ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুর সিটি নির্বাচন

১১৬ কাউন্সিলর প্রার্থীর জামানত বাজেয়াফ্ত হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:১১, ৩০ জুন ২০১৮

  ১১৬ কাউন্সিলর প্রার্থীর  জামানত  বাজেয়াফ্ত হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টর, গাজীপুর ও নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী ॥ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নির্ধারিত সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদের (স্থগিত কেন্দ্রবাদে) ১১৬ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াফ্ত হচ্ছে। ওই ১১৬ প্রার্থীর জামানতের মোট টাকার পরিমাণ ১৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এদের মধ্যে সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ৮৮ জন এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ২৮ জন রয়েছেন। এ সিটি কর্পোরেশনের এবারের নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫৪ জন ও সংরক্ষিত (নারী) কাউন্সির পদে ৮৪ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন। এছাড়াও এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বাদে অবশিষ্ট পাঁচ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াফ্ত হচ্ছে। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন ম-ল জানান, বিধি অনুযায়ী নির্বাচনে কোন প্রার্থী যদি মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়ে কম ভোট পান তবে তাদের জামানতের টাকা বাজেয়াফ্ত হবে। এক্ষেত্রে সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা যে ওয়ার্ড থেকে অংশ নেবেন সে ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১- ১৫,০০০ পর্যন্ত থাকলে তাদের জামানত ১০ হাজার টাকা, ১৫,০০১-৩০,০০০ পর্যন্ত থাকলে তাদের বেলায় জামানত ২০ হাজার টাকা এবং ৩০,০০১-৫০,০০০ সংখ্যক ভোট থাকলে জামানত ৩০ হাজার টাকা নির্ধারিত আছে। তবে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের ভোটার সংখ্যা যা-ই হোক তাদের বেলায় জামানত হলো স্থায়ী ১০ হাজার টাকা। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে (সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে), ১ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন (প্রতিজনের ২০ হাজার টাকা জামানত), ২ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন, (প্রতিজনের জামানত ২০ হাজার টাকা), ৪নং ওয়ার্ডে ১ জন (২০ হাজার টাকা) ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ১ জন (২০ হাজার টাকা) ৭নং ওয়ার্ডে ৪ জন (প্রতিজনের জামানত ছিল ১০ হাজার টাকা) ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন (প্রতিজনে ২০ হাজার টাকা), ১০নং ওয়ার্ডে ১ জন (২০ হাজার টাকা জামানত), ১১নং ওয়ার্ডে ১ জন (১০ হাজার টাকা জামানত) ১২নং ওয়ার্ডে ২ জন (প্রতিজনে ২০ হাজার টাকা করে জামানত), ১৩নং ওয়ার্ডে ১ জন (২০ হাজার টাকা জামানত), ১৫নং ওয়ার্ডে ৩ জন (প্রতিজনের জামানত ২০ হাজার টাকা), ১৭নং ওয়ার্ডে ১ জন (২০ হাজার টাকা জামানত), ১৮নং ওয়ার্ডে ৩ জন (প্রতিজনে ২০ হাজার টাকা করে জামানত), ২১নং ওয়ার্ডে ২ জন (প্রতিজনে ২০ হাজার টাকা করে), ২২নং ওয়ার্ডে ৪ জন (প্রতিজনে ২০ হাজার টাকা করে জামানত), ২৩নং ওয়ার্ডে ২ জন (প্রতিজন ২০ হাজার টাকা করে জামানত), ২৪নং ওয়ার্ডে ৭ জন (প্রতিজনে ২০ হাজার টাকা করে জামানত), ২৫নং ওয়ার্ডে ১ জন (১০ হাজার টাকা জামানত), ২৬নং ওয়ার্ডে ১ জন (২০ হাজার টাকা