ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাসায় গিয়ে ক্ষমা চাইলেন ফখরুল, মোশাররফ ও মওদুদ

ড. কামালের ঐক্য প্রক্রিয়ায় যোগ দিলেন বিএনপি নেতারা

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ড. কামালের ঐক্য প্রক্রিয়ায় যোগ দিলেন বিএনপি নেতারা

শরীফুল ইসলাম ॥ সরকারবিরোধী বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্দেশে অবশেষে ড. কামাল হোসেনের ঐক্যের ডাকে সাড়া দিয়ে এক মঞ্চে বসলেন মহাজোটের বাইরে থাকা দলগুলোর প্রভাবশালী নেতা ডাঃ একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর মাধ্যমে সরকারবিরোধী ঐক্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে আয়োজকরা মনে করেন। শনিবার বিকেলে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট নাগরিক ঐক্য আয়োজিত সমাবেশে তারা একমঞ্চে বসে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করার লক্ষ্যে তারা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। সমাবেশের ঘোষণা পত্রে ১ অক্টোবর থেকে সারাদেশে ঐক্যবদ্ধভাবে সভা-সমাবেশ করার কথা ঘোষণা করা হয়। অভিজ্ঞ মহলের মতে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যের ডাকে একদিনের বসায়ই যে বিএনপিসহ মহাজোটের বাইরে থাকা দলগুলোর বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠন হয়ে যাবে এমনটি নিশ্চিত নয়। কারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শীঘ্রই শুরু হবে নানান মেরুকরণ। এতে যে কোন সময় যে কোন রাজনৈতিক দল অধিক সুবিধা পেতে জোট পরিবর্তন করতে পারে। জানা যায়, ড. কামালের ডাকে জাতীয় ঐক্যের সমাবেশে বিকল্পধারা সভাপতি ডাঃ একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী প্রধান অতিথি থাকবেন সে সিদ্ধান্ত হয় ক’দিন আগেই। তবে সমাবেশের আগেই বিকল্পধারার পক্ষ থেকে শর্ত দেয়া হয় অতীত কর্মকা-ের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে বিকল্পধারা সভাপতির কাছে ক্ষমা না চাইলে ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশে যাবেন না বি চৌধুরী। এ খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে বিএনপির ৩ সিনিয়র নেতা ছুটে যান বি চৌধুরীর বাসায়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তারা দলের পক্ষ থেকে অতীত কর্মকা-ের জন্য ডাঃ বদরুদ্দোজা চৌধুরীর কাছে ক্ষমা চেয়ে শনিবারের সমাবেশে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করেন এবং বিএনপির পক্ষ থেকে এই ৩ নেতা উপস্থিত থাকবেন বলেও তাকে জানান। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুক্তফ্রন্ট ও বিকল্প ধারার সভাপতি ডাঃ বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে আমরা ঐক্য করব না। সভাপতির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশের মানুষ ভোটের অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার ও মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। এগুলো প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা জাতীয় ঐক্যর ডাক দিয়েছি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে একমঞ্চে এনে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রায় এক বছর ধরে কাজ করে আসছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাবন্দী হওয়ার আগে আনুষ্ঠানিকভাবেই জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশের মানুষ ভোটের অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার ও মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। এগুলো প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা জাতীয় ঐক্যর ডাক দিয়েছি। তিনি বলেন, দেশের জনগণের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। জানমালের নিরাপত্তা নেই। মানুষ আজ দিশেহারা। মানুষ সুশাসন ও আইনের শাসন চায়। এজন্য প্রয়োজন বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য। আমরা সেই ঐক্যের ডাক দিয়েছি। আজকের সমাবেশের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে। ড. কামাল বলেন, দেশের জনগণের চলাফেরার স্বাধীনতা নেই। তাই তারা দিশেহারা। দেশের জনগণ একটি নিরাপদ ও স্থতিশীল সমাজ নিশ্চিত করতে চায়। কার্যকর গণতন্ত্র ও আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগের মাধ্যমে সুশাসন দেখতে চায়। তিনি বলেন, মানুষ পরিশ্রম করে উৎপাদন বাড়ায়, কিন্তু ন্যায্য দাম পায় না। এদিকে দেশের হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতায় বলা হয়েছে জনগণ সব ক্ষমতার মালিক। কিন্তু আজকে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, মানবাধিকার, সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এসব অধিকার পুনরায় উদ্ধার করতে হলে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমি আশা করব, আজকে যারা এই নাগরিক সমাবেশে এসেছেন তারা জনগণের এসব অধিকার নিয়ে কথা বলবেন এবং কাজ করবেন। