ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা উন্নয়নই লক্ষ্য

তাইওয়ানকে বিপুল সামরিক সরঞ্জাম দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

তাইওয়ানকে বিপুল সামরিক সরঞ্জাম দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

তাইওয়ানের কাছে ৩৩ কোটি ডলারের সামরিক রসদ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসব রসদের মধ্যে এফ-১৬ জঙ্গীবিমানের খুচরা যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য সামরিক বিমান রয়েছে বলে সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পেন্টাগন। ইয়াহু নিউজ। বিবৃতিতে পেন্টাগনের ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি বলেছে, এই বিক্রয় প্রস্তাব ক্রয়কারীর নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতার উন্নয়ন ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তায় অবদান রাখবে। তারা ওই অঞ্চলের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামরিক ভারসাম্য ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে কাজ করছে। এই ৩৩ কোটি ডলারের সামরিক রসদের মধ্যে এফ-১৬, সি-১৩০, এফ-৫, আইডিএফ জঙ্গীবিমানের পাশাপাশি অন্য আকাশযান সিস্টেম ও সাবসিস্টেম এবং লজিস্টিক ও প্রোগ্রাম সাপোর্ট সম্পর্কিত রসদ রয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। প্রস্তাবিত বিক্রয়ের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা। এই বিক্রয় প্রস্তাবে ওই অঞ্চলের সামরিক ভারসাম্যের বদল ঘটবে না এবং এসব রসদ তাইওয়ানের ‘প্রতিরক্ষা ও বিমানবহর’ বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন বলে দাবি করেছে পেন্টাগন। এ পর্যায়ে তাইওয়ানকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বসে ক্রয়ের বিস্তারিত খুঁটিনাটি চূড়ান্ত করতে হবে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তাদের সমর্থন দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট দফতর। বলেছে, তারা নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ‘নিবিড় যোগাযোগ ও সহযোগিতা বজায় রেখে’ চলবে। তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে আসছে চীন। স্বশাসিত এই দ্বীপ ভূখ-টির কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক রসদ বিক্রি দীর্ঘদিন ধরে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টির একটি কারণ হিসেবে বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অস্ত্রশস্ত্র দিয়েই মূলত তাইওয়ান নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। নতুন যুদ্ধবিমানসহ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আরও অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের চাহিদা জানিয়ে আসছে দ্বীপটি। তাইওয়ানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য নিয়ে চীনের মধ্যে গভীর সন্দেহ কাজ করে।
×