জামানত), ২৭নং ওয়ার্ডে ৫ জন (প্রতিজনে ২০ হাজার টাকা জামানত), ২৮নং ওয়ার্ডে ১ জন (২০ হাজার টাকা জামানত) ২৯নং ওয়ার্ডে ১ জন (২০ হাজার টাকা জামানত), ৩০নং ওয়ার্ডে ৩ জন (প্রতিজনে ১০ হাজার টাকা করে জামানত) ৩১নং ওয়ার্ডে ২ জন (প্রতিজনে ১০ হাজার টাকা করে), ৩২নং ওয়ার্ডে ১ জন (১০ হাজার টাকা জামানত), ৩৩নং ওয়ার্ডে ৪ জন (প্রতিজনে ১০ হাজার টাকা করে জামানত), ৩৪নং ওয়ার্ডে ১ জন (২০ হাজার টাকা জামানত), ৩৫নং ওয়ার্ডে ২ জন (৩০ হাজার টাকা জামানত), ৩৮নং ওয়ার্ডে ৩ জন (প্রতিজনে ২০ হাজার টাকা করে জামানত), ৩৯নং ওয়ার্ডে ১ জন (১০ হাজার টাকা জামানত), ৪০নং ওয়ার্ডে ১ জন (১০ হাজার টাকা জামানত), ৪১নং ওয়ার্ডে ১ জন (২০ হাজার টাকা জামানত), ৪৩নং ওয়ার্ডে ১ জন (২০ হাজার টাকা জামানত), ৪৫নং ওয়ার্ডে ১ জন (৩০ হাজার টাকা জামনত), ৪৭নং ওয়ার্ডে ২ জন (প্রতিজনে ৩০ হাজার টাকা জামানত), ৪৯নং ওয়ার্ডে ৭ জন (প্রতিজনে ২০ হাজার টাকা করে জামানত), ৫৪নং ওয়ার্ডে ১ জন (৩০ হাজার টাকা জামানত), ৫৫নং ওয়ার্ডে ৩ জন (প্রতিজনে ১০ হাজার টাকা করে জামানত), ৫৭নং ওয়ার্ডে ৩ জন (প্রতিজনে ২০ হাজার টাকা করে জামানত) সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে নির্ধারিত সংখ্যক ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী তাদের জামানত বাজেয়াফ্ত হচ্ছে। এছাড়া একই কারণে সংরক্ষিত আসনের (নারী) ১নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ২নং ওয়ার্ডে ২ জন, ৪নং ওয়ার্ডে ২ জন, ৫নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ৬নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ৮নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ১০নং ওয়ার্ডে ১ জন, ১১নং ওয়ার্ডে ১ জন, ১২নং ওয়ার্ডে ১ জন, ১৫নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ১৬নং ওয়ার্ডে ১ জন এবং ১৯নং ওয়ার্ডে ২ জনসহ প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জামানতের টাকা বাজেয়াফ্ত হচ্ছে। উল্লেখ্য ব্যালট পেপার ছিনতাই ও জোর করে তাতে সিল মেরে ব্যালটে ঢুকানোর অভিযোগে নির্বাচন কমিশন আটটি ওয়ার্ডের ৯টি কেন্দ্র স্থগিত করে। তার মধ্যে পাঁচটি ওয়ার্ডের (ওয়ার্ড নম্বর- ৩৭, ৪২, ৪৮, ৫১ ও ৫৩) পাঁচটি কেন্দ্রের প্রতিটিতে (কেন্দ্র নং- ২৪৩, ২৭৪, ৩৪২, ৩৭২ ও ৩৮১) স্থগিত ভোটার সংখ্যা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোটের পার্থক্যের চেয়ে অনেক বেশি। তাই ওই পাঁচটি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একই কারণে ৯ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের (কেন্দ্র নং- ১৬৬) কাউন্সিলর পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ তারিফুজ্জামান। গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ তারিফুজ্জামান জানান, নির্বাচন কমিশনের পুনর্ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী গত ২৬ জুন দেশের বৃহত্তম গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ জন এবং নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন। এবারের নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সংশোধনী ঃ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে এবারের নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ডে সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ৩৮৩০ ভোট পেয়ে মোঃ নাসির উদ্দিন মোল্লা বিজয়ী হয়েছেন। গত ২৮ জুনের পত্রিকায় ওই নামের স্থলে ভুল বশতঃ মোঃ শফিকুল আমিনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
×