ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শুরু কাল

প্রকাশিত: ০৭:০৯, ২ মার্চ ২০১৮

চট্টগ্রামে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শুরু কাল

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শুরু হচ্ছে কাল শনিবার। চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে সুপরিসর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই মেলা। বিকেলে মেলা উদ্বোধন করবেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। এবারও চট্টগ্রাম বাণিজ্যমেলায় পার্টনার কান্ট্রি হিসেবে থাকছে থাইল্যান্ড। বৃহস্পতিবার নগরীর আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমেলার সার্বিক আয়োজন তুলে ধরেন চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি জানান, ব্যবসায়িক উদ্দেশে নয়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে দেশে উৎপাদিত পণ্যের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে এই আয়োজন। ঢাকায় রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) উদ্যোগে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা হয়ে থাকলেও চট্টগ্রামে এই আয়োজনটি করে থাকে চেম্বার অব কমার্স। চট্টগ্রামে শিল্প স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে চেম্বারের উদ্যোগে সম্পূর্ণ আলাদা একটি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্তের কথাও জানান চেম্বার সভাপতি। চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, বিদ্যুত- জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, নৌ পরিবহন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য এমএ লতিফ এমপি এবং এফবিসিসিআই’র প্রথম সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। চেম্বার সভাপতি বলেন, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় এটিই দেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যমেলা। এতে অংশ নেবে ভারত, থাইল্যান্ড, মরিশাসসহ বিভিন্ন দেশ এবং স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। পার্টনার কান্ট্রি থাইল্যান্ড বিগত ১৪ বছরের ন্যায় এবারও ৫ হাজার ৪শ বর্গফুট জায়গা নিয়ে বাণিজ্যমেলায় অংশগ্রহণ করছে। প্রতিবারের মতো এ বছরও লাখ লাখ দর্শনার্থীর সমাগম ঘটবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিল্পোন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে চেম্বারের ভূমিকার উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি জানান, চিটাগাং চেম্বারের উদ্যোগে চট্টগ্রামে আমরা সম্পূর্ণ আলাদা একটি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনেক ব্যবসায়ী শিল্প স্থাপনের জন্য আগ্রহী। অথচ স্থানাভাবে পারছেন না। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে চেম্বার নিজেই একটি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা করবে, যেখানে গড়ে উঠবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। দেশের ইপিজেডগুলোর আদলে গড়ে উঠবে এই শিল্পজোন। শিল্পোদ্যোক্তারা বেপজার (রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ) কাছ থেকে যেমন সুবিধা পেয়ে থাকেন, ঠিক একই সুবিধা পাবেন চিটাগাং চেম্বারের ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগকারীরা। চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও চেম্বারের সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ বলেন, এই মেলায় কিছু বন্ধুপ্রতিম দেশের প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। এতে পণ্যের গুণগত মান, উৎপাদন খরচ ইত্যাদির তুলনামূলক বিচার করার মাধ্যমে আমাদের দেশে উৎপাদিত পণ্যসমূহের মানোন্নয়ন এবং প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। মেলার ব্যাপ্তি প্রায় ৪ লাখ বর্গফুট। এতে থাকছে ১৭টি প্রিমিয়ার গোল্ড প্যাভিলিয়ন, ১১টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ৮টি স্ট্যান্ডার্ড প্যাভিলিয়ন, ১৭২টি প্রিমিয়ার মেগা স্টল, ২৩টি মেগা স্টল, ১৪টি প্রিমিয়ার গোল্ড স্টল, ১৩টি প্রিমিয়ার স্টল, ১৪টি স্ট্যান্ডার্ড স্টল, ৩টি রেস্টুরেন্ট, পার্টনার কান্ট্রির থাই জোন এবং ৩টি আলাদা জোনসহ মোট ৪৫০টির অধিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ। সর্বসাধারণ যেন ব্যাপকহারে মেলা পরিদর্শন করতে পারে সেজন্য টিকেটের মূল্য রাখা হয়েছে দশ টাকা। বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা পরিদর্শন করবেন। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
×