ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাজেটে বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ২২ এপ্রিল ২০১৮

বাজেটে বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আগামী বাজেটে বেসরকারী বিনিয়োগ এবং শিল্পায়ন বৃদ্ধিকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করা হবে। ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমাতে ইচ্ছুক সরকার। পণ্য সামগ্রী নয়, কাঁচামাল আমদানিতে কর কমানো হবে। বড় বাজেটে রেভিনিউ টার্গেট বেশি হয়ে থাকে। তবে ব্যবসায়ীদের সুযোগ দেয়া হবে, যাতে করে তারা ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারেন। দেশী পণ্যের চাহিদা বাড়াতে বাজেটে বিনিয়োগ উৎসাহিত করা হবে। শনিবার চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে প্রাক বাজেট মতবিনিময় সভায় কথাগুলো বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন ভুঁইয়া। উভয় সভায় ট্রেড বডি নেতারা বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন। চট্টগ্রাম চেম্বারের সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, অর্থমন্ত্রী ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমাতে আগ্রহী। কিছু কিছু ব্যাংক ইতোমধ্যেই এই হার কমাতে শুরু করেছে। তিনি জানান, বেসরকারী বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বাড়ানোর ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব থাকবে। আমাদের জিডিপি যেভাবে বাড়ছে সে হারে করদাতা বাড়ছে না। প্রতিদ্বন্দ্বী ও নারী উদ্যোগের সুবিধা বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা রয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে দেশের রফতানি পণ্য চিহ্নিত করে সাফটা চুক্তির আওতায় আনার অনুরোধ জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি এ সভায় শুল্ক সংক্রান্ত ১৪৮টি, ভ্যাট সংক্রান্ত ৩০টি, এবং আয়কর সংক্রান্ত ৪৮টিসহ মোট ২২৬টি প্রস্তাব তুলে দেন এনবিআর চেয়ারম্যানের হাতে। চেম্বার সভাপতি তার বক্তব্যে ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ টাকা, নারী, প্রতিবন্দ্বী এবং ৬৫ বছরের উর্ধে তা ৫ লাখ টাকায় উন্নীতকরণ, কাঁচামাল ও মেশিনারি পার্টস আমদানিতে বছরে ২৫ হাজার ডলার পর্যন্ত অগ্রিম পেমেন্ট পাঠানোর অনুমোদন, কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা, পাবলিকলি ট্রেটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে কর ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে আনা এবং প্রাইভেট লিঃ কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা উচিত বলে অভিমত রাখেন। তিনি দেশের ক্রমবর্ধমান আমদানি ও রফতানিকে বিবেচনায় রেখে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, কর্ণফুলী টানেল এবং বে-টার্মিনাল নির্মাণকে অগ্রাধিকার প্রদানের দাবি জানান। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে কন্টেনার পরিবহণ বৃদ্ধির ওপরও গুরুত্ব দেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, পণ্য আমদানির চেয়ে দেশের পণ্য তৈরির ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করা হবে। সে কারণে কাঁচামাল আমদানিতে কর কমানো হবে। তাহলেই বিনিয়োগ, শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থান বাড়বে। করের আওতা বাড়ানোর বিষয়টিও নিজ বিবেচনায় রাখতে হবে। মুদ্রানীতি হবে ব্যবসা বান্ধব। বিভিন্ন পণ্যের ট্যারিফ ভ্যালু নির্ধারণে পর্যালোচনা করা হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই একটি মোবাইল স্ক্যানার উদ্বোধন করা হয়েছে। বছর খানেকের মধ্যে আরও স্ক্যানার মেশিন বসানো হবে। ওজনও স্বয়ংস্ক্রিয় হয়ে যাবে। নিলামসহ সকল কাজে গতিশীলতা আসবে। মতবিনিময় সভার পূর্বে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের দুই নম্বর গেটে কাস্টম হাউসের নতুন স্ক্যানার মেশিন উদ্বোধন করেন।
×