ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাপুয়া নিউ গিনিতে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প

প্রকাশিত: ১৮:৩৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

পাপুয়া নিউ গিনিতে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প

অনলাইন ডেস্ক ॥ পাপুয়া নিউ গিনির দক্ষিণাঞ্চলীয় পার্বত্য প্রদেশে ৭.৫ মাত্রার শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)। ইউএসজিএস এর তথ্যনুযায়ী, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটে রাজধানী পোর্ট মোরসবি থেকে প্রায় ৫৬০ কিলোমিটার দূরে পাপুয়া নিউ গিনির প্রধান দ্বীপের কেন্দ্রস্থলের কাছে ভূপৃষ্ঠের ৩৫ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। ভোররাতের এ ভূমিকম্পের কারণে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সমৃদ্ধ ওই প্রদেশটিতে খনি কোম্পানির কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। পাপুয়া নিউ গিনির জাতীয় দুর্যোগ কেন্দ্রের এক মুখপাত্র টেলিফোনে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল দূর প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ায় ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ নিরূপণ করতে পারেনি সংস্থাটি। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতেরও কোনো খবর পাওয়া যায়নি। হাওয়াইতে অবস্থিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর কোনো সুনামি ঝুঁকি তৈরি হয়নি। পাপুয়া নিউ গিনির রেডক্রস প্রধান উদয়া রেগমি জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে তারির যোগাযোগ ব্যবস্থা ‘সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে’; এলাকাটি ভূমিকম্প উপকেন্দ্রের নিকটবর্তী সবচেয়ে বড় বসতিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এক্সনমোবিল কর্পোরেশন জানিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে ভূমিকম্প উপকেন্দ্রের নিকটবর্তী হাইডস্ গ্যাস কন্ডিশনিং প্ল্যান্ট বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এক ইমেইল বার্তায় এক্সনমোবিল পিএনজি-র মুখপাত্র বলেছেন, “হাইডস্ প্ল্যান্টে এক্সনমোবিল পিএনজি-র সব কর্মী ও ঠিকাদার নিরাপদ আছেন।” হাইডস্ প্ল্যান্টে প্রাকৃতিক গ্যাসকে প্রক্রিয়াজাত করে ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনে করে মোরসবি বন্দরের নিকটবর্তী প্রাকৃতিক গ্যাস তরলীকরণ প্ল্যান্টে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তরল গ্যাস জাহাজে ভরে রপ্তানি করা হয়। পিএনজি-র তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে নিয়োজিত অয়েল সার্চ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতে তেল-গ্যাস উত্তোলন বন্ধ রেখেছে তারা। ওই এলাকাতে পাঁচ মাত্রার বেশি শক্তিসম্পন্ন বেশ কয়েকটি পরাঘাত অনুভূত হয়েছে বলেও তারা জানিয়েছে। তাদের কাছে হতাহতের কোনো খবর নেই বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বেশ কয়েকটি ত্রাণ ও মিশনারী সংস্থা জানিয়েছে, ঘন বনে আচ্ছাদিত ওই এলাকাটির দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ কঠিন হয়ে পড়েছে। শর্ট ওয়েভ রেডিওর মাধ্যমে কয়েকটি প্রত্যন্ত গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর খ্রিস্টান মিশনারী ব্রান্ডন বুসার রয়টার্সকে বলেছেন, “ঝোপের মতো করে তারা যে ঘর তৈরি করে তা খুব ভালোভাবে ভূমিকম্পকে সামাল দিতে পারে।” পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ এলাকার মধ্যে পড়া এ দ্বীপটি কয়েকটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত, এই এলাকাটি একটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল।
×