ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কাদায় ভরা সড়ক ॥ চলাচলে চরম ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ৯ আগস্ট ২০১৮

কাদায় ভরা সড়ক ॥ চলাচলে চরম ভোগান্তি

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ দীর্ঘ রাস্তাজুড়ে কাদা আর কাদা। তার মধ্যে আবার কোথাও জমে রয়েছে পানি। এই অবস্থাতেই রাস্তায় বেরিয়ে বাজারঘাট, জরুরী কাজ করতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। ছোট ছোট ছোলেমেয়ে স্কুলেও যাচ্ছে। সাইকেল, মোটরবাইক, অটোভ্যান বিপজ্জনকভাবে চলছে। কেউ কেউ উল্টে পড়ছে। নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুশা গ্রামের চলাচলের দুটি নামের সাত কিলোমিটার রাস্তার জন্য ওই গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন সময় স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা ওই রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ তা বাস্তবায়ন করেনি। বুধবার সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, টিআর, কাবিখা বা কাবিটা কত প্রকল্পের বরাদ্দ আসছে আর শেষ হচ্ছে। কিন্তু এই রাস্তার দিকে কেউ ফিরেও তাকায় না। এলাকার সংসদ সদস্য জাপা নেতা শওকত চৌধুরী বা এলাকার জনপ্রতিনিধিরা যেন অন্ধ। তাদের চোখেই পড়েছে রাস্তাটি। তারা তো তেল মাথায় তেল দেয় আর আত্মসাত করে। এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করে জানায় আমরা জানতে পারি পানআতিপাড়া থেকে কঞ্চনার বিল পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচী থেকে (টিআর) অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু সে বরাদ্দ কই গেল আমরা জানি না। এলাকাবাসী জানায়, এলাকার জাপা এমপির প্রকল্পের বরাদ্দের চাল খাদ্য গুদাম হতে রংপুর চলে যায়। বাস্তবে কোন রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয় না। সব যেন হরিলুট। এলাকাবাসীর জানায়, এলাকার মানুষকে কষ্ট দেয়ার জন্যই এমন করা হচ্ছে। রাস্তা দিয়ে অটো ও মোটরভ্যানগুলি ধীরগতিতে চলছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তাটি নিয়ে সমস্যায় বাসিন্দারা। গত কয়েক বছর ধরে এভাবেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ যাতায়াত করছেন। দেখা যায় কিশোরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুশা গ্রামের পানাতিপাড়া থেকে কঞ্চনার বিল পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ও একই ওয়ার্ডের তালের দিঘী থেকে আফছার আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়ক একদম চলাচলের অনুপোযোগী। বর্তমান বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তাটি কাদা পানিতে একাকার হয়ে গেছে। এ দুর্ভোগ লাঘবে কারো মাথাব্যথা নেই। ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ বলেন, মুশা গ্রামের ওই রাস্তা দুটি চলাচলের একবারে অনুপোযোগী। আমি তালের দিঘী থেকে আফছার আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে লিখিতভাবে আবেদন করেছি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখারুল ইসলাম বলেন, পানাতিপাড়া থেকে কঞ্চনার বিল পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কারের জন্য এক লাখ ১১ হাজার ৩শ চার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সেই অর্থ অপ্রতুল। তাই সেই টাকায় কাজ না করে সরকারী কোষাগারে জমা রাখা হয়েছে।
×