ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আইসিটি খাত

প্রকাশিত: ০৭:৫৯, ৬ মে ২০১৮

আইসিটি খাত

বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে সম্ভাবনাময় একটি দেশ। সরকারের ১০ বছরের প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার কথা বলা আছে। তবে এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে অর্থনীতির দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তুলতে হবে। শুধু প্রচলিত খাতেই নয়, অপ্রচলিত খাতকেও রফতানিনির্ভর খাতে পরিণত করতে হবে। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এখন বহুমুখী রফতানি খাত গড়ে তোলার গুরুত্ব অপরিসীম। খুঁজে বের করতে হবে সম্ভাবনার খাতগুলোকে; যার ওপর ভিত্তি করে উন্নত দেশের দিকেই এগিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ। আইসিটি খাত ঠিক তেমনি এক খাত। ২০১৬ সালে এই খাত থেকে রফতানি আয় হয়েছে ৮০ কোটি ডলার। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২০১৮ সালের মধ্যে এ খাত থেকে ১ বিলিয়ন ডলার আর ২০২১ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় অর্জন করা। দেশে দেড় হাজারের বেশি আইটি ও আইটিইএস কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের প্রায় ৫শ’ কোম্পানি রফতানির সঙ্গে জড়িত রয়েছে। শুধু বেসিসের রয়েছে ১ হাজার ৮৬ সদস্য কোম্পানি। এর মধ্যে অর্ধেক কোম্পানিকে সক্রিয় হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। বর্তমানে দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় রফতানি খাত হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে (আইসিটি) বিবেচনা করছে সরকার। ২০২১ সালের মধ্যে এই খাত থেকে ৫০০ কোটি ডলারের (৪০ হাজার কোটি টাকা) পণ্য ও সেবা রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া জিডিপিতে আইসিটির অবদান ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়া এবং ২০ লাখ কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্য নিয়েও কাজ করছে সরকার। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বর্তমানে আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়ন, দক্ষ জনবল ও নতুন উদ্ভাবনী উদ্যোগ তৈরির ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে সব মিলিয়ে ৪০ কোটি ডলারের আইসিটি পণ্য ও সেবা রফতানি হচ্ছে। রফতানি বাড়াতে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) খাতকেও অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। ২০২১ সাল নাগাদ বিপিও খাতে এক বিলিয়ন ডলার বা আট হাজার কোটি টাকার বাজার তৈরির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সূত্র জানায়, লক্ষ্য অর্জনে আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়ন, সারা দেশে হাইটেক পার্ক তৈরি, সফটওয়্যার রফতানি বাড়ানো, বিপিও খাতের উন্নয়ন, এক হাজার উদ্ভাবনী পণ্য তৈরি, গেম খাতের উন্নয়নসহ বহুমুখী উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ এবং রফতানি আরও বাড়বে বলে আশা করছেন আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তারা।
×