ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পদ্মার চরে হাজারো গরুর পাল

আসছে ভারতীয় গরু ॥ স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্যোগ নেই

প্রকাশিত: ০৫:০৪, ২৭ আগস্ট ২০১৭

আসছে ভারতীয় গরু ॥ স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্যোগ নেই

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ভরা পদ্মা সাঁতরিয়ে রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসছে হাজার হাজার ভারতীয় গরু। তবে সীমান্তে বা খাটালে এসব গরুর কোনটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে না। ফলে বিপুল পরিমাণ এসব গরু রোগাক্রান্ত কি না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।এদিকে ভারতীয় এসব গরু আমদানিতে রাজশাহী অঞ্চলের হাটে হাটে প্রভাব পড়ছে দেশী গরুর দামে। রাজশাহী অঞ্চলের এমনিতেই এবার দেশী গরুর আধিক্য তারপর যুক্ত হচ্ছে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় গরু। ফলে দেশীয় গরুর দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে খামারিরা। তারা বলছেন হাটে কাক্সিক্ষত দাম মিলছে না। জানা গেছে, এ অঞ্চলে শুধু কোরবানি ঈদেই ৬৫টি পশুহাট বসে। এর মধ্যে রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠে সিটিহাট সবচেয়ে বড় পশুহাট। এবার রাজশাহী ও আশপাশের এলাকাগুলো থেকে এসব হাটে প্রচুর দেশী গরু উঠছে। এর পাশাপাশি উঠছে ভারতীয় পশুও। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাইকাররা আসতে শুরু করেছে এসব হাটে। তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়ায় এসব গরু চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন হাটে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, রাজশাহীর চর মাঝারদিয়ার ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু-মহিষ আসছে। এসব গরুর সিংহভাগ করিডোর হলেও নেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্যোগ। শনিবার সকালে রাজশাহী মহানগরীর বশরি এলাকায় পদ্মা নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, নৌকায় করে নদী পার হয়ে আসছে ভারতীয় গরু। গরুর রাখালেরা জানান, সীমান্ত পেরিয়ে চর মাজারদিয়াড় খাটালে আসছে গরু। এরপর নদী পার করে গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাজশাহীর বিভিন্ন পশুহাটে। করিডোরের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় থাকা ওইসব গরু ইতোমধ্যে প্রবেশ করছে। এসব গরু ভারতের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে নিয়ে এনে চরে রাখা হয়। তবে বিট খাটালের যে গরু-মহিষ আসে সেগুলো ভারতে শুল্ক দিয়ে আনা হয় বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। গরু-মহিষ আমদানিতে বিট খাটাল ও পদ্মার খেয়া ঘাটে সরকারীভাবে বেঁধে দেয়া নিয়মের চেয়ে আদায় করা হচ্ছেÑ অতিরিক্ত অর্থ বলে অভিযোগ উঠেছে। সীমান্তের বিট খাটাল থেকে পদ্মা নদী পার করতে ৫০০ টাকা ট্যাক্সসহ গরু-মহিষ প্রতি ৭০০ টাকা খরচ হওয়ার কথা থাকলেও তাদের কাছ থেকে ১২০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের চর বাগডাঙ্গা ইউনিয়নের বাখের আলী ঘাটের ইজারাদার মকলেছুর রহমান বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ভারত থেকে গরুগুলো পাচার করে চরে রাখা হয়েছে। করিডোরের ছাড়পত্র নেয়ার পর সেগুলো পদ্মা নদী পার করা হবে।রাজশাহী সিটি হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান কালু জানান, হাটের দিন ভেটেরিনারি সার্জনরা থাকেন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তবে সীমান্তপথে আসার পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় না। তবে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিযাম উদ্দিন জানান, এখন পর্যন্ত তারা সীমান্তে কোন পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন না। সরকারী নির্দেশনা না থাকায় তারাও স্থানীয়ভাবে কোন উদ্যোগ নেননি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাহিদা মিটবে দেশী গরুতে স্টাফ রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জানান, ঈদকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন স্থানে পশুর হাট-বাজারগুলো জমতে শুরু করেছে। কোরবানির পশু আসতে শুরু করেছে বাজারগুলোতে। এখানকার খামারি ও পাইকারদের মতে, এবার দেশীয় খামারের পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব। বেড়ায় ছোট গরুর চাহিদা বেশি সংবাদদাতা বেড়া পাবনা থেকে জানান, হাটে প্রচুর গরুর আমদানি হলেও উপযুক্ত দাম পাচ্ছে না প্রান্তিক খামারিরা। ছোট সাইজের গরু বিক্রির অবস্থা মোটামুটি ভাল হলেও বড় ও মাঝারি সাইজের গরুর বিক্রির একেবারেই কম। বেড়া উপজেলার কয়েকটি হাটে এমন চিত্র চোখে পড়েছে। খামারি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে বন্যা এবং ভারতীয় গরু আসার কারণেই গরুর দাম কমে গেছে। তবে গত দুইদিন ভারতীয় গরু যায়নি।
×