ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভারতে রোগীর স্বেচ্ছা মৃত্যুর অধিকারে আদালতের সায়

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১০ মার্চ ২০১৮

ভারতে রোগীর স্বেচ্ছা মৃত্যুর অধিকারে  আদালতের সায়

নিরাময় অযোগ্য রোগের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিয়েছে ভারতের সুপ্রীমকোর্ট। সেইসঙ্গে নাগরিকদের চাইলে ভবিষ্যতে লাইফ সাপোর্টে বেঁচে থাকতে চান না মর্মে উইল করার অনুমতিও দেয়া হয়েছে; আদালত যাকে ‘লিভিং উইল’ বলে বর্ণনা করেছে। তবে কে বা কারা স্বেচ্ছা মৃত্যুর অনুমতি দিতে পারবে সে বিষয়ে আদালত থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ওয়াশিংটনভিত্তিক ‘কমন কজ’ নামে একটি এনজিওর আবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার ভারতের সুপ্রীমকোর্টের প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেয়। -খবর ওয়েবসাইটের। পিটিশনে বলা হয়, “একজন ব্যক্তির নিজের শরীরের ওপর অত্যাচার প্রতিরোধের অধিকার নেই, এ কথা আপনি কিভাবে বলতে পারেন? বেঁচে থাকার অধিকারের মধ্যেই সম্মানের সঙ্গে মৃত্যুর অধিকার অন্তর্নিহিত। যন্ত্রের সাহায্যে (ভেন্টিলেশন) কাউকে বেঁচে থাকতে বাধ্য করা যায় না। একজন ব্যক্তিকে কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখার অর্থ তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বেঁচে থাকতে বাধ্য করা।” শুক্রবার ওই পিটিশনের রায়ের শুরুতে বলা হয় ‘মানুষের সম্মানের সঙ্গে মৃত্যুর অধিকার আছে।’ “যদিও বিচারকরা এ ক্ষেত্রে চারটি আলাদা মত দিয়েছেন। তবে তারা সবাই ‘লিভিং উইল’ এর অনুমতি দেয়া উচিত বলে একমত হয়েছেন। “যদি ভবিষ্যতে কোমায় চলে গেলে কেউ আর বেঁচে না থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তবে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে তার জীবন টেনে নেয়া উচিত না বলে আমাদের মত।” ‘লিভিং উইল’ কার্যকরের ক্ষেত্রেও আদালত থেকে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কে বা কারা লিভিং উইল কার্যকরের অনুমতি দিতে পারবে তা সুনির্দিষ্ট করে দেয়ার পাশাপাশি ‘কোমায়’ চলে যাওয়ার পর কোন রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে নাকি উঠবে না সে বিষয়ে মেডিক্যাল বোর্ড বসিয়ে চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত নেয়ার কথাও বলা হয়েছে। আর যদি কোন রোগী ‘লিভিং উইল’ করে না যান এবং চিকিৎসকরা তার অসুস্থতা নিরাময় অযোগ্য বলে ঘোষণা করেন; কিন্তু রোগী নিজে সিদ্ধান্ত নেয়ার মত অবস্থায় না থাকেন তবে তার কোন স্বজন উচ্চ আদালতে স্বেচ্ছা মৃত্যুর অনুমতি দেয়ার আবেদন করতে পারবেন।
×