ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার সঙ্গে উত্তরের ১১ জেলার বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত: ০৮:০৬, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ঢাকার সঙ্গে উত্তরের ১১ জেলার বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ঢাকা ও বগুড়ার পরিবহন মালিকদের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জের ধরে বুধবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজধানীর সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের ১১টি জেলার বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বগুড়া শহরতলীর চারমাথা এলাকায় রাজশাহী বিভাগীয় মোটর শ্রমিক আঞ্চলিক কার্যালয়ে জরুরী বৈঠক শেষে মঙ্গলবার রাত ১০টায় বিভাগীয় মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এ ঘোষণা দেয়। খবর ওয়েবসাইটের। উত্তরের ১১ জেলা হলো বগুড়া, নওগাঁ, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম। মঙ্গলবার রাতে বিভাগীয় মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি আবদুল লতিফ ম-লের সভাপতিত্বে মোটর মালিক গ্রুপের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম মোহন বুধবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের ১১ জেলার কোচ চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন। এর আগে সোমবার রাতের পর বগুড়ার পরিবহন মালিক শ্রমিকরা বগুড়া-ঢাকা রুটের কোচ চলাচল বন্ধ করে দেন। মঙ্গলবার দিনভর এ রুটের প্রায় ৩০০ কোচ চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বগুড়ার ‘শাহ্ ফতেহ আলী’ পরিবহনের ২০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ বগুড়া থেকে ঢাকার মহাখালী রুটে চলাচল করে। অন্যদিকে, ঢাকার পরিবহন মালিকদেরও বেশ কয়েকটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ ঢাকা থেকে রংপুর পর্যন্ত চলাচল করে। সব মিলিয়ে অর্ধশত বাস চলাচল করে। সম্প্রতি ঢাকার পরিবহন মালিকদের পক্ষ থেকে ব্যবসায়িক ক্ষতির অজুহাতে বগুড়ার শাহ্ ফতেহ্ আলী পরিবহনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসগুলো ঢাকা-বগুড়া রুটে না চালানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু বগুড়ার মালিকপক্ষ সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলে ঢাকার পরিবহন মালিকরা অসন্তুষ্ট হন। সোমবার বিকেলে ঢাকার পরিবহন মালিকরা মহাখালী বাস টার্মিনালে শাহ্ ফতেহ্ আলী পরিবহনের টিকিট কাউন্টার বন্ধ করে দেন। এরপর তারা ঢাকার গাবতলীতেও শাহ্ ফতেহ আলী পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ করে দেন। এতে ওই পরিবহনের বাসগুলো ঢাকায় আটকে পড়ে। এ খবর বগুড়ায় পৌঁছার পর বগুড়ার পরিবহন মালিক শ্রমিকরা তাৎক্ষণিকভাবে বগুড়া থেকে ঢাকাগামী সব কোচ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
×