ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ শুরু হচ্ছে আজ

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২৩ এপ্রিল ২০১৮

জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ  শুরু হচ্ছে  আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০১৮ শুরু হচ্ছে আজ সোমবার। আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। এবারের এই সপ্তাহ পালনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের মধ্যে পুষ্টি বিষয়ক ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি।’ এবারের জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘খাদ্যের কথা ভাবলে, পুষ্টির কথাও ভাবুন’। এই কর্মসূচী আগামী ২৯ এপ্রিল শেষ হবে। রবিবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও সম্প্রসারণকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টির পাশাপাশি প্রশাসনের সব স্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিসহ সবার মধ্যে পুষ্টি বিষয়ে আগ্রহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি এবং পুষ্টি উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করা। এছাড়া বিভিন্ন বয়সী মানুষের মধ্যে পুষ্টি সম্পর্কে সচেতন করা আমাদের লক্ষ্য। এই সপ্তাহ উপলক্ষে র‌্যালি, মেলা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বলেন, ‘বিআইবিএইচএস-এর সম্পাদিত সর্বশেষ জরিপের ফলাফল অনুযায়ী দেশে বর্তমানে অপুষ্টির কারণে ৩৬.১ শতাংশ মানুষ খর্বাকৃতি, ১৪.৩ শতাংশ মানুষ চিকন আর ৩২.৪ শতাংশ কম ওজনের মানুষ রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব। জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০১৮-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম উপস্থিত থাকবেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জনগণের পুষ্টিমান বাড়াতে দেশব্যাপী গণসচেতনতামূলক সমন্বিত কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার কারণে যথাযথ পুষ্টি গ্রহণ থেকে বঞ্চিত। অন্যদিকে, ধনী শ্রেণীর মানুষ সচেতনতার অভাবে সঠিক পুষ্টিগুণ খাবার গ্রহণ করতে পারছে না। একারণেই দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য শক্তিশালী ও কার্যকর কর্মসূচী গ্রহণের জন্যে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান স্বাস্থ্যসচিব। তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে গ্রামের আর্থিক অসামর্থ্যরে কারণে যে জনগোষ্ঠী পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে পাছে না, তাদের মধ্যে সঠিক পুষ্টি জ্ঞান তুলে ধরার ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদগণ ভূমিকা রাখতে পারবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাস্থ্যখাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এমনকি প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে। নতুন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হলে জনগণের পুষ্টিমান উন্নয়নেও বাংলাদেশ বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে বলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
×