ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে ধরাছোঁয়ার বাইরে মাদকের হোতারা

প্রকাশিত: ০৭:২৪, ২৭ মে ২০১৮

রাজশাহীতে ধরাছোঁয়ার বাইরে মাদকের হোতারা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর সীমান্তবর্তী ও পদ্মা নদীর তীরঘেঁষা তিনটিন উপজেলা গোদাগাড়ী, চারঘাট ও বাঘা। এছাড়া জেলার পবা উপজেলার একাংশও রয়েছে চরাঞ্চলে। এসব এলাকা মাদকের ডেরা হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে মাদকের স্বর্গরাজ্য হিসেবে দেশব্যাপী পরিচিত। এখানে ঘরে ঘরে হেরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবা আর গাঁজার অবাধ বাণিজ্য চলে দিনরাত। তবে রহস্যজনক কারণে এখানকার তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক বিক্রেতারা এখনও রয়েছে অধরা। দেশব্যাপী মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই এ উপজেলার দুই শতাধিক ব্যবসায়ী আত্মগোপনে চলে গেছে বলে দাবি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। তাই এখনও নাগালের বাইরে রয়েছে মাদক চক্রের শীর্ষ বিক্রেতারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে মাদকের চাহিদার বড় অংশ ঢোকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে। এখানে অন্তত দুই শতাধিক বড় বড় মাদক বিক্রেতা রয়েছে, যারা প্রতিদিনই ভারত থেকে কেজি কেজি হেরোইন পাচার করে আনে। তাই ‘মাদকের ডেরা বা ড্যান্ডি’ নামেই সীমান্ত ঘেঁষা এই উপজেলাকে চেনে দেশের মানুষ। পাশাপাশি জেলার পবা, চারঘাট ও বাঘা এলাকাও মাদক জোন হিসেবে পরিচিত অথচ সারাদেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হলেও এ সীমান্ত ঘেঁষা এসব উপজেলায় কোন প্রভাব নেয়। মাদকবিরোধী অভিযান চললেও শীর্ষ হোতারা এখনও রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। অন্য সময়ের তুলনায় এসব এলাকা থেকে মাদক উদ্ধার ও মাদক বিক্রেতা গ্রেফতারের সংখ্যাও কমে গেছে। এ অবস্থায় এলাকাবাসীর মন্তব্য ‘মাদক বিক্রেতা ও প্রশাসনের সম্পর্কের জেরেই এখানে অভিযান জোরদার হচ্ছে না।’ অনেকে লাপাত্তা থাকলেও তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নানাভাব যোগাযোগ করছেন বলেও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সারাদেশে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর পর গোদাগাড়ী, চারঘাট ও বাঘার অধিকাংশ মাদকের গডফাদার আত্মগোপন করেছেন। তবে থেমে নেই তাদের কারবার। অন্তরালে থেকে আগের মতো এখনও টাকার বিনিময়ে তাদের হেরোইন সীমান্ত থেকে আনা থেকে শুরু করে সংরক্ষণ এবং ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ধাপে ধাপে কয়েকজন মিলে করছেন এই কাজ। ফলে এখনও গোদাগাড়ী সীমান্ত দিয়ে অবাধে হেরোইন এসে চলে যাচ্ছে দেশের নানা প্রান্তে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, এলাকা থেকে পালিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কৌশল বদলে এখনও তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বাড়িতেও থাকছে না। তাদের বেশিরভাগের বিরুদ্ধে মাদক ও চোরাচালানের মামলা রয়েছে।
×