ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

পেঙ্গুইন ও পাঠক সমাবেশের মাসব্যাপী বইমেলা

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ২ এপ্রিল ২০১৮

পেঙ্গুইন ও পাঠক সমাবেশের মাসব্যাপী বইমেলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বই নিয়ে চমৎকার এক উৎসব। এক ছাদের নিচে উপস্থাপিত হয়েছে দেশ-বিদেশের হাজারো বই। স্বদেশের নামী লেখকদের সঙ্গে বিশ্বখ্যাত লেখকদের বই মিলছে সেখানে। আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থা পেঙ্গুইন র‌্যান্ডম হাউস ও বাংলাদেশের স্বনামধন্য বই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান পাঠক সমাবেশ যৌথভাবে আয়োজন করেছে মাসব্যাপী এই বইমেলার। এই মেলার সূত্র ধরে পাঠক সমাবেশ থেকে প্রকাশিত বই বিশ্ববাজারে পৌঁছে দেবে পেঙ্গুইন র‌্যান্ডম হাউস (ভারত)। আর পেঙ্গুইনের বই এদেশে বাজারজাত করবে পাঠক সমাবেশ। বাংলা বই বিপণনের উপলক্ষকে উদ্্যাপনে দুই সংস্থা মিলে এ মেলার আয়োজন করেছে। শনিবার শাহবাগের পাঠক সমাবেশ কেন্দ্রে শুরু হলো এ বইমেলা। মেলায় পাঠক সমাবেশ প্রকাশিত সকল বইয়ের সঙ্গে রয়েছে পেঙ্গুইন র‌্যান্ডম হাউসের প্রায় ১০ হাজার বই। এ গ্রন্থমেলায় বাংলা ভাষার বইয়ের পাশাপাশি ইংরেজী ভাষার নানান বিষয়ের বড় সংগ্রহ থাকছে। বিকেলে পাঠক সমাবেশ কেন্দ্রে এ বইমেলার উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, কবি কামাল চৌধুরী, জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত ও পেঙ্গুইন র‌্যান্ডম হাউসের কর্মকর্তা অলকেশ বিশাল। সভাপতিত্ব করেন কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পাঠক সমাবেশের প্রকাশনা প্রধান ওয়াহিদুল হক। স্বাগত বক্তব্য দেশের পাঠক সমাবেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল ইসলাম বিজু। সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, এ মেলার মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করল পেঙ্গুইন। আন্তর্জাতিক এই প্রকাশনা সংস্থার এদেশে আসার কারণ হচ্ছে এখানে ইংরেজী বইয়ের বাজার রয়েছে। শুধু তাই নয়, এদেশে এখন অনেকেই ইংরেজীতে লেখালেখি করছেন। আবার ইংরেজীতে কথা বলার একটি শ্রেণীও ইংরেজী মাধ্যম স্কুলের মাধ্যমে সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ইংরেজী বইয়ের বাজার আছে। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সাংস্কৃৃতিক শক্তির প্রকাশ ঘটছে তার প্রমাণ এই ধরনের মেলা আয়োজন। আগে বিষয়টা ছিল একতরফা। আমরা কেবল ওদের বই বিক্রি করতাম। এখন ওরাও আমাদের বইও বিদেশে বিক্রি করবে। বিশ্ববাজারে এদেশের লেখকদের বই না পৌঁছানোর অন্যতম কারণ হচ্ছে আমাদের দক্ষ অনুবাদকের অভাব রয়েছে। এ কারণে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট কিংবা কোন সরকারী সংস্থার মাধ্যমে অনুবাদক গড়ে তুলতে হবে। কামাল চৌধুরী বলেন, পৃথিবীর একটি নামী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করছে এটা অত্যন্ত ইতিবাচক। দেশের সার্বিক পরিবর্তনের ইতিবাচক প্রকাশ ঘটছে এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে। আমরা যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের কথা বলছি, তার ছোঁয়া প্রকাশনা শিল্পেও লেগেছে। শহিদুল ইসলাম বিজু বলেন, পেঙ্গুইন ৮০ বছরের পুরনো যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। ভারতে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে ৩০ বছর ধরে। আর পাঠক সমাবেশও ৩০ বছর পেরিয়ে এসেছে। এ প্রদর্শনী সেই দীর্ঘ চলার পথে একটি মাইলফলক। পেঙ্গুইনের প্রতিনিধি অলকেশ বিশাল বলেন, এ মেলার মাধ্যমে বিশ্বের ইংরেজী সাহিত্য ও মননশীল বইয়ের বড় সংগ্রহের দেখা পাবেন বাংলাদেশের পাঠকরা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের লেখকরা যারা ইংরেজী ভাষার পাঠকদের কাছে পৌঁছাতে চান তারাও সেই পাঠকদের ভাষা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের স্বনামধন্য লেখকদের বই ইংরেজীতে অনুবাদ করে তারা ইংরেজী ভাষার পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার। আয়োজকরা জানান, এবার সব বয়সের পাঠকের জন্য মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী নবেম্বরে শুধু শিশুদের জন্য বইমেলার আয়োজন করা হবে। এ বইমেলায় পেঙ্গুইনের বই কিনলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড় পাবে পাঠকরা। এর মধ্যে ২০ হাজার টাকার বই কিনলে ২৫ শতাংশ আর ৩০ হাজার টাকার বই কিনলে ৩০ শতাংশ ছাড় দেয়া হবে। নৃত্যশিল্পী মিনু হককে সংবর্ধনা ॥ সম্প্রতি একুশে পদক পেয়েছেন নৃত্যশিল্পী ও বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক। এই অর্জন উপলক্ষে বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা বর্ণিল আয়োজনে সংবর্ধনা জানানো এই শিল্পীকে। ‘আজি এ সন্ধ্যার ধ্রুবতারা/তোমার আলোয় আমরাও/হবো আলোকিত’ প্রতিপাদ্যে রবিবার এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সন্ধ্যায় সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
×