ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইতিবাচক ক্রিকেটই খেলতে চান মাহমুদুল্লাহ

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭

ইতিবাচক ক্রিকেটই খেলতে চান মাহমুদুল্লাহ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বছরের শুরুতেই ত্রিদেশীয় সিরিজ। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজটিতে আবার বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক প্রধান কোচ চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহেই শ্রীলঙ্কার কোচ। তার তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের বিপক্ষেই শ্রীলঙ্কা বছরের প্রথম সিরিজটি খেলবে। হাতুরাসিংহেকে নিয়ে সবাই চিন্তিত। বাংলাদেশ টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ কিন্তু চিন্তিত নন। তার ভাষ্য, ‘ভীতিহীন এবং ইতিবাচক ক্রিকেটই খেলব।’ বছরের শুরুতেই শ্রীলঙ্কা সিরিজ। নতুন বছরে আপনাদের চ্যালেঞ্জটা কেমন? মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ জানান, ‘নতুন বছরে নতুন চ্যালেঞ্জ। আমরা সবাই ইতোমধ্যেই অনুশীলন শুরু করেছি। সবাই যে যার মতো কাজ করেছে। কোচিং ম্যানেজমেন্ট যারা আছে ওনারাও কথা বলছে যে এ সিরিজটা আমাদের জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ। শুরুটা ভাল হওয়া দরকার। তো ওটার জন্যই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ম্যাচ আসলে দেখা যাবে আমরা কত প্রতিফলন ঘটাতে পারি।’ খেলাটা হোম গ্রাউন্ডে কিন্তু প্রতিপক্ষ দলের কোচ এমন একজন যিনি আপনাদের কথা সবই জানে। এটা আপনাদের জন্য প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে কী না? মাহমুদুল্লাহ এ বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নন, ‘সত্যি কথা বলতে আমার মনে হয় না ওই ধরনের প্রতিবন্ধকতা হবে বা আমরা ওইটা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছি এমনও না। কিন্তু আমরা যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের স্কিলগুলা মাঠে প্রয়োগ করতে পারি, আশা করছি ফলাফল হয়ত বা আমাদের পক্ষেই থাকবে। এবং আমরা যেটা গত কয়েক বছর ধরে খেলে আসছি ভীতিহীন এবং ইতিবাচক ক্রিকেট তেমন ক্রিকেটই খেলব।’ ২০১৭ টা আপস এ্যান্ড ডাউনসের মধ্য দিয়ে ছিল। অনেক কিছু বদলেছে। ২০১৮ বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অনেক ব্যস্ত বছর। শুরুটা ঘরের মাঠে হওয়াটা কী ইতিবাচক দিক? মাহমুদুল্লাহ জানান, ‘এটা অবশ্যই। কারণ আপনি যদি আপনার হোম কন্ডিশনে খেলেন এটা একটা বাড়তি সুবিধা। প্রতিটি দলই কন্ডিশন ব্যবহার করতে জানে এবং আপনি যদি বিশ্ব ক্রিকেটের দিকে খেয়াল করেন দেখবেন সবাই তাদের কন্ডিশনে অনেক ভাল দল। একই সঙ্গে আমরাও আমাদের কন্ডিশনে ভাল একটি দল হয়ে উঠছি। আমার মনে হয় এটা কম বেশি সব প্রতিপক্ষই জানে। তো এটা একটি বাড়তি সুবিধা। কিন্তু তারপরেও আমাদের ভাল ক্রিকেট খেলতে হবে। কারণ শ্রীলঙ্কা একটা খুবই দল। আমাদের ভাল ক্রিকেট খেলাটা জরুরী।’ তিন ফর্মেটের ভেতরে সাদা পোশাকেরটা কতটা চ্যালেঞ্জিং? মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় প্রতিটি ফর্মেটই চ্যালেঞ্জিং। কারণ আপনি যদি ওয়ানডে ক্রিকেট দেখেন, বেশির ভাগ টপ র‌্যাংকড ব্যাটসম্যান যারা আছেন সবার স্ট্রাইক রেট ১শ’ ওপরে। গড় ৬০-৭০ এর কাছাকাছি। দিন দিন ক্রিকেট অনেক চ্যালেঞ্জিং হচ্ছে। প্রতিটি ফর্মেটই আলাদা। প্ল্যান মোতাবেক খেলতে হবে সেটা সাদা পোশাকে কিংবা রঙিন পোশাকে হোক। প্রতিটি দিনই চ্যালেঞ্জিং। আপনাকে ওই মোতাবেক আগাতে হবে।’ দশ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে। কিন্তু এখনও আপনার ব্যাটিং অর্ডার ওইভাবে নির্ধারিত না। গত এক দুই ছরে ১৩ থেকে ১৪ বার আপনার অর্ডার বদলেছে। বিষয়টি কীভাবে দেখেন? মাহমুদুল্লাহ এ নিয়ে বলেন, ‘আমি সবসময় বলে এসেছি আমি নিজেকে একজন টিম ম্যান হিসেবে মনে করি। টিম যেভাবে আমার কাছে সাপোর্ট চাইবে বা আমার কাছে যেভাবে রেজাল্ট আশা করবে আমি ওভাবেই দিতে চেষ্টা করব। দলের যেটা প্রয়োজন আমি ওভাবেই দিতে প্রস্তুত থাকব।’ টিম কম্বিনেশনটা কেমন হবে? মাহমুদুল্লাহর কাছে গ্রুপটা ভাল, ‘আমরা সবাই নিজেদের চিনি। সবাই খুব ফ্রেন্ডলি। এবং আমি বলব সবাই তরুণ বলেন বা যারা সিনিয়র আছি সব মিলে আমাদের গ্রুপটা ভাল। টিম এফোর্টটা কেমন হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।’ খালেদ মাহমুদ সুজনকে এর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটের কোচ হিসেবে নিজেদের মতো করে দেখেছেন। এখন জাতীয় দলে নতুন রূপে দেখছেন। এটা আপনাদের জন্য কী ধরনের পরিস্থিতি? মাহমুদুল্লাহ সুজনকে নিয়ে বলেন, ‘সুজন ভাই অনেক দিন দলের সঙ্গে ছিলেন। আমরা সবাই সুজন ভাই সম্পর্কে জানি এবং আমাদের সঙ্গে তিনি ফ্রেন্ডলি। আমাদের উনি ভাল করে চেনেন, জানেন। তো এটা আমাদের জন্য একটা সুযোগ এবং আমাদের মনে হয় সাপোর্টটা সুজন ভাইকে আমরা ভাল করে দিতে পারব এবং এটাও জানি সুজন ভাই আমাদের জন্য একই এফোর্ট দেবে।’ সাঙ্গাকারা বলেছেন আপনাকে তিনে ব্যাটিং করতে। এটা আপনি কী মনে করেন? এ নিয়ে নিজের পছন্দের কিছুই জানাতে রাজি নন মাহমুদুল্লাহ, ‘এটা আমি জানি না। তবে যদি উনি মন্তব্য দিয়ে থাকেন উনাকে ধন্যবাদ। কারণ ওনার মত এত বড় একজন প্লেয়ারের কাছ থেকে সাজেশন পাওয়াটাও বড় কিছু। তারপরেও সবকিছু টিম কম্বিনেশন। টিমের ওপরে নির্ভর করে।’ বোলিংয়ে আপনার আরও বেশি অবদান রাখার সুযোগ আছে কী না? যে সুযোগই মিলে কাজে লাগানোর চেষ্টার কথাই বললেন মাহমুদুল্লাহ, ‘আমি যখন যেভাবে সুযোগ পাব ব্যাটিং হোক, বোলিং হোক, ফিল্ডিং হোক সবদিক থেকেই দলকে দেয়ার চেষ্টা করব।’
×