
জাতীয় সংসদ ভবন
করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের শঙ্কার মধ্যদিয়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য বিধি-নিধেষ মেনে জাতীয় বাজেট পাস হয়েছে। কণ্ঠভোটে নির্দিষ্টকরণ বিল ২০২২ পাসের মধ্যদিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের নতুন এই বাজেট পাস হয়। আর এই বাজেট পাসের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ আগামী ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্য অর্থবছরের ব্যয় নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল থেকে ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭৫১ কোটি ৮১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয় করার অনুমতি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদে বাজেট পাসের পর সংসদ সদস্যগণ টেবিল চাপড়িয়ে অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। এখন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ-এর অনুমোদন সাপেক্ষে আজ পহেলা জুলাই থেকে বাজেট কার্যকর হবে।
গত ৯ জুন অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। আর বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭৫১ কোটি ৮১ লাখ ৯৭ হাজার টাকার বাজেট। আসলে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পাসকৃত বাজেটটি সরকারের আর্থিক খাতের ব্যালেন্স শিট অনুয়ায়ী একটি গ্রস বাজেট, যা পুরোপুরি ব্যয় হবে না। ব্যয় হবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত ৯ জুন ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার যে নিট বাজেট দিয়েছেন তা। সরকারের কিছু বাধ্যবাধকতার কারণে গ্রাস বাজেটে ২ লাখ ৫ হাজার ৬৮৭ কোটি ৮১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে, যা আসলে এই অর্থবছরে ব্যয় হবে না। কিন্তু সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে বাজেটের ব্যালেন্সশিটে সেসব ব্যয় দেখাতে হয়। কারণ বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও অন্যান্য খাতে বাজেটে সরকারের কিছু অর্থ বরাদ্দের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যা বাজেটের আয় ব্যয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে হিসাবে মেলানো হয়।
বাজেট পাস উপলক্ষ্যে বৃহম্পতিবার বিকাল ৩ টায় স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে দেয়া বরাদ্দের অনুমোদন পেতে ৫৯টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা মোট ৫৯টি মঞ্জুরি দাবি সংসদে উত্থাপন করেন। এ সময় জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।
দাবিগুলো নিষ্পত্তি শেষে বাজেট পাসের জন্য অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল নির্দিষ্টকারণ বিল ২০২২ সংসদে পেশ করেন। উপস্থিত সদস্যরা কণ্ঠভোটে সর্বস্মমতিক্রমে অর্থমন্ত্রীর এই আইন অনুমোদনের মধ্যদিয়ে বাজেট পাস করে দেন। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় উপ-নেতা জিএম কাদেরসহ সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা এ সময় উপস্থিতি ছিলেন।
বাজেট বরাদ্দ কাটছাটের জন্য প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, বিরোধী দল বিএনপি ও গনফোরামের ১৩ জন সদস্য মন্ত্রি-প্রতিমন্ত্রীদের উত্থাপিত ৫৯টি মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে ৬৬৪টি ছাঁটাই প্রস্তাব অনেন। নিয়ম অনুযায়ী সবগুলো দাবির ওপর আলোচনার সুযোগ থাকলেও সময়ের স্বল্পতার কারণে সরকার ও বিরোধী দলের হুইপের মধ্যে সমঝোতা অনুযায়ী ৪টি মঞ্জুরি দাবির ছাটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়। দাবিগুলো হলো- নির্বাচন কমিশন, জননিরাপত্তা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্ব্য সেবা বিভাগ। এই ৪ দাবিতে আনা ছাটাই প্রস্তাবগুলোর ওপর আলোচনা করেন জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমান, কাজী ফিরোজ রশীদ, ডা. রুস্তম আলী ফরাজী, মুজিবুল হক চুন্নু, পনির উদ্দিন আহমেদ, ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বেগম রওশন আরা মান্নান ও বিএনপির হারুনুর রশীদ, ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা ও মোশাররফ হোসেন স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু এবং