অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ২০২১ সালে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশ গত বছর কানাডায় ১১০ কোটি বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে প্রায় ৬০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। কানাডা বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার। ২০০৩ সাল থেকে কানাডা বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী রবিবার ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং ঢাকাস্থ কানাডা হাইকমিশন আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘শোকেস কানাডা-২০১৮’ নামে ট্রেড এ্যান্ড এডুকেশন ফোয়ার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, কানাডা বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা কানাডায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য যায়। বাংলাদেশেও কানাডার তত্ত্বাবধায়নের বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। এ মেলায় কানাডায় শিক্ষার সুযোগ গ্রহণের নিয়ম-কানুনসহ প্রয়োজনীয় তথ্য জানা যাবে। এ ধরনের মেলার মাধ্যমে উভয় দেশের মানুষ আরও কাছে আসার সুযোগ পাবে।
তিনি বলেন, সপ্তমপঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা মোতাবেক বাংলাদেশ রফতানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, সফটওয়্যার ও তথ্য প্রযুক্তি সেবা কানাডায় রফতানি করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে করে কানাডায় বাংলাদেশের পণ্য রফতানি অনেক বৃদ্ধি পাবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প এবং ইপিজেড-এ বেশ কিছু বিনিয়োগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে কানাডার বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশ সরকার এ মুহূর্তে বিনিয়োগকারীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। কানাডার বিনিয়োগকারীগণ এ বিনিয়োগ সুবিধাগুলো গ্রহণ করতে পারেন। বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি বিএনপি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিগত নির্বাচনে যে ভুল করেছিল সে ভুল আর বিএনপি করবে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন সার্স কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছে, সেখানে বিএনপির সুপারিশকৃত ব্যক্তিও আছে।
