ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন খুরশীদ আলম

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন খুরশীদ আলম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ থেমে নেই সঙ্গীতাঙ্গনে পথচলা। নিয়মিত বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও অনুষ্ঠানে গান করে চলেছেন। এ পর্যন্ত চার শতাধিক চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন। সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন দেশের গুণী এই শিল্পী খুরশীদ আলম। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ মাসের ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিতব্য চ্যানেল আই মিউজিক এ্যাওয়ার্ডস পাওয়ারড আই সেভেন আপের ১২তম আসরে খুরশীদ আলমের হাতে আজীবন সম্মাননা তুলে দেয়া হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইজাজ খান স্বপন। তিনিই অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা ও পরিচালনা করছেন। আজীবন সম্মাননা পাওয়া প্রসঙ্গে খুরশীদ আলম বলেন, এমন একটি অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা পাওয়া নিঃসন্দেহে খুব আনন্দের বিষয়। আমি চ্যানেল আই পরিবারের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। সেইসঙ্গে আমাকে আজীবন সম্মাননা দেয়ার জন্য যারা নির্বাচিত করেছেন তাদের প্রতিও আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, সবাই ভাল থাকবেন। ইজাজ খান স্বপন জানান, আগামী ৬ অক্টোবর এ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানটি দুপুর ২টার সংবাদের পর চ্যানেল আইতে প্রচার হবে। খুরশীদ আলম এমনই একজন কণ্ঠশিল্পী যার গানে এখনও শ্রোতা দর্শক নিজেদের ভাললাগা খুঁজে পান। নায়ক রাজ রাজ্জাকের কণ্ঠে সবচেয়ে জনপ্রিয় পাওয়া গানগুলোর অধিকাংশই খুরশীদ আলমের গাওয়া। দেশের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় কোন সম্মাননা এখনও না মিললেও তাতে কোনই দুঃখবোধ নেই খুরশীদ আলমের। কারণ এদেশের কোটি কোটি মানুষের ভালবাসা তিনি সঙ্গীত জীবনের শুরু থেকে পেয়েছেন এবং এখনও পাচ্ছেন। আজও যখন চলতি পথে কোথাও কোন বিপদ হয় তখন সাধারণ মানুষই তার পাশে ছায়ার মতো এসে দাঁড়ায়। সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে ভীষণ গর্ববোধ করেন খুরশীদ আলম। ১৯৬২-৬৩ সালে ইস্ট পাকিস্তান এডুকেশন উইকে খুরশীদ আলম পরপর দু’বছর রবীন্দ্রসঙ্গীত ও আধুনিক গানে চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৬৭ সালে আজাদ রহমানের সুরে জেবুন্নেসা জামানের লেখা ‘চঞ্চল দু’নয়ন’ ও কবি সিরাজুল ইসলামের ‘তোমার দু’হাত ছুঁয়ে শপথ নিলাম’ দুটি গান বেতারের জন্য রেকর্ড করা হয়। গান দুটি প্রচারের পর পুরো পাকিস্তানে হৈ চৈ পড়ে যায়। এরপর পরই সুযোগ মিলল বাবুল চৌধুরীর নির্দেশনায় ‘আগন্তÍুক’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করার। আজাদ রহমানের সুরে তারই খুরশীদ আলমের চাচার লেখা ‘বন্দী পাখির মতো মনটা কেঁদে মরে’ গানটি গান। এই গান নায়ক রাজ রাজ্জাকের লিপে আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা পায়। এরপর এহতেশামের ‘পীচঢালা পথ’ ই আর খানের ‘সাধারণ মেয়ে’ চলচ্চিত্রে প্লে ব্যাক করেন খুরশীদ আলম। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি খুরশীদ আলমকে। সিনেমাতে খুরশীদ আলম সবচেয়ে বেশি গান গেয়েছেন আজাদ রহমানের সুরে। দ্বৈত শিল্পী হিসেবে বেশি পেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন ও রুনা লায়লাকে।
×