গণফোরামের মোকাব্বির খান- এই ১১ জন সংসদ সদস্য। মুলত তাদের আনা ছাটাই প্রস্তাবগুলো ছিল নীতি অনুনমোদন, মিতব্যয় ও প্রতীক ছাটাই। এসব ছাটাই প্রস্তাবের ওপর আলোনায় অংশ নিয়ে তারা সরকারের চার মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির সমালোচনা করেন এবং করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ করেন। আলোচনা শেষে মঞ্জুরি দাবিগুলো কন্ঠভোটে সংসদে গৃহীত হয়। সবমিলিয়ে প্রায় ৬ ঘন্টা আলোচনা শেষে দেশের ইতিহাসে এ পর্যন্ত সর্ববৃহৎ বাজেট পাস হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ উপস্থিত সরকারী ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়িয়ে ইতিহাসের সর্ববৃহৎ বাজেট পেশ করার জন্য অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
এই মন্ত্রণালয়ের বাজেটে প্রস্তাবের বিরোধীতা করে আনা ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বলেন, বাজেটের ৬১ শতাংশই খরচ করতে পারেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ের অব্যবস্থাপনা দীর্ঘদিনের। স্বাস্থ্যর ব্যবস্থাপনাও ভাল না। সরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষা থেকে বেসরকারি মেডিকেলের শিক্ষার মান অনেক নিম্ন। ফলে আস্থা না থাকায় অনেকেই দেশে চিকিৎসা না করে বিদেশে যান। শত শত কোটি টাকার মেশিন অপারেটরের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেন টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না? ভর্তি ও নিয়োগে দুর্নীতি বন্ধ এবং অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা বন্ধ করতে হবে। ভ্যাকসিন এনে মানুষের জীবন রক্ষায় বর্তমান সরকার সফল এটা বলতেই হবে।
জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, গত আড়াই-তিন বছরে কতটুকু অর্জন করেছি তা সবার জানা প্রয়োজন। আমরা করোনা মোকাবেলা করে সফলতা হয়েছি, ভ্যাকসিন দিয়ে মানুষের জীবনকে সুরক্ষিত করেছি। করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতায় বিশ্বে বাংলাদেশ ৫ম স্থান অধিকার করেছে। এই সময়ে ১৫ হাজার নতুন ডাক্তার, ২০ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। একটি ল্যাব ছিল, এখন সারাদেশে সাড়ে ৮শ’ ল্যাব রয়েছে। করোনা তিনটা ঢেউ গেল, বিনা চিকিৎসায় বা অক্সিজেনে কেউ মারা যায়নি। ২৮ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দিয়েছি। একটি কেসেও কোন সমস্যা হয়নি। স্বাস্থ্যখাতে অনেক অর্জন আছে, প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন। ওষুধ শিল্প বিশ্বমানের।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন কিনতে আমাদের প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। আর প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার মতো ১০ কোটি ভ্যাকসিন বিনামূল্যে উপহার হিসেবে পেয়েছি। এটিও একটি নজীর সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক করেছেন বলেই মানুষের দোড়গোড়ায় চিকিৎসা দিতে পেরেছি, যা বিএনপি বন্ধ করে দিয়েছিল। কোভিডকালীন ১৭ কোটি লোক দেশেই উন্নত চিকিৎসা নিয়েছেন, বাইরে যেতে পারেননি। কিছু লোক আছে বিদেশে চিকিৎসা নেন, বাধা দেব কীভাবে? স্বাস্থ্যখাতে কোন অনিয়ম হলে কাউকে ছাড় দিচ্ছি না, দেবও না।
জননিরাপত্তা বিভাগ ॥ এই বিভাগের বাজেটে প্রস্তাবের বিরোধীতা করে আনা ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বলেন, পুলিশ বিভাগের প্রতি সরকারের আরও যত্ন নিতে হবে। দু’একজন দুষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা বা সদস্য’র কারণে গোটা বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট না হয়, সেজন্য প্রয়োজনে কঠোর হতে হবে। কোভিডের সময় কাউকে পাওয়া যায়নি, পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে পুলিশকে যেন ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করা না হয়।
জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ২০০১-২০০৬ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের দুঃশাসনের কথা জনগণ ভুলে যাবে না। বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে খুন-খারাবি না হতো। রাষ্ট্রযন্ত্র কীভাবে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মতো জঘন্য হত্যাকান্ডে সহযোগিতা করে? বিএনপির আমলে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির একদলীয় প্রহসনের নির্বাচনের কথাও জনগণ কোনদিন ভুলবে না। মাদক-সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রয়েছে। শুধু পুলিশ-র্যাব-বিজিবি নয়, সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। মাদক-সন্ত্রাসের বিরোধী জনসচেতনা সৃষ্টি করতে হবে। মাদক আমাদের দেশে হয় না, কিন্তু আগ্রাসনের শিকার হতে হচ্ছে। কারাগারের অর্ধেকই মাদক ব্যবসায়ীরা, কাউকে ছাড় দিচ্ছি না, দেব না। পুলিশের যারা দুষ্কর্ম করেন, কাউকেই ছাড় দেয়া হচ্ছে না। একজন ডিআইজি থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য কারাগারে রয়েছেন। কেউ আইন বা বিচারের উর্ধ্বে নয়। দুষ্কর্ম করলে তাদের আইনের মুখোমুখি হতেই হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ॥ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বাজেটে প্রস্তাবের বিরোধীতা করে আনা ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা মোটেও ভাল চলছে না। এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। যে শিক্ষা ব্যবস্থা বেকার সৃষ্টি করে, কর্মবিমূখ শিক্ষা দেয়- সেই শিক্ষা ব্যবস্থার কী প্রয়োজন? বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন মনিটরিং নেই, পিওন-চাপড়াশি সবাই এমবিএ-বিবিএ ডিগ্রীধারী? উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দেশে কী হচ্ছে? যে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক জব মার্কেটে প্রতিযোগিতায় যেতে পারছে না, বেকারের সংখ্যা বাড়ছেই। মানসম্মত শিক্ষা, কারিগরী শিক্ষা ছাড়া বেকারত্ব হ্রাস সম্ভব হবে না।
জবাবে শিক্ষামন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তাঁর পক্ষে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, একটি দেশের শিক্ষাই উন্নয়নের বড় হাতিয়ার। জাতির বড় সম্পদও হচ্ছে শিক্ষা। বর্তমান সরকার প্রথম থেকেই শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। ২৬ হাজার প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ এবং এক লাখেরও বেশি শিক্ষককে সরকারিকরণ করা হয়েছে। সীমিত সম্পদ নিয়েও দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে নির্মিত করা হয়েছে। আগে বিদ্যুতের কী অবস্থা ছিল? এখন প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়া হয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে শিল্প-প্রতিষ্ঠান যেন গড়ে উঠে সেজন্য বিদ্যুত-গ্যাস নিশ্চিত করা হচ্ছে। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ১৩ বছরে একটি মানুষ না খেয়ে মারা যায়নি, মঙ্গা নাম শব্দটি এখন জাদুঘরে। প্রত্যেকটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রত্যেক উপজেলা কারিগরী প্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক উন্নতি হয়েছে। বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের ছাত্ররা চান্স পাচ্ছে। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মনিটরিং আরও বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উম্মোচন করেছেন।
বাজেট পাস ॥ নির্দ্দিষ্টকরণ বিল পাসের মাধ্যমে সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭৫১ কোটি ৮১ লাখ ৯৭ হাজার টাকার মধ্যে সংসদের ওপর দায় ২ লাখ ৬৪ হাজার ৯২৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এই টাকা অনুমোদনের জন্য সংসদ কর্তৃক কোন ভোটের প্রয়োজন হয় না। সরাসরি সংসদ এই টাকা অনুমোদন করে দেয়। অবশিষ্ট ৬ লাখ ১৮ হাজার ৮২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ভোটের মাধ্যমে সংসদে গৃহীত হয়।
গত ৫ জুন সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। এর ৩ দিন পর ৯ জুন ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের শিরোনাম ছিল ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন।’
করোনা মহামারীর প্রকোপ কমে আসায় দুই বছর পর বাজেটের ওপর দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। এবারও সম্পূরক বাজেটের ওপর দুই দিন আলোচনা করে সেদিনই তা পাস করা হয়। এর পর আলোচনা চলে মূল বাজেটের ওপর। আলোচনা শেষে ২৯ জুন অর্থবিল ২০২২ পাসের মধ্যদিয়ে বাজেট পাসের প্রক্রিয়া শুরু হয়। আর বৃহস্পতিবার বাজেট পাসের মধ্যদিয়ে এই কার্যক্রম শেষ হলো।