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুক্তফ্রন্ট ও বিকল্প ধারার সভাপতি ডাঃ বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে আমরা ঐক্য করব না। তিনি বলেন, এই সরাকারের কাছে জনগণের প্রশ্ন, যে স্বাধীনতা আনতে লাখ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে, মা-বোনকে ইজ্জত দিতে হয়েছে, এর মূল্যবোধ কেন পদদলিত? জনগণের এই প্রশ্ন সরকারের কাছে। দিন-রাত প্রতিটি ঘণ্টা নিয়ে, আতংকে কোন থাকবে মা-বোনেরা, শঙ্কায় থাকবে গুম, রাহাজানি নিয়ে, কেন পুলিশ, র‌্যাব, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীদের ছাড় দিবে? বি চৌধুরী বলেন, কেন ঘুষ দুর্নীতকে ‘স্পিড মানি’ বলে সরকারীকরণ করা হলো? সমস্ত জাতির নৈতিকতাবোধকে পদদলিত করা হলো? এই অধিকার কে দিয়েছে আপনাদের? নিরাপদ সড়কের দাবিতে কঁচি-কিশোরদের রাস্তায় নামতে হবে কেন, কেন, কেন? কেন কোটা সংস্কারের পক্ষে আমাদের আদরের ধন মেধাবী ছাত্রদের আন্দোলন করতে হবে? মেধাবী ছাত্রদের কি অপরাধ? কেন তাদের গু-া দিয়ে, হাতুড়ি, চাপাতি দিয়ে আক্রমণ করা হবে, এর জন্যই কি স্বাধীনতা? কেন আপনাদের অপরাধের প্রতিবাদে কথা বলার জন্য সভা-সমাবেশ করার জন্য পুলিশের অনুমতি নিতে হবে? অথচ আপনারা যখন, তখন, যত্রতত্র সভা সমাবেশ করতে পারেন। কেন, কেন? বি চৌধুরী আরও বলেন, কেন আমার ভোট আমি দিতে পারব না? ভোটের অধিকারকে কেন দলীয়করণ করা হলো। সারা পৃথিবীতে ইভিএম পরিত্যক্ত, ইভিএম কেউ চায় না। কেন আপনাদের সুবিধার জন্য ইভিএম গ্রহণ করতে হবে? কেন সরকারী কর্মচারীদের দলীয়করণ করা হলো? কেন তাদের সবসময় ভয়ভীতির মধ্যে রাখা হচ্ছে, কেন, কেন? কেন স্বাধীন দেশের মা-বোনদের ও শিশুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে, কেন, কেন? আমাদের রাষ্ট্র তুমি কোথায়? আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গী আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র কোথায়? কেন গঙ্গার পানি পাব না, কেন বন্ধু রাষ্ট্র তিস্তার পানি দিবে না, কেন, কেন, কেন? এখন রুখে দাঁড়ানোর সময়, এখন অধিকার আদায়ের সময়। প্রতিবাদের কণ্ঠ ধারাল করতে হবে। গণতন্ত্রকামী সব দলকে ন্যূনতম দাবি আদায়ে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের প্রধান দাবি এক। আসুন রাজপথে আন্দোলনে নেমে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করি। তিনি বলেন, আমরা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাগার থেকে খবর পাঠিয়েছেন, যে কোন মূল্যে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, গত ১৮ দিনে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে ৩ হাজার ৭৭৬টি মামলা দেয়া হয়েছে। মামলার আসামি করা হয়েছে ৬৯ হাজার ব্যক্তিকে। প্রতিদিন রাতে বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এই সরকারকে সরিয়ে দিতে না পারলে দেশের স্বাধীনতা থাকবে না। আমাদের ঐক্যের প্রধান দাবি সরকারের পতন, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নতুন নির্বাচন গঠন করতে হবে। আর ইভিএম দিয়ে নির্বাচন করা যাবে না। ‘কার্যকর গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলুন’ শীর্ষক এ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান, জাসদ সভাপতি আসম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফার) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন, বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের চেয়ারম্যান নূর হোসেন কাশেমী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ জাফরউল্লাাহ চৌধুরী, শিক্ষাবিদ ড. মোমেনা হোসেন প্রমুখ। সমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন তেল গ্যাস বিদ্যুত বন্দর ও খনিজ সম্পদ রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। সমাবেশ বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ দেশের সকল বিরোধী রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি দাবি করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও যুক্তফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি দিতে হবে। যদি কেউ মনে করেন জোর করে লাঠি দিয়ে, পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করবেন, তাহলে ভুল করবেন। তিনি বলেন, দেশ গভীর সঙ্কটে। শুক্রবার সারাদেশে সাড়ে তিন হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে জাসদ সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, আপনি সংসদ ভেঙ্গে দিন, নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে আমাদের ঐক্যে চলে আসুন। আপনি জিতলে আমরা মেনে নেব। তিনি বলেন, আমরা মাঠে নামব দেশ থেকে স্বৈরাচার হঠাতে। এর জন্য জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। রাজনৈতিক নেতাদের কারাগারে বন্দী করে রাখা হচ্ছে। আমরা রাজপথে নামলে কাউতে বন্দী রাখতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে হবে। উই ওয়ান্ট জাস্টিস। ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশের ঘোষণাপত্রে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের আহ্বান জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তফসিল ঘোষণার আগে বর্তমান দশম সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। ঘোষণাপত্রে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আইনগত ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়। ঘোষণাপত্র পাঠ করার পর ড. কামাল হোসেন মঞ্চে সবার উদ্দেশে জানতে চান, এই ঘোষণাপত্রে কি সবাই একমত? পরে উপস্থিত সবাই দুই হাত তুলে একাত্মতা প্রকাশ করেন। ঘোষণাপত্রে গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারাদেশের প্রতিটি জেলা, থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে জাতীয় ঐক্যের কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ গণজাগরণের কর্মসূচী অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়। শেষ পর্যায়ে মঞ্চে উপবিষ্ট নেতারা একসঙ্গে হাত তোলেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মসূচী এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
×