ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় বাংলাদেশের ৭ ধাপ অগ্রগতি

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় বাংলাদেশের ৭ ধাপ অগ্রগতি

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে ৭ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। গ্লোবাল কম্পিটিটিভ ইনডেক্সে (জিসিআই) ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১৩৭টি দেশের মধ্যে ৯৯তম অবস্থানে রয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে চালানো জরিপের ভিত্তিতে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বুধবার বিশ্বব্যাপী একযোগে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। দাভোস ফোরাম নামে পরিচিত এই আন্তর্জাতিক সংস্থা ২০০১ সাল থেকে এ প্রতিবেদন তৈরি করে আসছে। একটি দেশের অবস্থান বিচারের জন্য প্রতিষ্ঠান, অবকাঠামো, সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও প্রাথমিক শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, পণ্য বাজারের দক্ষতা, শ্রম বাজারের দক্ষতা, আর্থিক খাতের উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি, বাজারের আকার; বাজারের সংবেদনশীলতা এবং নতুন ধারণার প্রবর্তন- এই ১২টি মানদণ্ড ব্যবহার করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। সূচকের ১২টি মানদণ্ডের ভেতরে এবার প্রতিষ্ঠান, অবকাঠামো, সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিবেশ, উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, আর্থিক খাতের উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি, বাজারের আকার; বাজারের সংবেদনশীলতা এবং নতুন ধারণার প্রবর্তন- এই নয়টিতে বাংলাদেশের স্কোর বেড়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য ও প্রাথমিক শিক্ষা, পণ্য বাজারের দক্ষতা, শ্রম বাজারের দক্ষতা মানদণ্ডে স্কোর হয়েছে গতবারের সমান। কোনো মানদণ্ডেই এবার বাংলাদেশের অবনতি হয়নি। এই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কেবল পাকিস্তান ছাড়া সবাই আছে বাংলাদেশের উপরে। এক ধাপ পেছালেও ভারতের অবস্থান এবার রয়েছে ৪০ নম্বরে। ভুটান ৯৭ থেকে উঠে এসেছে ৮২ নম্বরে। শ্রীলঙ্কা ৭১ থেকে পিছিয়ে ৮৬ তম অবস্থানে চলে গেছে। নেপাল ৯৮ থেকে এগিয়ে ৮৬তম অবস্থানে এসেছে। আর পাকিস্তান ১২২ থেকে উঠে এসেছে ১১৫ নম্বরে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ব্যসায়ীরা দুর্নীতি, অবকাঠামোগত দুর্বলতা, সরকারি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও দক্ষ কর্মীর অভাবকেই বাংলাদেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। গতবারের মত এবারও ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সূচকে শীর্ষস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড, তাদের স্কোর ৫ দশমিক ৮৬। এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, হংকং, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, জাপান ও ফিনল্যান্ড। সব মিলিয়ে এবার বাংলাদেশের স্কোর হয়েছে ৩ দশমিক ৯, যা গতবছর ৩ দশমিক ৮ ছিল। ২০১৫-১৬ অর্থবছরেও বাংলাদেশের স্কোর ৩ দশমিক ৮ ছিল। তার আগের তিন বছর ছিল যথাক্রমে ৩ দশমিক ৭, ৩ দশমিক ৭ ও ৩ দশমিক ৬। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এবার মোটামুটি ভালো করলেও তথ্য-প্রযুক্তি অবকাঠামোর উন্নয়ন এ অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য এখনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে।
×