ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রবি সরে গেছে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত স্পন্সরের কারণে

প্রকাশিত: ০৭:৩৩, ২৮ আগস্ট ২০১৮

রবি সরে গেছে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত স্পন্সরের কারণে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত বছর মে মাসে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের মূল স্পন্সর ছিল মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি। কিন্তু রবিবার হুট করেই তারা সেই স্পন্সরশিপ বাতিল করে নির্ধারিত সময়ের আগেই। ৬০ কোটি ১ লাখ টাকায় তারা ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিল। তাদের এই সরে দাঁড়ানোর কারণ প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানালেন, খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত স্পন্সরশিপের কারণে রবির যথাযথভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব হচ্ছিল না বলেই তারা স্পন্সরশিপ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে আগেভাগেই স্পন্সরশিপ বাতিল করেছিল ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সাহারা। সে সময়ও ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত স্পন্সরশিপের জন্য তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। তখন এমনকি ক্ষতিপূরণ বাবদ বিসিবির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থও নিয়েছিল সাহারা। এবারও একইভাবে রবি নিজেদের প্রত্যাহার করে নিল। এ বিষয়ে সোমবার নিজামউদ্দিন বলেন,‘বিষয়টা আমরা গ্রহণ করে নিয়েছি এবং আমাদের সংশ্লিষ্ট যে বিভাগ তাদের জানিয়ে দিয়েছি। তারা মূলত যেটা বলেছে যে, আমাদের ক্রিকেটার কেন্দ্রিক ব্যক্তিগত এন্ডোর্সমেন্ট তাদের সঙ্গে কনফ্লিকটিং ব্র্যান্ডের। সেটা নিয়ে তাদের আপত্তি ছিল এবং পুরোপুরি সমাধান না হওয়ায় তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। কিছু পদক্ষেপ রবির সঙ্গে আলোচনার পর নিয়েছিলাম। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে একটা মোবাইল কোম্পানির (বাংলালিঙ্ক) চুক্তি ছিল সেটা বাতিল করেছিল সাকিব। তামিম ইকবালও করেছেন, উনার যে চুক্তি ছিল গ্রামীণফোনের সঙ্গে। আমাদের অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজার সঙ্গে গ্রামীণের চুক্তি বাতিলও প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।’ কয়েকদিন পরেই এশিয়া কাপ। এর আগেই স্পন্সরশূন্য হলো বিসিবি। মাশরাফির গ্রামীণফোনের সঙ্গে চুক্তি বিষয়ে নিজামউদ্দিন আরও বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের নতুন স্পন্সর দেখতে হবে। হয়ত ২/১ দিনের মধ্যেই একটা সার্কুলারে যাব। আমরা চেষ্টা করব এশিয়া কাপের আগে স্পন্সর নিশ্চিত করার জন্য। মাশরাফির চুক্তিটা যখন হয়েছে তখন রবির সঙ্গে কনফ্লিক্টের এই টার্মসটা ছিল না। আগের যে চুক্তি ছিল রবির সঙ্গে দুই বছরের তখন এটা ছিল না। পরে এটা হয়েছে।’ আগেভাগে স্পন্সরশিপ চলে যাওয়ার পর এখন বিসিবি রবির সঙ্গে কি ধরনের প্রক্রিয়ায় যাবে সেটাও জানালেন সিইও। তিনি বলেন, ‘টার্মস এ্যান্ড কন্ডিশনে যা লেখা আছে তার মধ্য দিয়ে যাবে। প্লেয়ারদের স্বাধীনতা, টিম স্পন্সরশিপ একসঙ্গে হয় না আসলে। সেক্ষেত্রে বোর্ডের ভূমিকা হবে কোন কনফ্লিক্টিং ব্র্যান্ডে প্লেয়াররা স্পন্সরশিপে যেতে পারবে না। আমাদের দাবি থাকবে যতক্ষণ চুক্তি ছিল সেটার পূর্ণ এমাউন্টের। আমরা এই জায়গায় অনড় আছি।’
×