ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মহাদুর্যোগের কারণে পর্যটন নগরী রাঙ্গামাটি পর্যটক শূন্য

প্রকাশিত: ০১:৪৫, ২৭ জুন ২০১৭

মহাদুর্যোগের কারণে পর্যটন নগরী রাঙ্গামাটি পর্যটক শূন্য

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি ॥ ঈদের ছুটিতে পর্যটন নগরী রাঙ্গামাটি পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে। শহরের কয়েকশত আবাসিত হোটেল ও কাপ্তাই লেকের ৫শহস্রাধিক ইঞ্জিন বোটের মাঝি মাল্লারা পর্যটকের অভাবে হা-হা-কার করছে। গত ১৩ জুন ভয়াবহ প্রকৃতিক মহাদুর্যোগের ফলে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্যটন নগরী প্রবল ভারি বৃষ্টির ফলে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে রাঙ্গামাটির পাহাড় ধসে ধবংসস্তুপের নগরীতে পরিনত হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে রাঙ্গামাটির সঙ্গে দেশের সকল সড়ক যোগাযোগ। ২১ জুন চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়ক হলকা যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলেও এই সড়ক দিয়ে এখনো যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাক চলাচল করছেনা। যার কারণে রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের ধস নেমেছে। এ ছাড়া রাঙ্গামাটির পশ্ববর্তী জেলা থেকে যেসব পর্যটক আসতো তাদের অনেক আত্মীয় স্বজন রাঙ্গামাটির ভূমি ধসে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় তারা শোকে কাতর হয়ে কেউ ভ্রমনে আসেনি ফলে রাঙ্গামাটি শহর একেবারে পর্যটন শূন্য হয়ে পড়েছে। পবিত্র রমজানে যারা রাঙ্গামাটিতে অগ্রিম হোটেল বুক দিয়েছে তাদের অনেকেই ভূমি ধসের পর তাদের বুক বাতিল করেছে। এব্যাপারে রাঙ্গামাটির অন্যতম প্রধান আবাসিক হোটেল সৈকতের পরিচলক মঈন উদ্দিন সেলিমের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান রাঙ্গামাটির ইতিহাসে এই ধরণের ঘটনা আর কখনো হয়নি। এবার একেবারে পর্যটন শূন্য হয়ে পড়েছে। রাঙ্গামাটি পযটন কমপ্লেক্স এর ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জনান তাদের হোটেলে মাত্র ৮৫টা রুমের মধ্যে মঙ্গলবার ১১টা রুম বুক হয়েছে। আগে বুক করা রুম বাতিল করা হয়েছে। এবার অন্যান্য সময়ে তুলনায় মাত্র শতকরা ২০শতাংশ লোক এখানে এসেছে । শহরের অপর নাম করা আবাসিক হোটেল গ্রীন ক্যাসেল এর পরিচালক জানান মঙ্গলবার তাদের হোটেলে কোন বডার উঠেনি। পর্যটকের ধস নামায় তাদের ব্যবসা লাঠে উঠেছে। পাহাড় ধসের কারণে রাঙ্গামাটির কাঠ, মাছ, মৌসুমী ফল ও পর্যটন শিল্পে ধস নামায় রাঙ্গামাটির অর্থনৈতিক মেরুদন্ড একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা মনে করেন এই অবস্থা কাটিয়ে উঠার জন্য ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য সরকারের প্রনোদনা দেয়া একান্ত প্রয়োজন।
×