ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থনৈতিক সঙ্কট ॥ তুরস্কের পাশে কাতার ও জার্মানি

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ১৭ আগস্ট ২০১৮

অর্থনৈতিক সঙ্কট ॥ তুরস্কের পাশে কাতার ও জার্মানি

তুরস্ক ও আমেরিকার পাল্টাপাল্টি শুল্ক বৃদ্ধি এবং অব্যাহত উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মধ্যে তুরস্কের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে কাতার ও জার্মানি। বুধবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানি আঙ্কারায় তুর্কী প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঙ্গেলা মেরকেলও এ দিন টেলিফোনে এরদোগানের সঙ্গে আলাপ করেছেন। ডয়েচভেল ও কুয়েত টাইমস। কাতারের আমির শেখ তামিম কাতারে সরাসরি ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক দ্বন্দ্বের কারণে তুর্কী মুদ্রা লিরা এখন কঠিন অবস্থার মুখে পড়েছে। শেখ তামিম বলেন, তুরস্কের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্ক দৃঢ় ভিত্তির ওপর স্থাপিত এবং সেটি অব্যাহত থাকবে। তিনি এই সঙ্কটের সময় তুরস্কের পাশে তার দেশ থাকবে বলে জানান। এ দিকে জার্মান চ্যান্সেল এ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেন, তুরস্কের সঙ্গে পারস্পারিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে জার্মানি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উচ্চ পর্যায়ের সফরের মধ্যদিয়ে সে সম্পর্ক এগিয়ে নেয়া হবে। তুরস্কের পণ্যে কর বৃদ্ধি, আগে থেকে চুক্তি থাকা এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিতে আমেরিকার টালবাহানায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন জার্মান চ্যান্সেলর মেরকেল। মেরকেল বলেন, জার্মানির স্বার্থেই তুরস্কের শক্তিশালী অর্থনীতি চাই। এরদোগান সেপ্টেম্বরে জার্মানি সফরে যাবেন। এ ছাড়া জার্মান অর্থমন্ত্রী পিটার অল্টমেয়ারের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ তুরস্ক সফরের কথা রয়েছে। এর আগে তুরস্ক নিয়ে আমেরিকার কড়া সমালোচনা করেছিলেন জার্মানির অর্থমন্ত্রী পিটার অল্টমেয়ার। স্থানীয় একটি পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি আমেরিকার অবরোধ ও শুল্ক বৃদ্ধির নিন্দা করে তুরস্কের পাশে জার্মানি সব সময় থাকবে বলে মত প্রকাশ করেছিলেন। আমেরিকা ও তুরস্কের উত্তেজনা শুরু যেভাবে তুরস্কে বসবাসরত একজন আমেরিকান ধর্মযাজক এ্যান্ড্রু ব্রনসনকে দুই বছর আগে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে তুরস্ক সরকার গ্রেফতার করে। গত কয়েকদিনের অব্যাহত দরপতনের পর ডলারের বিপরীতে ডলারের দর এখন মোটামুটি ৬.৫ এর মধ্যে স্থিতিশীল রয়েছে। তুরস্ক ন্যাটোর অন্যতম মিত্র। দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রতি সম্পর্ক যেভাবে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে তাতে বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন। তারা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরগোগানের অর্থনৈতিক নীতি ও তুরস্কের বিশাল অঙ্কের বৈদেশিক ঋণ নিয়েও উদ্বিগ্ন। তুরস্কের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে একতরফাভাবে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছে।
×