮৫০ শিক্ষক ॥ পবিত্র হজ ও তীর্থ গমনেচ্ছুক অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে কল্যাণ ও অবসর ভাতার চেক অনলাইনে বিতরণ কার্যক্রম ব্যানবেসের মিলনায়তনে উদ্বোধন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনলাইনে বাটন চেপে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারীদের টাকা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। এবার হজ গমনেচ্ছুক ৮৫০ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীকে ৭১ কোটি ৭ লাখ টাকা কল্যাণ ও অবসর সুবিধা দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মোঃ গোলাম ফারুক, বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোঃ ফসিউল্লাহ। শিক্ষক কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী, কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেন, বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীরা এক সময় কোন সুযোগ সুবিধা পেতেন না। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে গত ১০ বছরে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের কল্যাণ ও অবসর সুবিধা বাবদ প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা প্রদান করেছে। কল্যাণ ও অবসর সুবিধা দ্রুত প্রাপ্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ হাজার ৬শ’ ২৭ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়াও ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতা চালু করেছেন।
×