ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় এখন ফুলকপির রাজত্ব

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৯ নভেম্বর ২০১৭

বগুড়ায় এখন ফুলকপির রাজত্ব

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ শীতের হাওয়া বইতে না বইতেই শীতের সবজিতে ছেয়ে গেয়ে বগুড়া। এর মধ্যে এবারের শীতের সবজির রাজত্ব পেয়েছে ফুলকপি। এর আগের বছরগুলোতে বাঁধাকপি (কেউ বলেন পাতাকপি) সবজি রানী হয়ে বসেছিল। এবার আর নেই। বাঁধাকপির রানীর আসনটিতে গিয়ে বসেছে ফুলকপি। এই কপি দেখতেও ফুলের মতো। গৃহিণীরা ফুলকপির হরেক রকমের সুস্বাদের রেসিপি বানিয়ে ভোজনের তৃপ্তি আনছেন। ফুলকপির রাজত্বে উজির নাজির মন্ত্রী সেনাপতি পাইক পেয়াদা বরকন্দাজ ইত্যাদি হয়ে এসেছে মুলা, শিম, বেগুন, বড়বটি, ঢেঁড়স, করলা, চিচিঙ্গা, শসা, পালং শাক, পুঁই শাক, লাল শাকসহ নানা কিছু। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কথা বগুড়া অঞ্চলের সবজির চাষ এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হয়েছে। কথা ছিল প্রায় ৩০ হাজার হেক্টরে সবজি আবাদ হবে। আবাদ হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে। এবার বর্ষা মৌসুমে বন্যার কারণে গ্রামের অনেক কৃষক ভালভাবে আবাদ করতে পারেনি। বন্যার পর তারা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সবজি আবাদে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা অধিক পরিমাণ জমিতে সকল ধরনের সবজি আবাদ করে। বগুড়ায় সবজির সবচেয়ে বড় মার্কেট মহাস্থানগড় এলাকা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মহাস্থানগড় থেকে উত্তর দিকে জাতীয় মহাসড়কের দুই ধারে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বসে সবজির হাট। দেশের পূর্বাঞ্চলের পাইকারদের এজেন্টরা ট্রাক নিয়ে বগুড়ায় এসে সবজি কিনে নিয়ে যায়। বগুড়া নগরীতেও সবজি যায় মহাস্থানগড় থেকে। দেখা যায় মহাস্থানগড় এলাকায় যে সবজি প্রতি কেজি ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা দরে, বগুড়া নগরীতে সেই সবজি বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। মহাস্থানগড় এলাকা থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরের মোকামতলায় গেল ক’বছর ধরে সবজির পাইকারি হাট বসেছে। সেখানে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি মন (৪০ কেজি হিসাবে) ৬শ’ থেকে ৮শ’ টাকা দরে। বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকা মন দরে। মুলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি মন আড়াইশ’ টাকা দরে। শীতের সবজিতে সবচেয়ে কম দাম মুলার। বিক্রেতারা বলছেন, মুলার দাম আরও কমে যাবে। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি দাম শিমের। বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২২শ’ টাকা মন দরে। এবার সবজির কেনাকাটায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে ফুলকপি। দোকানীরা বলছেন ফুলকপি এবারের শীতের সবজির রাজত্ব পেয়েছে।
×